Ajker Patrika

টি-টোয়েন্টির শেষটিও হার দিয়ে  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টি-টোয়েন্টির শেষটিও হার দিয়ে  

চার বছর আগে ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাইর হয়েছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরেছিলেন সাকিব-মুশফিকেরা। চার বছর পর ঘরের মাঠে সেই প্রতিশোধ নেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তারা। দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ শেষ করেছে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। 

প্রথম ম্যাচে জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ নিজেদের কাছে রেখে দিতে পারতেন স্বাগতিকেরা। একই সঙ্গে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের আটে ওঠার সুযোগ ছিল সাকিবদের। কিন্তু আফগানদের কাছে ৮ উইকেটে হেরে সিরিজ ও র‌্যাঙ্কিংয়ে ওপরে ওঠা হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। 

আগে ব্যাট করে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ (১১৫)। তবে বোলারদের ওপর যে আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশের, তাতে লড়াইয়ের সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের সামনে। কিন্তু শুরুতে উদ্বোধনী ব্যাটার হজরতউল্লাহ জাজাই এবং শেষ দিকে ওসমান গনির দুটি ক্যাচ মিসে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। 

রানা তাড়ায় ইনিংসের তৃতীয় বলেই বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন জাজাই। উইকেটের ওপর সহজ ক্যাচ পেয়েও তালুবন্দী করতে পারেননি নাসুম আহমেদ। শূন্য রানে যাকে ফেরানোর সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে, সেই জাজাই পরে হয়ে ওঠেন গলার কাঁটা। 

অবশ্য আরেক ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজকে ব্যক্তিগত ৩ রানে ফিরিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। তিনে এসে জাজাইকে দারুণ সঙ্গে দেন ওসমান গনি। তাদের জুটিতেই জয়ের সুভাস পাচ্ছিল আফগানিস্তান। তবে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে একবার ও ৪১ রানে দ্বিতীয়বার গনির সহজ ক্যাচ মিস করেন আফিফ ও নাঈম। দুইবার জীবন পাওয়া গনিকে ফিফটির আগে (৪৮ বলে ৪৭ রান) থামান মাহমুদউল্লাহ। অন্যপ্রান্তে থাকা জাজাই শূন্য রানে জীবন পেয়ে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে বড় জয় এনে দেন। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যর্থ ওপেনিং জুটি। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারিয়ে করে করেন মাত্র ৩৩ রান। এরপর আবারও ব্যাটিংয়ে ধস। চার উইকেট হারিয়ে যখন ৪৫ রান তখন হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। তাদের ৪৩ রানের জুটি ভাঙলে সব আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। পরের ব্যাটারদের আসা যাওয়ার ফাঁকে ১১৫ রান তোলে স্বাগতিকেরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত