টাইম মেশিনে করে টাইম ট্রাভেল বা অতীত-ভবিষ্যতে ভ্রমণের কল্পকাহিনী আমরা অনেকেই পড়েছি। এমন বহু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে নাটক-সিনেমাও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে টাইম ট্রাভেল কি সম্ভব, সম্ভব হলে অতীত বা বর্তমানের ঘটনা কি পরিবর্তন করা সম্ভব। বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই।
এমনই এক দাবি করেছিলেন পনোমারেঙ্কো নামের এক যুবক। তিনি নিজেকে গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের যুবক বলে দাবি করেন। এই শতকের প্রথম দশকে ‘অতীত ভ্রমণ’ নিয়ে তাঁর বক্তব্যের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছিলেন। তবে বহু বছর পর পনোমারেঙ্কোর দাবিকে মিথ্যা করার চেষ্টা করেছেন আমেরিকান ইউটিউবার জো স্কট। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও চলছে বেশ।
তবে কি পনোমারেঙ্কো টাইম করেছিলেন? নাকি তাঁর দাবি মিথ্যা। কিন্তু এই সত্য-মিথ্যার তর্কের মধ্যে সবার মনেই যে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক তা হলো— আসলেই কি টাইম ট্রাভেল বা অতীত ও ভবিষ্যতে ভ্রমণ সম্ভব।
‘আমরা যদি টাইম ট্রাভেল করে পেছনে ফিরে যেতে পারি এবং অতীত পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে কি ভবিষ্যৎ পরিবর্তন হবে।’— কয়েক দশক ধরে পদার্থবিদেরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে যাচ্ছেন। ২০২০ সালে হওয়া এক গবেষণা উত্তরে বলছে, ‘কোনো পরিবর্তন হবে না’।
গবেষণা নিবন্ধটির লেখক জার্মেইন টোবার আইএফএলসায়েন্সকে বলেছিলেন, ‘ঘটনাগুলো প্যারাডক্সের দিকে যাবে না— এমনভাবেই পরিবর্তিত হবে। ফলে কোনো প্যারাডক্সের সৃষ্টি হবে না।’
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পিয়ার-রিভিউড জার্নাল ‘ক্ল্যাসিক্যাল অ্যান্ড কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি’তে প্রকাশিত টোবারের গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়— তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা অনুসারে, অতীতে কিছু পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও ভবিষ্যতের ঘটনাগুলো এটিকে আবার আগের মতো করে দেবে। সহজভাবে বললে, তাত্ত্বিকভাবে অতীত ভ্রমণ সম্ভব, তবে ইতিহাস পরিবর্তন করা সম্ভব না।
গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স
আলবার্ট আইনস্টাইন তার আপেক্ষিকতার তত্ত্ব নিয়ে আসার পর থেকে পদার্থবিজ্ঞানীরা সময় ভ্রমণ বা টাইম ট্রাভেলকে তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব বলে মনে করেন। আইনস্টাইনের হিসেব অনুযায়ী, আমাদের মহাবিশ্বের একটি বস্তুর পক্ষে বৃত্তাকার দিকে স্থান এবং সময়ের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করা সম্ভব। বস্তুটি যেখান থেকে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিল, শেষ পর্যন্ত সেখানেই এসে থামবে। এই পথকে বলা হয়- বদ্ধ সময়ের বক্ররেখা।
তবে অতীতের ঘটনা বদলানো নিয়ে অনেক প্যারাডক্স বা ধাঁধা প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে— গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স। এই প্যারাডক্স অনুযায়ী, টাইম ট্রাভেল করে অতীত গিয়ে কেউ তাঁর বাবার জন্মের আগেই আসল দাদাকে মেরে ফেললেন। এখন কথা হলো বাবার জন্মের আগেই যদি দাদা মারা যান, তবে খুনিরও জন্ম হয়নি। তবে তাঁর যদি জন্মই না হয়, তাহলে সে তো টাইম ট্রাভেলও করতে পারবেন না, আর দাদাকেও মারতে পারবেন না।
প্যারাডক্সটি সমাধানে টোবার ও তার গুরু ড. ফ্যাবিও কস্তা একটি ‘বিলিয়ার্ড-বল মডেল’ ব্যবহার করেন। বিলিয়ার্ডে বলগুলোর একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ থেকেই এই মডেলের ধারণা এসেছে। এক্ষেত্রে পুল টেবিলটি প্রথাগত আয়ত ক্ষেত্রাকার আকৃতি নয় বরং বৃত্তাকার হবে, যা একটি বদ্ধ সময়ের বক্ররেখার প্রতীক। এই ধারণা অনুযায়ী, বস্তু টাইম ট্রাভেল করতে পারে এবং যেখান থেকে এটি যাত্রা শুরু করেছিল, সেখানেই এটি যাত্রা শেষ করবে।
একটি গোল টেবিলের ওপর সাজানো বিলিয়ার্ড বলের দিকে যদি একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে বল দিয়ে ধাক্কা দেওয়া হয়, তাহলে এটি টেবিলের অন্য বলগুলোকে নির্দিষ্ট উপায়ে আঘাত করবে। তবে গবেষকেরা হিসেব করে দেখেছেন যে, সংঘর্ষের কারণে কোনোভাবে বলের প্যাটার্ন এলোমেলো করে দেওয়া হলেও পরবর্তী সংঘর্ষগুলোর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত আগের জায়গাতেই ফিরে আসবে বলগুলো।
ইউসি বার্কলের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ডাঃ ইয়াসুনোরি নোমুরা ইনসাইডারকে বলেছিলেন, ‘আপনি যেভাবেই চান না কেন, বলগুলো শেষ পর্যন্ত একই জায়গায় এসে পড়বে।’
টাইম মেশিনে করে টাইম ট্রাভেল বা অতীত-ভবিষ্যতে ভ্রমণের কল্পকাহিনী আমরা অনেকেই পড়েছি। এমন বহু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে নাটক-সিনেমাও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে টাইম ট্রাভেল কি সম্ভব, সম্ভব হলে অতীত বা বর্তমানের ঘটনা কি পরিবর্তন করা সম্ভব। বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই।
এমনই এক দাবি করেছিলেন পনোমারেঙ্কো নামের এক যুবক। তিনি নিজেকে গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের যুবক বলে দাবি করেন। এই শতকের প্রথম দশকে ‘অতীত ভ্রমণ’ নিয়ে তাঁর বক্তব্যের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছিলেন। তবে বহু বছর পর পনোমারেঙ্কোর দাবিকে মিথ্যা করার চেষ্টা করেছেন আমেরিকান ইউটিউবার জো স্কট। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও চলছে বেশ।
তবে কি পনোমারেঙ্কো টাইম করেছিলেন? নাকি তাঁর দাবি মিথ্যা। কিন্তু এই সত্য-মিথ্যার তর্কের মধ্যে সবার মনেই যে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক তা হলো— আসলেই কি টাইম ট্রাভেল বা অতীত ও ভবিষ্যতে ভ্রমণ সম্ভব।
‘আমরা যদি টাইম ট্রাভেল করে পেছনে ফিরে যেতে পারি এবং অতীত পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে কি ভবিষ্যৎ পরিবর্তন হবে।’— কয়েক দশক ধরে পদার্থবিদেরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে যাচ্ছেন। ২০২০ সালে হওয়া এক গবেষণা উত্তরে বলছে, ‘কোনো পরিবর্তন হবে না’।
গবেষণা নিবন্ধটির লেখক জার্মেইন টোবার আইএফএলসায়েন্সকে বলেছিলেন, ‘ঘটনাগুলো প্যারাডক্সের দিকে যাবে না— এমনভাবেই পরিবর্তিত হবে। ফলে কোনো প্যারাডক্সের সৃষ্টি হবে না।’
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পিয়ার-রিভিউড জার্নাল ‘ক্ল্যাসিক্যাল অ্যান্ড কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি’তে প্রকাশিত টোবারের গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়— তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা অনুসারে, অতীতে কিছু পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও ভবিষ্যতের ঘটনাগুলো এটিকে আবার আগের মতো করে দেবে। সহজভাবে বললে, তাত্ত্বিকভাবে অতীত ভ্রমণ সম্ভব, তবে ইতিহাস পরিবর্তন করা সম্ভব না।
গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স
আলবার্ট আইনস্টাইন তার আপেক্ষিকতার তত্ত্ব নিয়ে আসার পর থেকে পদার্থবিজ্ঞানীরা সময় ভ্রমণ বা টাইম ট্রাভেলকে তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব বলে মনে করেন। আইনস্টাইনের হিসেব অনুযায়ী, আমাদের মহাবিশ্বের একটি বস্তুর পক্ষে বৃত্তাকার দিকে স্থান এবং সময়ের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করা সম্ভব। বস্তুটি যেখান থেকে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিল, শেষ পর্যন্ত সেখানেই এসে থামবে। এই পথকে বলা হয়- বদ্ধ সময়ের বক্ররেখা।
তবে অতীতের ঘটনা বদলানো নিয়ে অনেক প্যারাডক্স বা ধাঁধা প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে— গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স। এই প্যারাডক্স অনুযায়ী, টাইম ট্রাভেল করে অতীত গিয়ে কেউ তাঁর বাবার জন্মের আগেই আসল দাদাকে মেরে ফেললেন। এখন কথা হলো বাবার জন্মের আগেই যদি দাদা মারা যান, তবে খুনিরও জন্ম হয়নি। তবে তাঁর যদি জন্মই না হয়, তাহলে সে তো টাইম ট্রাভেলও করতে পারবেন না, আর দাদাকেও মারতে পারবেন না।
প্যারাডক্সটি সমাধানে টোবার ও তার গুরু ড. ফ্যাবিও কস্তা একটি ‘বিলিয়ার্ড-বল মডেল’ ব্যবহার করেন। বিলিয়ার্ডে বলগুলোর একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ থেকেই এই মডেলের ধারণা এসেছে। এক্ষেত্রে পুল টেবিলটি প্রথাগত আয়ত ক্ষেত্রাকার আকৃতি নয় বরং বৃত্তাকার হবে, যা একটি বদ্ধ সময়ের বক্ররেখার প্রতীক। এই ধারণা অনুযায়ী, বস্তু টাইম ট্রাভেল করতে পারে এবং যেখান থেকে এটি যাত্রা শুরু করেছিল, সেখানেই এটি যাত্রা শেষ করবে।
একটি গোল টেবিলের ওপর সাজানো বিলিয়ার্ড বলের দিকে যদি একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে বল দিয়ে ধাক্কা দেওয়া হয়, তাহলে এটি টেবিলের অন্য বলগুলোকে নির্দিষ্ট উপায়ে আঘাত করবে। তবে গবেষকেরা হিসেব করে দেখেছেন যে, সংঘর্ষের কারণে কোনোভাবে বলের প্যাটার্ন এলোমেলো করে দেওয়া হলেও পরবর্তী সংঘর্ষগুলোর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত আগের জায়গাতেই ফিরে আসবে বলগুলো।
ইউসি বার্কলের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ডাঃ ইয়াসুনোরি নোমুরা ইনসাইডারকে বলেছিলেন, ‘আপনি যেভাবেই চান না কেন, বলগুলো শেষ পর্যন্ত একই জায়গায় এসে পড়বে।’
নতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্বের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের এক দল। তাদের দাবি, আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল কবা কৃষ্ণগহবর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
১২ আগস্ট ২০২৫নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১০ আগস্ট ২০২৫আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১০ আগস্ট ২০২৫