শহরে বাসাবাড়িগুলো সাধারণত দিনরাতের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। ফলে একটি গুমোট ভাব চলে আসে। এতে ঘরের বাতাস দূষিত হয়ে উঠতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে অনেকে ঘরের ভেতরে টবে বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে রাখেন। অনেকের বিশ্বাস, বিশেষ কিছু গাছ ঘরের বায়ু বিশুদ্ধ রাখে। কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে এসব গাছ। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে বিশেষ প্রজাতির গাছ রাখার পরামর্শসংবলিত প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো, এসব তথ্যের তেমন কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায় না।
বেশির ভাগ প্রতিবেদনে ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত নাসার এক গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়। ভায়োলেটেড অরগানিক কম্পাউন্ড (ভিওসি) বা উদ্বায়ী জৈব রাসায়নিক পদার্থের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক বদ্ধ জায়গায় থাকতে পারে। বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী, আসবাব, বার্নিশ, কার্পেট, প্রিন্টার থেকে এসব রাসায়নিক তৈরি হয়। এমনকি রান্নাঘর থেকে এসব রাসায়নিক তৈরি হতে পারে। এসব রাসায়নিক অপসারণে ঘরের গাছ কোনো ভূমিকা রাখতে পারে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা সে সময় পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা যায়, কিছু প্রজাতির গাছ ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষাধীন তিন ধরনের ভিওসির মধ্যে এক বা একাধিকটির ৭০ শতাংশ পর্যন্ত অপসারণ করতে পারে।
তবে ২০১৯ সালে নাসার ডেটা পর্যবেক্ষণ করে এবং আরও ১১টি গবেষণায় এ দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরীক্ষাগুলো সাধারণত গাছগুলোর ওপর ভিওসি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ফ্যান ব্যবহার করা হয় এবং এরপর সেগুলো সংগ্রহ করার জন্য কার্বন ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পরীক্ষাকালে গাছগুলো ছোট ও আবদ্ধ চেম্বারে রাখা হয়। এতে গাছগুলোর বায়ু বিশুদ্ধ করার সক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কিন্তু মানুষের বসবাসের ঘর কখনোই পুরোপুরি বায়ুনিরোধক হয় না। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, পরীক্ষায় বাতাস থেকে ওই পরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস (ভিওসি) অপসারণের জন্য বসবাসের ঘরের মতো বাতাস চলাচলের স্থানে আকারের ভিত্তিতে প্রতি বর্গমিটারের মধ্যে ১০ থেকে ১ হাজার গাছ লাগাতে হবে।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরে গাছ লাগানোর অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মানুষের মন ভালো রাখে, কাজে উৎসাহ বাড়ায় এবং নিঃসন্দেহে সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেয়।
ঘরের ভেতরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে চাইলে দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। এ ছাড়া ভালো মানের ফিল্টারসহ এয়ার পিউরিফায়ারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস
শহরে বাসাবাড়িগুলো সাধারণত দিনরাতের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। ফলে একটি গুমোট ভাব চলে আসে। এতে ঘরের বাতাস দূষিত হয়ে উঠতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে অনেকে ঘরের ভেতরে টবে বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে রাখেন। অনেকের বিশ্বাস, বিশেষ কিছু গাছ ঘরের বায়ু বিশুদ্ধ রাখে। কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে এসব গাছ। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে বিশেষ প্রজাতির গাছ রাখার পরামর্শসংবলিত প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো, এসব তথ্যের তেমন কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায় না।
বেশির ভাগ প্রতিবেদনে ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত নাসার এক গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়। ভায়োলেটেড অরগানিক কম্পাউন্ড (ভিওসি) বা উদ্বায়ী জৈব রাসায়নিক পদার্থের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক বদ্ধ জায়গায় থাকতে পারে। বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী, আসবাব, বার্নিশ, কার্পেট, প্রিন্টার থেকে এসব রাসায়নিক তৈরি হয়। এমনকি রান্নাঘর থেকে এসব রাসায়নিক তৈরি হতে পারে। এসব রাসায়নিক অপসারণে ঘরের গাছ কোনো ভূমিকা রাখতে পারে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা সে সময় পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা যায়, কিছু প্রজাতির গাছ ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষাধীন তিন ধরনের ভিওসির মধ্যে এক বা একাধিকটির ৭০ শতাংশ পর্যন্ত অপসারণ করতে পারে।
তবে ২০১৯ সালে নাসার ডেটা পর্যবেক্ষণ করে এবং আরও ১১টি গবেষণায় এ দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরীক্ষাগুলো সাধারণত গাছগুলোর ওপর ভিওসি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ফ্যান ব্যবহার করা হয় এবং এরপর সেগুলো সংগ্রহ করার জন্য কার্বন ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পরীক্ষাকালে গাছগুলো ছোট ও আবদ্ধ চেম্বারে রাখা হয়। এতে গাছগুলোর বায়ু বিশুদ্ধ করার সক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কিন্তু মানুষের বসবাসের ঘর কখনোই পুরোপুরি বায়ুনিরোধক হয় না। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, পরীক্ষায় বাতাস থেকে ওই পরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস (ভিওসি) অপসারণের জন্য বসবাসের ঘরের মতো বাতাস চলাচলের স্থানে আকারের ভিত্তিতে প্রতি বর্গমিটারের মধ্যে ১০ থেকে ১ হাজার গাছ লাগাতে হবে।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরে গাছ লাগানোর অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মানুষের মন ভালো রাখে, কাজে উৎসাহ বাড়ায় এবং নিঃসন্দেহে সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেয়।
ঘরের ভেতরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে চাইলে দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। এ ছাড়া ভালো মানের ফিল্টারসহ এয়ার পিউরিফায়ারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস
নতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্বের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের এক দল। তাদের দাবি, আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল কবা কৃষ্ণগহবর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
২২ দিন আগেনিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
২৩ দিন আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২৪ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২৪ দিন আগে