সাইরুল ইসলাম, ঢাকা
সৌরজগতের গ্রহ কয়টি? নব্বইয়ের দশকে এমন প্রশ্নের চটজলদি উত্তর ছিল ‘৯টি’। সে সময় যে শিশুটি ছবি এঁকেছে তার আঁকুনিতে সূর্যকে ঘিরে ৯টি গ্রহ-ই ছিল। বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লুটো। এখনকার শিশুরা পাল্টা প্রশ্ন করে—প্লুটো কোথায় গেল? ঘুম পাড়ানি গল্পের মতো মা তাকে বুঝিয়ে দেয় প্লুটো অভিমান করেছে। কেন অভিমান করেছে সে? মা নিরুত্তর!
মহাকালের সাক্ষী হয়ে থাকা গোলাকার পিণ্ড প্লুটোর সেই অভিমানের গল্পই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকীতে বলতে চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেন্ট লুইসের পৃথিবী ও গ্রহবিজ্ঞানের অধ্যাপক পল বার্ন।
এই গল্পের শুরুটা আঠারো শতকে হলেও মূল ক্লাইম্যাক্স একবিংশ শতকে। আঠারো শতকের মাঝামাঝি সৌরজগতে নেপচুন নামক গ্রহের খোঁজ পাওয়ার সময়ই আরেকটি গ্রহের ধারণা পেতে থাকেন জ্যোতির্বিদেরা। বিজ্ঞ পণ্ডিতদের তাক লাগিয়ে দিয়ে ১৯৩০ সালে নতুন গ্রহটির খোঁজ আনেন ২৩ বছর বয়সী মার্কিন ক্লাইড টমবো। নাম দেওয়া হয় ‘প্লুটো’। সেই প্লুটোকে নিয়েই আজকের ‘অভিমানী’ গল্প।
বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লুটো। আবিষ্কারের পর প্রায় ৬০ বছর গল্পটা গৎবাঁধা নিয়মেই এগিয়ে যাচ্ছিল। বাদ সাধে গত শতকের শেষ দশকে। কুইপার বেল্ট নামক মহাকাশের যে এলাকা থেকে প্লুটোর খোঁজ পাওয়া যায়, সেখানে একের পর এক আরও অনেক মহাজাগতিক বস্তুর উপস্থিতি জানতে পারেন বিজ্ঞানীরা। এদের কয়েকটি আবার প্লুটোর চেয়েও বড়।
আড়ালের প্রতিবেশীদের এমন হাজিরা দেওয়াই কাল হয় প্লুটোর জন্য।
গ্রহ নিয়ে তাই সংজ্ঞা প্রদান করে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (আইএইউ)। তাদের মতে, তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকলেই কেবল গ্রহ বলা যাবে। ১. সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে হবে। ২. থাকতে হবে যথেষ্ট ভর, যেন অভিকর্ষীয় শক্তির মাধ্যমে মোটামুটি গোলাকার হতে পারে। ৩. কক্ষপথে ঘোরার সময় আশপাশে রাখতে হবে শক্তিশালী প্রভাব, যাতে করে জঞ্জাল পরিষ্কার রাখা যায়।
প্রথম শর্ত পূরণ করতে পারলেও বাকি দুইটিতে ফেল করে প্লুটো। ফলে ২০০৬ সালের আগস্টে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাস্তায় নামেন প্লুটোপ্রেমীরা। মনে বেজায় কষ্ট পায় দেয়ালে প্লুটোর ছবি এঁকে রাখা শিশুরা।
১৫ বছর পর এসে দেখা যাক আসলে শর্তগুলো ঠিক ছিল কি না। সবচেয়ে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছে তৃতীয় শর্ত নিয়ে। কেননা, পৃথিবী কিংবা অন্য গ্রহের মতো প্লুটোর আশপাশে এত মহাজাগতিক বস্তু নেই। কয়েকটা আবার প্লুটোর চেয়ে বড়। ফলে শর্তগুলো সব গ্রহের জন্য সমান হলো না। আর যথেষ্ট ভর বলতে ঠিক কেমন ভর সেই হিসাব তো নেই।
২০১৫ সালে নাসার আবিষ্কারে দেখা যায়, এ গ্রহে রয়েছে উঁচু বরফের পাহাড়, নাইট্রোজেনের হিমবাহ, বায়ুমণ্ডল, ভূগর্ভে মহাসাগর এবং বিশাল সব পাথর। তাহলে অন্য গ্রহের সঙ্গে পার্থক্য আসলে ঠিক কোথায়? এসব ফাঁকফোকরের কারণে ‘বামন’ খেতাব দেওয়া এই গ্রহে অভিযানে আগ্রহ কমে গেছে। এভাবে গুরুত্ব হারানো মেনে নিতে পারেনি প্লুটো। তাই তার এত অভিমান।
সৌরজগতের গ্রহ কয়টি? নব্বইয়ের দশকে এমন প্রশ্নের চটজলদি উত্তর ছিল ‘৯টি’। সে সময় যে শিশুটি ছবি এঁকেছে তার আঁকুনিতে সূর্যকে ঘিরে ৯টি গ্রহ-ই ছিল। বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লুটো। এখনকার শিশুরা পাল্টা প্রশ্ন করে—প্লুটো কোথায় গেল? ঘুম পাড়ানি গল্পের মতো মা তাকে বুঝিয়ে দেয় প্লুটো অভিমান করেছে। কেন অভিমান করেছে সে? মা নিরুত্তর!
মহাকালের সাক্ষী হয়ে থাকা গোলাকার পিণ্ড প্লুটোর সেই অভিমানের গল্পই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকীতে বলতে চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেন্ট লুইসের পৃথিবী ও গ্রহবিজ্ঞানের অধ্যাপক পল বার্ন।
এই গল্পের শুরুটা আঠারো শতকে হলেও মূল ক্লাইম্যাক্স একবিংশ শতকে। আঠারো শতকের মাঝামাঝি সৌরজগতে নেপচুন নামক গ্রহের খোঁজ পাওয়ার সময়ই আরেকটি গ্রহের ধারণা পেতে থাকেন জ্যোতির্বিদেরা। বিজ্ঞ পণ্ডিতদের তাক লাগিয়ে দিয়ে ১৯৩০ সালে নতুন গ্রহটির খোঁজ আনেন ২৩ বছর বয়সী মার্কিন ক্লাইড টমবো। নাম দেওয়া হয় ‘প্লুটো’। সেই প্লুটোকে নিয়েই আজকের ‘অভিমানী’ গল্প।
বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লুটো। আবিষ্কারের পর প্রায় ৬০ বছর গল্পটা গৎবাঁধা নিয়মেই এগিয়ে যাচ্ছিল। বাদ সাধে গত শতকের শেষ দশকে। কুইপার বেল্ট নামক মহাকাশের যে এলাকা থেকে প্লুটোর খোঁজ পাওয়া যায়, সেখানে একের পর এক আরও অনেক মহাজাগতিক বস্তুর উপস্থিতি জানতে পারেন বিজ্ঞানীরা। এদের কয়েকটি আবার প্লুটোর চেয়েও বড়।
আড়ালের প্রতিবেশীদের এমন হাজিরা দেওয়াই কাল হয় প্লুটোর জন্য।
গ্রহ নিয়ে তাই সংজ্ঞা প্রদান করে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (আইএইউ)। তাদের মতে, তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকলেই কেবল গ্রহ বলা যাবে। ১. সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে হবে। ২. থাকতে হবে যথেষ্ট ভর, যেন অভিকর্ষীয় শক্তির মাধ্যমে মোটামুটি গোলাকার হতে পারে। ৩. কক্ষপথে ঘোরার সময় আশপাশে রাখতে হবে শক্তিশালী প্রভাব, যাতে করে জঞ্জাল পরিষ্কার রাখা যায়।
প্রথম শর্ত পূরণ করতে পারলেও বাকি দুইটিতে ফেল করে প্লুটো। ফলে ২০০৬ সালের আগস্টে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাস্তায় নামেন প্লুটোপ্রেমীরা। মনে বেজায় কষ্ট পায় দেয়ালে প্লুটোর ছবি এঁকে রাখা শিশুরা।
১৫ বছর পর এসে দেখা যাক আসলে শর্তগুলো ঠিক ছিল কি না। সবচেয়ে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছে তৃতীয় শর্ত নিয়ে। কেননা, পৃথিবী কিংবা অন্য গ্রহের মতো প্লুটোর আশপাশে এত মহাজাগতিক বস্তু নেই। কয়েকটা আবার প্লুটোর চেয়ে বড়। ফলে শর্তগুলো সব গ্রহের জন্য সমান হলো না। আর যথেষ্ট ভর বলতে ঠিক কেমন ভর সেই হিসাব তো নেই।
২০১৫ সালে নাসার আবিষ্কারে দেখা যায়, এ গ্রহে রয়েছে উঁচু বরফের পাহাড়, নাইট্রোজেনের হিমবাহ, বায়ুমণ্ডল, ভূগর্ভে মহাসাগর এবং বিশাল সব পাথর। তাহলে অন্য গ্রহের সঙ্গে পার্থক্য আসলে ঠিক কোথায়? এসব ফাঁকফোকরের কারণে ‘বামন’ খেতাব দেওয়া এই গ্রহে অভিযানে আগ্রহ কমে গেছে। এভাবে গুরুত্ব হারানো মেনে নিতে পারেনি প্লুটো। তাই তার এত অভিমান।
নতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্বের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের এক দল। তাদের দাবি, আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল কবা কৃষ্ণগহবর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
১২ আগস্ট ২০২৫নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১০ আগস্ট ২০২৫আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১০ আগস্ট ২০২৫