সর্বশেষ চন্দ্র মিশনের ৪৭ বছর পর আবারও পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে রাশিয়া। যাত্রার প্রথম ধাপ ভালোভাবে সম্পন্ন হলেও চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ঠিক আগে রুশ মহাকাশযান লুনা-২৫ এ একটি ‘জরুরি অবস্থার’ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শনিবার রসকসমস জানিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ঠিক আগে প্রাক-অবতরণ কক্ষপথে প্রবেশের সময় লুনা-২৫ এ একটি জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে ঠিক কী ধরনের জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে রসকসমস বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি।
সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে নিজস্ব চ্যানেলে এক বার্তায় রসকসমস বলেছে, ‘স্বয়ংক্রিয় স্টেশনটি প্রচেষ্টা (প্রাক-অবতরণ কক্ষপথে প্রবেশের চেষ্টা) চালানোর সময় একটি জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়। যার ফলে মহাকাশযানটি নির্দিষ্ট এলাকায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারছে না।’ বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘গ্রাউন্ড কন্ট্রোলিং ব্যবস্থাপনা বিভাগ বর্তমানে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছে।’
তবে এটি এখনো পরিষ্কার নয় যে, এই জরুরি অবস্থার ফলে লুনা-২৫ এর চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ বিলম্বিত হবে কি না। আগামীকাল সোমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর একটি এলাকায় লুনা-২৫ এর অবতরণ করার কথা ছিল।
সর্বশেষ সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে ১৯৭৬ সালে চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল রাশিয়া। এর পর এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে লুনা-২৫ নামে মহাকাশযানটি পাঠাল রাশিয়া। রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে অবস্থিত ভস্টকনি উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই মহাকাশযানটি শতভাগ রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ উপাদান এবং প্রযুক্তিতে তৈরি। রাশিয়ার আগে এর উত্তরসূরি দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২৪টি লুনার মিশন বা চাঁদে ২৪ বার মহাকাশযান পাঠিয়েছিল।
মূলত চাঁদে মানব বসতি গড়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উপগ্রহটিতে পানির সন্ধান চলছে দীর্ঘ দিন ধরেই। এবার সেই দৌড়ে যোগ দিল রাশিয়ায়। দেশটির মহাকাশযান লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির উৎসের সন্ধান করবে।
রুশ মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান রসকসমস এর আগে জানিয়েছিল, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ আগস্ট লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। যদি অবতরণ সফল হয় তবে তা ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ এর দুদিন আগেই চাঁদের মেরুতে অবতরণ করবে। অথচ চন্দ্রযান-৩ লুনা-২৫ এর সপ্তাহখানেক আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষিপ্ত হয়েছে।
এর আগে, চাঁদে পাঠানো সব মহাকাশযানই উপগ্রহটির নিরক্ষীয় রেখা বা এর আশপাশের অঞ্চলে অবতরণ করেছে। এই প্রথম কোনো যান উপগ্রহটির দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে যাচ্ছে।
রসকসমস জানিয়েছে, লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে। মহাকাশযানটিতে এমন সব যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে যেগুলো চাঁদের মাটি, প্লাজমা এবং ধুলো থেকে বিভিন্ন বিরল খনিজ এবং পানির উৎস সন্ধানে গবেষণা চালাবে। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্যানুসারে, লুনা-২৫ চাঁদে অন্তত ১ বছর অবস্থান করবে।
সর্বশেষ চন্দ্র মিশনের ৪৭ বছর পর আবারও পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে রাশিয়া। যাত্রার প্রথম ধাপ ভালোভাবে সম্পন্ন হলেও চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ঠিক আগে রুশ মহাকাশযান লুনা-২৫ এ একটি ‘জরুরি অবস্থার’ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শনিবার রসকসমস জানিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ঠিক আগে প্রাক-অবতরণ কক্ষপথে প্রবেশের সময় লুনা-২৫ এ একটি জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে ঠিক কী ধরনের জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে রসকসমস বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি।
সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে নিজস্ব চ্যানেলে এক বার্তায় রসকসমস বলেছে, ‘স্বয়ংক্রিয় স্টেশনটি প্রচেষ্টা (প্রাক-অবতরণ কক্ষপথে প্রবেশের চেষ্টা) চালানোর সময় একটি জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়। যার ফলে মহাকাশযানটি নির্দিষ্ট এলাকায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারছে না।’ বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘গ্রাউন্ড কন্ট্রোলিং ব্যবস্থাপনা বিভাগ বর্তমানে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছে।’
তবে এটি এখনো পরিষ্কার নয় যে, এই জরুরি অবস্থার ফলে লুনা-২৫ এর চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ বিলম্বিত হবে কি না। আগামীকাল সোমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর একটি এলাকায় লুনা-২৫ এর অবতরণ করার কথা ছিল।
সর্বশেষ সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে ১৯৭৬ সালে চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল রাশিয়া। এর পর এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে লুনা-২৫ নামে মহাকাশযানটি পাঠাল রাশিয়া। রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে অবস্থিত ভস্টকনি উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই মহাকাশযানটি শতভাগ রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ উপাদান এবং প্রযুক্তিতে তৈরি। রাশিয়ার আগে এর উত্তরসূরি দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২৪টি লুনার মিশন বা চাঁদে ২৪ বার মহাকাশযান পাঠিয়েছিল।
মূলত চাঁদে মানব বসতি গড়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উপগ্রহটিতে পানির সন্ধান চলছে দীর্ঘ দিন ধরেই। এবার সেই দৌড়ে যোগ দিল রাশিয়ায়। দেশটির মহাকাশযান লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির উৎসের সন্ধান করবে।
রুশ মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান রসকসমস এর আগে জানিয়েছিল, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ আগস্ট লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। যদি অবতরণ সফল হয় তবে তা ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ এর দুদিন আগেই চাঁদের মেরুতে অবতরণ করবে। অথচ চন্দ্রযান-৩ লুনা-২৫ এর সপ্তাহখানেক আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষিপ্ত হয়েছে।
এর আগে, চাঁদে পাঠানো সব মহাকাশযানই উপগ্রহটির নিরক্ষীয় রেখা বা এর আশপাশের অঞ্চলে অবতরণ করেছে। এই প্রথম কোনো যান উপগ্রহটির দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে যাচ্ছে।
রসকসমস জানিয়েছে, লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে। মহাকাশযানটিতে এমন সব যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে যেগুলো চাঁদের মাটি, প্লাজমা এবং ধুলো থেকে বিভিন্ন বিরল খনিজ এবং পানির উৎস সন্ধানে গবেষণা চালাবে। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্যানুসারে, লুনা-২৫ চাঁদে অন্তত ১ বছর অবস্থান করবে।
নতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্বের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের এক দল। তাদের দাবি, আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল কবা কৃষ্ণগহবর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
১২ আগস্ট ২০২৫নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১০ আগস্ট ২০২৫আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১০ আগস্ট ২০২৫