বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়ার চুল্লি উদ্বোধন করেছে জাপান। গত শুক্রবার দেশর রাজধানী টোকিওর উত্তরে অবস্থিত নাকা শহরে এই চুল্লি বা রিয়্যাক্টরটি চালু করা হয়। এই নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। সফল হলে তা ভবিষ্যতে মানুষের শক্তির চাহিদা পূরণের নিরাপদ উপায়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে বলে প্রত্যাশা বিজ্ঞানীদের।
বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই পারমাণবিক চুল্লিটির নাম জেটি-৬০ এসএ। মূলত ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে নিরাপদে কার্বনমুক্ত উপায়ে মানবজাতির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা নিশ্চিত করা সম্ভব কিনা তা যাচাই করতেই এই পারমাণবিক চুল্লি চালু করা হয়েছে।
বর্তমানে সাধারণত পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার ফিশন বিক্রিয় ব্যবহার করা হয়। যেখানে, কোনো মৌলের অতি বৃহৎ নিউক্লিয়াসকে (যেমন ইউরেনিয়াম ২৩৫ ও প্লুটোনিয়াম ২৯) উচ্চ গতিসম্পন্ন নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে দুটি প্রায় কাছাকাছি ভরবিশিষ্ট নিউক্লিয়াসে বিভক্ত হয়ে দুটি ভিন্ন মৌল উৎপন্ন কর। এই প্রক্রিয়াকে নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয় বিভাজন বিক্রিয়া বলা হয়। এ বিক্রিয়ায় বিপুল শক্তি নির্গত হয়।
বিপরীতে অত্যধিক উচ্চ তাপমাত্রায় দুটি ক্ষুদ্র পরমাণুর নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে অপেক্ষাকৃত বড় নিউক্লিয়াসযুক্ত ভিন্ন মৌল তৈরি করে এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তাকে নিউক্লিয় ফিউশন বিক্রিয়া বলে। একে থার্মোনিউক্লিয়ার বিক্রিয়াও বলা হয়। সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রে শক্তির উৎস হচ্ছে নিউক্লিয় ফিউশন বিক্রিয়া। হাইড্রোজেন বোমার ভিত্তি হচ্ছে এ ধরনের নিউক্লিয় ফিউশন বিক্রিয়া।
সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদনে চুল্লিটির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, এই চুল্লিটির উচ্চতা প্রায় ৬ তলা। এই চুল্লিটিতে চাকার রাবারের টিউবের মতো একটি ‘টোকম্যাক’ যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্রটির কাজ হলো চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে প্লাজমাকে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে আটকে রাখা। এ টোকম্যাক যন্ত্রটি সর্বোচ্চ ২০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত উত্তপ্ত প্লাজমা থাকতে পারে।
এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপান। তবে এর চেয়েও একটি বড় রিয়্যাক্টর স্থাপনের কাজ চলছে ফ্রান্সে। যাকে বলা হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিয়্যাক্টর বা আইটিইআর। উভয় চুল্লির চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো হাইড্রোজেন পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে তুলনামূলক ভারী পরমাণু হিলিয়ামের সঙ্গে সংযুক্ত করা। যার ফলে বিপুল পরিমাণ আলো ও তাপ শক্তি নির্গত হবে।
এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত গবেষক ও প্রকল্পের ডেপুটি লিডার স্যাম ডেভিস বলেন, এই যন্ত্রটি আমাদের ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি অর্জনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে দেবে। তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্প ইউরোপ ও জাপানের ৫ শতাধিক বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী এবং ৭০ টিরও বেশি কোম্পানির মধ্যে সহযোগিতার ফলাফল।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়ার চুল্লি উদ্বোধন করেছে জাপান। গত শুক্রবার দেশর রাজধানী টোকিওর উত্তরে অবস্থিত নাকা শহরে এই চুল্লি বা রিয়্যাক্টরটি চালু করা হয়। এই নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। সফল হলে তা ভবিষ্যতে মানুষের শক্তির চাহিদা পূরণের নিরাপদ উপায়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে বলে প্রত্যাশা বিজ্ঞানীদের।
বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই পারমাণবিক চুল্লিটির নাম জেটি-৬০ এসএ। মূলত ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে নিরাপদে কার্বনমুক্ত উপায়ে মানবজাতির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা নিশ্চিত করা সম্ভব কিনা তা যাচাই করতেই এই পারমাণবিক চুল্লি চালু করা হয়েছে।
বর্তমানে সাধারণত পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার ফিশন বিক্রিয় ব্যবহার করা হয়। যেখানে, কোনো মৌলের অতি বৃহৎ নিউক্লিয়াসকে (যেমন ইউরেনিয়াম ২৩৫ ও প্লুটোনিয়াম ২৯) উচ্চ গতিসম্পন্ন নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে দুটি প্রায় কাছাকাছি ভরবিশিষ্ট নিউক্লিয়াসে বিভক্ত হয়ে দুটি ভিন্ন মৌল উৎপন্ন কর। এই প্রক্রিয়াকে নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয় বিভাজন বিক্রিয়া বলা হয়। এ বিক্রিয়ায় বিপুল শক্তি নির্গত হয়।
বিপরীতে অত্যধিক উচ্চ তাপমাত্রায় দুটি ক্ষুদ্র পরমাণুর নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে অপেক্ষাকৃত বড় নিউক্লিয়াসযুক্ত ভিন্ন মৌল তৈরি করে এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তাকে নিউক্লিয় ফিউশন বিক্রিয়া বলে। একে থার্মোনিউক্লিয়ার বিক্রিয়াও বলা হয়। সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রে শক্তির উৎস হচ্ছে নিউক্লিয় ফিউশন বিক্রিয়া। হাইড্রোজেন বোমার ভিত্তি হচ্ছে এ ধরনের নিউক্লিয় ফিউশন বিক্রিয়া।
সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদনে চুল্লিটির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, এই চুল্লিটির উচ্চতা প্রায় ৬ তলা। এই চুল্লিটিতে চাকার রাবারের টিউবের মতো একটি ‘টোকম্যাক’ যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্রটির কাজ হলো চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে প্লাজমাকে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে আটকে রাখা। এ টোকম্যাক যন্ত্রটি সর্বোচ্চ ২০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত উত্তপ্ত প্লাজমা থাকতে পারে।
এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপান। তবে এর চেয়েও একটি বড় রিয়্যাক্টর স্থাপনের কাজ চলছে ফ্রান্সে। যাকে বলা হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিয়্যাক্টর বা আইটিইআর। উভয় চুল্লির চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো হাইড্রোজেন পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে তুলনামূলক ভারী পরমাণু হিলিয়ামের সঙ্গে সংযুক্ত করা। যার ফলে বিপুল পরিমাণ আলো ও তাপ শক্তি নির্গত হবে।
এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত গবেষক ও প্রকল্পের ডেপুটি লিডার স্যাম ডেভিস বলেন, এই যন্ত্রটি আমাদের ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি অর্জনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে দেবে। তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্প ইউরোপ ও জাপানের ৫ শতাধিক বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী এবং ৭০ টিরও বেশি কোম্পানির মধ্যে সহযোগিতার ফলাফল।’
নতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্বের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের এক দল। তাদের দাবি, আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল কবা কৃষ্ণগহবর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
১২ আগস্ট ২০২৫নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১০ আগস্ট ২০২৫আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১০ আগস্ট ২০২৫