নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লিতে ম্যাচের আগে পাঁচ দিনের বিরতি ছিল বাংলাদেশ দলের। বিরতির প্রথম দিনেই মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ গেলেন দিল্লি থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরের মেরাট শহরে। সেখানে তাঁদের ব্যাটের স্পনসর স্ট্যানফোর্ডের (এসএফ) কারখানা। বিদেশি কারখানা ঘুরে দেখার সময় মিরাজের মনে নিশ্চয়ই তাঁদের ক্রিকেট সরঞ্জামের প্রতিষ্ঠান ‘এমকেএস স্পোর্টস’ এসেছে।
এই ব্যবসায় মিরাজের অংশীদার জাতীয় দলের সতীর্থ ইমরুল কায়েস, রাজশাহীর ক্রিকেট সরঞ্জাম বিশেষজ্ঞ এইচ এম আফতাব শাহিন আর ইংল্যান্ডের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ। গত তিন বছরের চেষ্টায় ক্রিকেটপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি তৈরি হলেও পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যেতে দরকার ছিল ইংল্যান্ডের কাঠ সরবরাহ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি আর ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির অনুমোদন। কাঠের জোগান আগেই নিশ্চিত হয়েছে। বাকি ছিল আইসিসির অনুমোদন, সেটিও হয়েছে গত সোমবার। এখন ইমরুল-মিরাজদের প্রতিষ্ঠানে তৈরি ব্যাট নিয়ে যেকোনো ক্রিকেটার খেলতে পারবেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ম্যাচ।
এমকেএস স্পোর্টস নিয়ে কথা হলো এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা ইমরুলের সঙ্গে। বাঁহাতি ওপেনার বললেন, ‘আমি, মিরাজ আর শাহিন মিলে একটা ক্রিকেট সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান করেছি। এটির পণ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিপণন করতে গেলে আইসিসির অনুমোদন প্রয়োজন। আইসিসির অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। আইসিসির অনুমোদন ছাড়া ক্রিকেটারদের স্পনসর যেমন করা যায় না, তেমনি বাজারজাতও সম্ভব নয়। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারা অনেক যাচাই-বাছাই করেছে। যেখান থেকে কাঠ নেব, তাদেরও সবকিছু দেখেছে।’
২০২০ সালে প্রথম ইমরুল আর শাহিনের মাথায় আসে বাংলাদেশে একটি উন্নত মানের ক্রিকেট সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ার কথা। রাজশাহীতে তাঁরা কারখানাও তৈরি করেছেন। সেখানে মাসে এখন গড়ে ৮০টি গেম ব্যাট তৈরি হয়। জানুয়ারিতে পুরোপুরি বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে এই সংখ্যা বাড়বে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি চালুর পেছনে একটা ‘জেদের’ কথাও জানালেন ইমরুল, ‘ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে আমাদের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা ভালো কাঠের ব্যাট পায়। তবে তা রোহিত-কোহলিদের গ্রেডের কাঠ দিয়ে তৈরি নয়। ওই কাঠ আমাদের খেলোয়াড়েরা পায় না। সেখান থেকেই জেদ ঢুকেছে, আমরাও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য টপ গ্রেডের কাঠে তৈরি ব্যাট নিশ্চিত করব। আমাদের ক্রিকেটাররাও চায় দেশে ব্যাট তৈরি হোক।’
আইসিসির অনুমোদন পাওয়ায় আগামী ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে এমকেএস স্পোর্টসের প্রথম শোরুম চালুর চিন্তা ইমরুলদের। তবে ব্যবসাটা মোটেও সহজ নয়। ইমরুল বললেন, ‘কাঠ পাওয়া কঠিন। পৃথিবীর সব ব্র্যান্ডের ব্যাট তৈরি হয় ইংলিশ উইলো দিয়ে। চার-পাঁচটা কাঠের কোম্পানি পুরো পৃথিবীতে ব্যাট সরবরাহ করে। ইংল্যান্ড থেকে কাঠ পাওয়া তাই অনেক কঠিন। অনেকবার প্রত্যাখ্যানের পর একটা কাঠের কোম্পানি আমাদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আগামী পাঁচ বছর কাঠ দেবে।’
ইমরুল জানালেন, ভারতে তৈরি ভালো মানের একটা ব্যাটের দাম পড়ে ৮০-৯০ হাজার টাকা। দেশে ব্যাট তৈরি হলে ৩০-৪০ শতাংশ দাম কমবে। আর শাহিন তুলে ধরলেন দেশি ক্রিকেট সরঞ্জামের অপার সম্ভাবনার কথা, ‘উদীয়মান খেলোয়াড়, ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ক্রিকেটার স্পনসর পাবে। তুলনামূলক কম দামে ব্র্যান্ড নিউ ভালো মানের ব্যাট যাওয়া যাবে। এতে বিদেশি মুদ্রারও সাশ্রয় হবে।’
ব্যবসার সঙ্গে একটি বড় স্বপ্নের কথা বললেন ইমরুল, ‘বিশ্বে ক্রিকেটপণ্যের বাজারে মেইড ইন বাংলাদেশ ছড়িয়ে দিতে চাই।’
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লিতে ম্যাচের আগে পাঁচ দিনের বিরতি ছিল বাংলাদেশ দলের। বিরতির প্রথম দিনেই মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ গেলেন দিল্লি থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরের মেরাট শহরে। সেখানে তাঁদের ব্যাটের স্পনসর স্ট্যানফোর্ডের (এসএফ) কারখানা। বিদেশি কারখানা ঘুরে দেখার সময় মিরাজের মনে নিশ্চয়ই তাঁদের ক্রিকেট সরঞ্জামের প্রতিষ্ঠান ‘এমকেএস স্পোর্টস’ এসেছে।
এই ব্যবসায় মিরাজের অংশীদার জাতীয় দলের সতীর্থ ইমরুল কায়েস, রাজশাহীর ক্রিকেট সরঞ্জাম বিশেষজ্ঞ এইচ এম আফতাব শাহিন আর ইংল্যান্ডের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ। গত তিন বছরের চেষ্টায় ক্রিকেটপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি তৈরি হলেও পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যেতে দরকার ছিল ইংল্যান্ডের কাঠ সরবরাহ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি আর ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির অনুমোদন। কাঠের জোগান আগেই নিশ্চিত হয়েছে। বাকি ছিল আইসিসির অনুমোদন, সেটিও হয়েছে গত সোমবার। এখন ইমরুল-মিরাজদের প্রতিষ্ঠানে তৈরি ব্যাট নিয়ে যেকোনো ক্রিকেটার খেলতে পারবেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ম্যাচ।
এমকেএস স্পোর্টস নিয়ে কথা হলো এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা ইমরুলের সঙ্গে। বাঁহাতি ওপেনার বললেন, ‘আমি, মিরাজ আর শাহিন মিলে একটা ক্রিকেট সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান করেছি। এটির পণ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিপণন করতে গেলে আইসিসির অনুমোদন প্রয়োজন। আইসিসির অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। আইসিসির অনুমোদন ছাড়া ক্রিকেটারদের স্পনসর যেমন করা যায় না, তেমনি বাজারজাতও সম্ভব নয়। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারা অনেক যাচাই-বাছাই করেছে। যেখান থেকে কাঠ নেব, তাদেরও সবকিছু দেখেছে।’
২০২০ সালে প্রথম ইমরুল আর শাহিনের মাথায় আসে বাংলাদেশে একটি উন্নত মানের ক্রিকেট সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ার কথা। রাজশাহীতে তাঁরা কারখানাও তৈরি করেছেন। সেখানে মাসে এখন গড়ে ৮০টি গেম ব্যাট তৈরি হয়। জানুয়ারিতে পুরোপুরি বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে এই সংখ্যা বাড়বে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি চালুর পেছনে একটা ‘জেদের’ কথাও জানালেন ইমরুল, ‘ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে আমাদের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা ভালো কাঠের ব্যাট পায়। তবে তা রোহিত-কোহলিদের গ্রেডের কাঠ দিয়ে তৈরি নয়। ওই কাঠ আমাদের খেলোয়াড়েরা পায় না। সেখান থেকেই জেদ ঢুকেছে, আমরাও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য টপ গ্রেডের কাঠে তৈরি ব্যাট নিশ্চিত করব। আমাদের ক্রিকেটাররাও চায় দেশে ব্যাট তৈরি হোক।’
আইসিসির অনুমোদন পাওয়ায় আগামী ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে এমকেএস স্পোর্টসের প্রথম শোরুম চালুর চিন্তা ইমরুলদের। তবে ব্যবসাটা মোটেও সহজ নয়। ইমরুল বললেন, ‘কাঠ পাওয়া কঠিন। পৃথিবীর সব ব্র্যান্ডের ব্যাট তৈরি হয় ইংলিশ উইলো দিয়ে। চার-পাঁচটা কাঠের কোম্পানি পুরো পৃথিবীতে ব্যাট সরবরাহ করে। ইংল্যান্ড থেকে কাঠ পাওয়া তাই অনেক কঠিন। অনেকবার প্রত্যাখ্যানের পর একটা কাঠের কোম্পানি আমাদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আগামী পাঁচ বছর কাঠ দেবে।’
ইমরুল জানালেন, ভারতে তৈরি ভালো মানের একটা ব্যাটের দাম পড়ে ৮০-৯০ হাজার টাকা। দেশে ব্যাট তৈরি হলে ৩০-৪০ শতাংশ দাম কমবে। আর শাহিন তুলে ধরলেন দেশি ক্রিকেট সরঞ্জামের অপার সম্ভাবনার কথা, ‘উদীয়মান খেলোয়াড়, ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ক্রিকেটার স্পনসর পাবে। তুলনামূলক কম দামে ব্র্যান্ড নিউ ভালো মানের ব্যাট যাওয়া যাবে। এতে বিদেশি মুদ্রারও সাশ্রয় হবে।’
ব্যবসার সঙ্গে একটি বড় স্বপ্নের কথা বললেন ইমরুল, ‘বিশ্বে ক্রিকেটপণ্যের বাজারে মেইড ইন বাংলাদেশ ছড়িয়ে দিতে চাই।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে ছুটছেন বেশ ভালোভাবেই। গতকাল ভারতের বিরাট কোহলিকে টপকে তালিকার পাঁচে উঠে এসেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় স্টেডিয়ামের দুটি গ্যালারি অলিখিতভাবে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নামে ভাগ করা। মোহামেডান-ভক্তরা অবশ্য দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারেন। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ আবাহনীর জায়গায় দেখা যেতে পারত তাদেরও। ২৩ বছর পর লিগ জেতার গৌরব কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে গেছে এএফসির লাইসেন্স না থাকায়।
১২ আগস্ট ২০২৫নতুন মৌসুম সামনে রেখে ব্রাজিলিয়ান কোচ সের্গিও ফারিয়াস নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। আগামীকাল কাতারের দোহায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রাথমিক পর্বে সিরিয়ার ক্লাব আল কারামাহর মুখোমুখি হবে তারা। কাতারে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ফারিয়াসের। উল্টো ইরাকের ক্লাব দুহোকের স্পোর্টসের কোচ হয়েছেন তিনি।
১১ আগস্ট ২০২৫২০২৬ বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিফা। আগ্রহী ব্যক্তিরা আজ শুরু করে দিতে পারেন আবেদনপ্রক্রিয়া।
১১ আগস্ট ২০২৫