দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ স্পিটফায়ার যুদ্ধবিমানগুলোর পাইলটেরা তাদের যুদ্ধবিমানগুলোকে তাদের শরীরেরই বর্ধিতাংশ বলে বর্ণনা দিয়েছিলেন। এবার তার চেয়েও এগিয়ে গিয়ে যুদ্ধবিমানগুলোকে পাইলটের মন পড়তে পারার উপযোগী করে তৈরি করার চিন্তা চলছে। হতে পারে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই চলে আসতে পারে ‘টেম্পেস্ট’ নামের এই যুদ্ধবিমান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেম্পেস্ট নামের যুদ্ধবিমানটির নকশা এবং যাবতীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে যৌথভাবে। যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ অ্যারোস্পেস সিস্টেমস, বিশ্বখ্যাত ইঞ্জিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোলস রয়েস, ইউরোপীয় ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমডিবিএ এবং ইতালির অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো সম্মিলিতভাবে এই প্রকল্পে কাজ করছে। জাপানি প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশির প্রকল্প এফ–এক্স ফিউচার ফাইটারের সঙ্গেও এই প্রকল্পের মিল রয়েছে।
এই যুদ্ধবিমানটির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো—যদি কখনো কোনো পাইলট যুদ্ধক্ষেত্রে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন কিংবা তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেই পরিস্থিতিতে পাইলকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে পারবে। পাইলটের হেলমেটে থাকা বিশেষ সেন্সর তাঁর মস্তিষ্কের সিগন্যাল এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় তথ্য যাচাই–বাছাই করতে পারবে। ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ফ্লাইট থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পাইলটের যাবতীয় শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই তথ্যগুলো প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণও করবে এবং কখনো ফ্লাইটে হতবিহ্বল হয়ে পড়লে কিংবা তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে গেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাঁকে সাহায্য করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—কখনো উচ্চ অভিকর্ষ বলের কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজে থেকেই যুদ্ধবিমানটি চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
বিশ্বখ্যাত ফার্নবরো এয়ার শোতে ব্রিটিশ অ্যারোস্পেস সিস্টেমস জানিয়েছে, আগামী ২০২৭ সালের মধ্যেই তাঁরা পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে যেতে পারবে। ল্যাঙ্কাশায়ারের ওয়ারটন কারখানা থেকে এই পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন পরিচালনা করা হবে। যেখানে যুদ্ধবিমানটির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য খতিয়ে দেখা হবে।
টেম্পেস্ট প্রকল্পের ব্যবসায় উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক জন স্টকার বলেছেন, ‘প্রযুক্তিতে যে দ্রুত পরিবর্তন তার সঙ্গে আমাদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। অতীতে, আগে যেখানে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিই আগে আসত, বাণিজ্যিক প্রযুক্তি আসত তাঁর পর। এখন বাণিজ্যিক প্রযুক্তিই আসছে আগে।’
বিজ্ঞান সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ স্পিটফায়ার যুদ্ধবিমানগুলোর পাইলটেরা তাদের যুদ্ধবিমানগুলোকে তাদের শরীরেরই বর্ধিতাংশ বলে বর্ণনা দিয়েছিলেন। এবার তার চেয়েও এগিয়ে গিয়ে যুদ্ধবিমানগুলোকে পাইলটের মন পড়তে পারার উপযোগী করে তৈরি করার চিন্তা চলছে। হতে পারে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই চলে আসতে পারে ‘টেম্পেস্ট’ নামের এই যুদ্ধবিমান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেম্পেস্ট নামের যুদ্ধবিমানটির নকশা এবং যাবতীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে যৌথভাবে। যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ অ্যারোস্পেস সিস্টেমস, বিশ্বখ্যাত ইঞ্জিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোলস রয়েস, ইউরোপীয় ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমডিবিএ এবং ইতালির অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো সম্মিলিতভাবে এই প্রকল্পে কাজ করছে। জাপানি প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশির প্রকল্প এফ–এক্স ফিউচার ফাইটারের সঙ্গেও এই প্রকল্পের মিল রয়েছে।
এই যুদ্ধবিমানটির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো—যদি কখনো কোনো পাইলট যুদ্ধক্ষেত্রে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন কিংবা তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেই পরিস্থিতিতে পাইলকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে পারবে। পাইলটের হেলমেটে থাকা বিশেষ সেন্সর তাঁর মস্তিষ্কের সিগন্যাল এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় তথ্য যাচাই–বাছাই করতে পারবে। ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ফ্লাইট থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পাইলটের যাবতীয় শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই তথ্যগুলো প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণও করবে এবং কখনো ফ্লাইটে হতবিহ্বল হয়ে পড়লে কিংবা তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে গেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাঁকে সাহায্য করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—কখনো উচ্চ অভিকর্ষ বলের কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজে থেকেই যুদ্ধবিমানটি চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
বিশ্বখ্যাত ফার্নবরো এয়ার শোতে ব্রিটিশ অ্যারোস্পেস সিস্টেমস জানিয়েছে, আগামী ২০২৭ সালের মধ্যেই তাঁরা পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে যেতে পারবে। ল্যাঙ্কাশায়ারের ওয়ারটন কারখানা থেকে এই পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন পরিচালনা করা হবে। যেখানে যুদ্ধবিমানটির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য খতিয়ে দেখা হবে।
টেম্পেস্ট প্রকল্পের ব্যবসায় উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক জন স্টকার বলেছেন, ‘প্রযুক্তিতে যে দ্রুত পরিবর্তন তার সঙ্গে আমাদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। অতীতে, আগে যেখানে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিই আগে আসত, বাণিজ্যিক প্রযুক্তি আসত তাঁর পর। এখন বাণিজ্যিক প্রযুক্তিই আসছে আগে।’
বিজ্ঞান সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
নতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্বের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের এক দল। তাদের দাবি, আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল কবা কৃষ্ণগহবর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
২৩ দিন আগেনিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
২৪ দিন আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২৫ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২৫ দিন আগে