পৃথিবীর দীর্ঘতম জাতি ডাচ। বহুদিন ধরেই এই মর্যাদা ধরে রেখেছে। নেদারল্যান্ডসের এই মানুষেরাই নাকি খাটো হয়ে যাচ্ছে! স্ট্যাটিসটিকস নেদারল্যান্ডস, মিউনিসিপ্যাল হেলথ সার্ভিস (জিজিডি) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক হেলথের (আরআইভিএম) যৌথ গবেষণায় নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেওয়া ১৯ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭ লাখ ১৯ হাজার মানুষের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০১ সালে জন্ম নেওয়া ডাচ পুরুষেরা ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়াদের চেয়ে এক সেন্টিমিটার খাটো। নারীদের ক্ষেত্রে এই পার্থক্য আরও বেশি, ১ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৮০-র প্রজন্মই সম্ভবত সবচেয়ে লম্বা ছিল অর্থাৎ গত এক শতকের মধ্যে ডাচদের উচ্চতা ধারাবাহিক ভাবে বেড়েছে এবং ওই সময় সর্বোচ্চ ছিল।
১৯৮০ সালে নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেওয়া পুরুষদের গড় উচ্চতা ছিল ১৮৩ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার বা ছয় ফুট। তাঁরা ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়াদের চেয়ে ৮ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বা ৩ দশমিক ২৭ ইঞ্চি বেশি লম্বা ছিলেন। ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া নারীরাও উল্লেখযোগ্যরকম দীর্ঘাঙ্গী ছিলেন, তাঁদের উচ্চতা ছিল ১৭০ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়া নারীদের উচ্চতা ছিল ১৬৫ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
তুলনামূলক খর্ব জাতিগোষ্ঠী থেকে আসা অভিবাসীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বৃদ্ধি ডাচদের গড় উচ্চতা আংশিক কমে যাওয়ার জন্য কিছুটা দায়ী বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। কিন্তু যাদের বাবা-মা উভয়েরই জন্ম নেদারল্যান্ডসে তাঁদের উচ্চতাও কমে যাচ্ছে। এমনকি যারা চার প্রজন্ম ধরে নেদারল্যান্ডসে তাঁদের ক্ষেত্রেও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া যেসব ডাচ পুরুষের পরিবারে অভিবাসনের ইতিহাস নেই এসময়ের মধ্যে তাঁদের উচ্চতা বাড়েওনি। একই ধরনের পরিবারের সদস্য ডাচ নারীদের উচ্চতাও কমেছে।
তবে গত ৭০ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটেছে ডাচদের। ফলে উচ্চতায় তারা বিশ্বের অন্য সব জাতিকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির ১৯৩০-৩৪ প্রজন্মের প্রায় ৩ শতাংশ মানুষের উচ্চতা অন্তত ১৯০ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। ২০২০ সালে এই উচ্চতার মানুষের সংখ্যা ২০ শতাংশেরও বেশি ছিল। এ সময় নেদারল্যান্ডসে ১৯৫ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চিরও বেশি উচ্চতার মানুষ ছিলেন ৭ শতাংশের বেশি। ।
এদিকে ১৯৩০-৩৪ প্রজন্মের নেদারল্যান্ডসের নারীদের মধ্যে ২ শতাংশের উচ্চতা ছিল ১৮০ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। তবে ১৯৮০ সালে এসে নেদারল্যান্ডসে কমপক্ষে ১০ শতাংশ নারী ছিল ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার।
দেশটির ১৯৩০-৩৪ প্রজন্মের প্রায় ৩ শতাংশ অন্তত ১৯০ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা ছিল। আর ২০২০ সালে অন্তত ১৯০ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার মানুষ ছিল ২০ শতাংশেরও বেশি, এ সময় ৭ শতাংশের উচ্চতা ছিল ১৯৫ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চিরও বেশি।
তবে নেদারল্যান্ডসের সব এলাকার চিত্র একরকম নয়। দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা গেছে। নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণাঞ্চলের তুলনায় উত্তরের বাসিন্দারা ৩ থেকে সাড়ে ৩ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা।
গবেষকেরা বলছেন, উচ্চতা কমলেও বিশ্বে এখনো সবচেয়ে লম্বা জাতি ডাচরাই। তাঁরা কেন এত লম্বা অনেক বছর ধরেই সেই কারণ বের করার চেষ্টা করেছেন গবেষকেরা। গবেষণা থেকে ধারণা পাওয়া গেছে, বিষয়টি সম্ভবত প্রাকৃতিক নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে। আর লম্বা লোকজনের বেশি সন্তান থাকে এবং তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মও এই জিন বহন করে।
ডাচদের উচ্চতা কমার ধারণা চলতি বছরই পাওয়া গেছে এমনটি নয়। আগের গবেষণাগুলো থেকেও ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল, উদ্ভিজ্জ খাবারে বেশি মনোযোগ দেওয়া এবং ‘উচ্চতা বৃদ্ধির পরিবেশগত কারণগুলোর’ স্থিতিশীলতার কারণে ডাচদের উচ্চতা কমে যেতে পারে।
পৃথিবীর দীর্ঘতম জাতি ডাচ। বহুদিন ধরেই এই মর্যাদা ধরে রেখেছে। নেদারল্যান্ডসের এই মানুষেরাই নাকি খাটো হয়ে যাচ্ছে! স্ট্যাটিসটিকস নেদারল্যান্ডস, মিউনিসিপ্যাল হেলথ সার্ভিস (জিজিডি) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক হেলথের (আরআইভিএম) যৌথ গবেষণায় নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেওয়া ১৯ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭ লাখ ১৯ হাজার মানুষের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০১ সালে জন্ম নেওয়া ডাচ পুরুষেরা ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়াদের চেয়ে এক সেন্টিমিটার খাটো। নারীদের ক্ষেত্রে এই পার্থক্য আরও বেশি, ১ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৮০-র প্রজন্মই সম্ভবত সবচেয়ে লম্বা ছিল অর্থাৎ গত এক শতকের মধ্যে ডাচদের উচ্চতা ধারাবাহিক ভাবে বেড়েছে এবং ওই সময় সর্বোচ্চ ছিল।
১৯৮০ সালে নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেওয়া পুরুষদের গড় উচ্চতা ছিল ১৮৩ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার বা ছয় ফুট। তাঁরা ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়াদের চেয়ে ৮ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বা ৩ দশমিক ২৭ ইঞ্চি বেশি লম্বা ছিলেন। ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া নারীরাও উল্লেখযোগ্যরকম দীর্ঘাঙ্গী ছিলেন, তাঁদের উচ্চতা ছিল ১৭০ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়া নারীদের উচ্চতা ছিল ১৬৫ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
তুলনামূলক খর্ব জাতিগোষ্ঠী থেকে আসা অভিবাসীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বৃদ্ধি ডাচদের গড় উচ্চতা আংশিক কমে যাওয়ার জন্য কিছুটা দায়ী বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। কিন্তু যাদের বাবা-মা উভয়েরই জন্ম নেদারল্যান্ডসে তাঁদের উচ্চতাও কমে যাচ্ছে। এমনকি যারা চার প্রজন্ম ধরে নেদারল্যান্ডসে তাঁদের ক্ষেত্রেও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া যেসব ডাচ পুরুষের পরিবারে অভিবাসনের ইতিহাস নেই এসময়ের মধ্যে তাঁদের উচ্চতা বাড়েওনি। একই ধরনের পরিবারের সদস্য ডাচ নারীদের উচ্চতাও কমেছে।
তবে গত ৭০ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটেছে ডাচদের। ফলে উচ্চতায় তারা বিশ্বের অন্য সব জাতিকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির ১৯৩০-৩৪ প্রজন্মের প্রায় ৩ শতাংশ মানুষের উচ্চতা অন্তত ১৯০ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। ২০২০ সালে এই উচ্চতার মানুষের সংখ্যা ২০ শতাংশেরও বেশি ছিল। এ সময় নেদারল্যান্ডসে ১৯৫ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চিরও বেশি উচ্চতার মানুষ ছিলেন ৭ শতাংশের বেশি। ।
এদিকে ১৯৩০-৩৪ প্রজন্মের নেদারল্যান্ডসের নারীদের মধ্যে ২ শতাংশের উচ্চতা ছিল ১৮০ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। তবে ১৯৮০ সালে এসে নেদারল্যান্ডসে কমপক্ষে ১০ শতাংশ নারী ছিল ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার।
দেশটির ১৯৩০-৩৪ প্রজন্মের প্রায় ৩ শতাংশ অন্তত ১৯০ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা ছিল। আর ২০২০ সালে অন্তত ১৯০ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার মানুষ ছিল ২০ শতাংশেরও বেশি, এ সময় ৭ শতাংশের উচ্চতা ছিল ১৯৫ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চিরও বেশি।
তবে নেদারল্যান্ডসের সব এলাকার চিত্র একরকম নয়। দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা গেছে। নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণাঞ্চলের তুলনায় উত্তরের বাসিন্দারা ৩ থেকে সাড়ে ৩ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা।
গবেষকেরা বলছেন, উচ্চতা কমলেও বিশ্বে এখনো সবচেয়ে লম্বা জাতি ডাচরাই। তাঁরা কেন এত লম্বা অনেক বছর ধরেই সেই কারণ বের করার চেষ্টা করেছেন গবেষকেরা। গবেষণা থেকে ধারণা পাওয়া গেছে, বিষয়টি সম্ভবত প্রাকৃতিক নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে। আর লম্বা লোকজনের বেশি সন্তান থাকে এবং তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মও এই জিন বহন করে।
ডাচদের উচ্চতা কমার ধারণা চলতি বছরই পাওয়া গেছে এমনটি নয়। আগের গবেষণাগুলো থেকেও ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল, উদ্ভিজ্জ খাবারে বেশি মনোযোগ দেওয়া এবং ‘উচ্চতা বৃদ্ধির পরিবেশগত কারণগুলোর’ স্থিতিশীলতার কারণে ডাচদের উচ্চতা কমে যেতে পারে।
নতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্বের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের এক দল। তাদের দাবি, আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল কবা কৃষ্ণগহবর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
১২ আগস্ট ২০২৫নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১০ আগস্ট ২০২৫আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১০ আগস্ট ২০২৫