বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে অনুমান করছেন, পৃথিবীর বাইরে প্রাণ ও প্রাণীর অস্তিত্ব আছে। তবে আমাদের পৃথিবী যেমন সবুজ এবং আমরা এলিয়েনদের বিভিন্ন সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় যেমনটা দেখি, সে রকম গাত্রবর্ণের না-ও হতে পারে। সম্প্রতি ব্রিটেনের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এলিয়েনদের গায়ের রং হতে পারে পার্পল বা বেগুনি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের পৃথিবীতে ক্লোরোফিলের সালোকসংশ্লেষণের কারণে সবুজ হলেও প্রাণের উপস্থিতি আছে এমন গ্রহে আলোর উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে অন্য কোনো ফটো পিগমেন্টের সংশ্লেষণে খাবার তৈরি হতে পারে। ফলে সেই গ্রহ অন্য কোনো রঙের হতে পারে। একইভাবে সেখানকার প্রাণীদের গায়ের রংও অন্য রকম হতে পারে।
আজ থেকে ২৪০ কোটি বছর আগে, আমাদের পৃথিবী এমন সবুজ ছিল না। সে সময় নীলচে সবুজ সায়ানোব্যাকটেরিয়া নামের একধরনের শৈবাল প্রথম ক্লোরোফিল ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ করেছিল এবং উপজাত হিসেবে প্রকৃতিতে অক্সিজেন অবমুক্ত করেছিল।
তার আগে, বিভিন্ন ধরনের অণুজীব রেটিনাল নামক একধরনের বেগুনি রঞ্জক অণু ও সূর্যালোক ব্যবহার করে শক্তি উৎপন্ন করত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি অন্য কোনো দূরবর্তী গ্রহে রেটিনালের উপস্থিতি থাকে, তবে বিভিন্ন অণুজীবের অনন্য ‘ছাপ’ মহাকাশভিত্তিক টেলিস্কোপ দ্বারা বোঝা যাবে বলে আশা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কার্ল সাগান ইনস্টিটিউটের গবেষক এবং এই নিবন্ধের প্রধান লেখক লিগিয়া ফনসেকা কোয়েলহো বলেছেন, ‘তারা (রেটিনলবিশিষ্ট অণুজীব) এরই মধ্যেই কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে আগের চেয়ে অনেকটাই বিবর্তিত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু কল্পনা করুন, যদি তারা সবুজ গাছপালা, শেওলা ও ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে না মেশে, তবে একটি লাল সূর্য তাদের সালোকসংশ্লেষণের জন্য সবচেয়ে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারে।’
কোয়েলহো ও তাঁর দলের গবেষকেরা বলছেন, অণুজীব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় আমরা যে এলিয়েন তালাশ করছি, তা সবুজ রঙের হবে—এমন ঝোঁক আছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, বেগুনি রঙের এলিয়েনও থাকতে পারে। বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য গবেষকেরা কর্নেল ইউনিভার্সিটির কেপ কডের অগভীর পুকুরে গভীর সমুদ্রের হাইড্রোথার্মাল ভেন্টসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা বেগুনি ব্যাকটেরিয়ার চাষ করছেন এবং সেগুলো কী ধরনের ‘ছাপ’ ফেলে, তা পরিমাপ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বেগুনি এই ব্যাকটেরিয়াগুলো শনাক্তযোগ্য বায়োসিগনেচার বা ‘জৈবিক ছাপ’ তৈরি করেছে। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পরবর্তী প্রজন্মের টেলিস্কোপের সহায়তায় এলিয়েনের খোঁজে নতুন তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে। এ বিষয়ে এই গবেষণার সহ-লেখক লিসা ক্যাল্টেনেগার বলেন, ‘আমরা কেবল আমাদের চারপাশের এই আকর্ষণীয় জগতের দিকে দৃষ্টি মেলে তাকাচ্ছি।’
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে অনুমান করছেন, পৃথিবীর বাইরে প্রাণ ও প্রাণীর অস্তিত্ব আছে। তবে আমাদের পৃথিবী যেমন সবুজ এবং আমরা এলিয়েনদের বিভিন্ন সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় যেমনটা দেখি, সে রকম গাত্রবর্ণের না-ও হতে পারে। সম্প্রতি ব্রিটেনের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এলিয়েনদের গায়ের রং হতে পারে পার্পল বা বেগুনি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের পৃথিবীতে ক্লোরোফিলের সালোকসংশ্লেষণের কারণে সবুজ হলেও প্রাণের উপস্থিতি আছে এমন গ্রহে আলোর উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে অন্য কোনো ফটো পিগমেন্টের সংশ্লেষণে খাবার তৈরি হতে পারে। ফলে সেই গ্রহ অন্য কোনো রঙের হতে পারে। একইভাবে সেখানকার প্রাণীদের গায়ের রংও অন্য রকম হতে পারে।
আজ থেকে ২৪০ কোটি বছর আগে, আমাদের পৃথিবী এমন সবুজ ছিল না। সে সময় নীলচে সবুজ সায়ানোব্যাকটেরিয়া নামের একধরনের শৈবাল প্রথম ক্লোরোফিল ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ করেছিল এবং উপজাত হিসেবে প্রকৃতিতে অক্সিজেন অবমুক্ত করেছিল।
তার আগে, বিভিন্ন ধরনের অণুজীব রেটিনাল নামক একধরনের বেগুনি রঞ্জক অণু ও সূর্যালোক ব্যবহার করে শক্তি উৎপন্ন করত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি অন্য কোনো দূরবর্তী গ্রহে রেটিনালের উপস্থিতি থাকে, তবে বিভিন্ন অণুজীবের অনন্য ‘ছাপ’ মহাকাশভিত্তিক টেলিস্কোপ দ্বারা বোঝা যাবে বলে আশা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কার্ল সাগান ইনস্টিটিউটের গবেষক এবং এই নিবন্ধের প্রধান লেখক লিগিয়া ফনসেকা কোয়েলহো বলেছেন, ‘তারা (রেটিনলবিশিষ্ট অণুজীব) এরই মধ্যেই কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে আগের চেয়ে অনেকটাই বিবর্তিত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু কল্পনা করুন, যদি তারা সবুজ গাছপালা, শেওলা ও ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে না মেশে, তবে একটি লাল সূর্য তাদের সালোকসংশ্লেষণের জন্য সবচেয়ে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারে।’
কোয়েলহো ও তাঁর দলের গবেষকেরা বলছেন, অণুজীব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় আমরা যে এলিয়েন তালাশ করছি, তা সবুজ রঙের হবে—এমন ঝোঁক আছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, বেগুনি রঙের এলিয়েনও থাকতে পারে। বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য গবেষকেরা কর্নেল ইউনিভার্সিটির কেপ কডের অগভীর পুকুরে গভীর সমুদ্রের হাইড্রোথার্মাল ভেন্টসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা বেগুনি ব্যাকটেরিয়ার চাষ করছেন এবং সেগুলো কী ধরনের ‘ছাপ’ ফেলে, তা পরিমাপ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বেগুনি এই ব্যাকটেরিয়াগুলো শনাক্তযোগ্য বায়োসিগনেচার বা ‘জৈবিক ছাপ’ তৈরি করেছে। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পরবর্তী প্রজন্মের টেলিস্কোপের সহায়তায় এলিয়েনের খোঁজে নতুন তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে। এ বিষয়ে এই গবেষণার সহ-লেখক লিসা ক্যাল্টেনেগার বলেন, ‘আমরা কেবল আমাদের চারপাশের এই আকর্ষণীয় জগতের দিকে দৃষ্টি মেলে তাকাচ্ছি।’
নতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্বের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের এক দল। তাদের দাবি, আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল কবা কৃষ্ণগহবর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
১২ আগস্ট ২০২৫নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১০ আগস্ট ২০২৫আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১০ আগস্ট ২০২৫