ত্বক, কাপড় বা অন্যান্য বস্তুতে অসাবধানতাবশত সুপার গ্লু লেগে গেলে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আঠাটি শুকিয়ে গেলে শক্তভাবে লেগে যায় এবং অনেক কঠিন আকার ধারণ করে। এ কারণে জোর করে তুলতে গেলে শক্ত খোসার মতো ত্বক উঠে যেতে পারে। আবার কাপড়ের মতো নরম বস্তুর ওপর সুপার গ্লু শুকিয়ে গেলে ভঙ্গুর কঠিন বস্তুর মতো হয়ে যায়। ফলে জোর করে আঠা তুলতে গেলে স্থানটি ছিঁড়ে যেতে পারে। একই কথা খাটে ধাতব বা অধাতব অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রেও। বিভিন্ন স্থান থেকে সুপার গ্লু ছাড়ানোর কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো:
ত্বক থেকে সুপার গ্লু যেভাবে তুলবেন
১. কুসুম গরম পানিতে ডিশ ওয়াশার (যেকোনো ব্র্যান্ডের লিকুইড ডিশ ওয়াশার হতে পারে) মিশিয়ে নিন।
২. ওই পানিতে আঠাযুক্ত ত্বকের স্থানটি পাঁচ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
৩. এরপর কোনো ভোঁতা শক্ত বস্তু দিয়ে শক্ত আবরণটি ঘষে তুলে ফেলুন।
এ ছাড়া লোশন, নেইল পলিশ রিমুভার অথবা অ্যাসিটোন ওই স্থানে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে চোখ, নাক ও মুখের মতো স্পর্শকাতর স্থানে এই আঠা লেগে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
কাপড় থেকে সুপার গ্লু যেভাবে তুলবেন
নরম হওয়ার কারণে কাপড় থেকে সুপার গ্লু তোলা কঠিন। কাপড়ের ক্ষতি না করেও সুপার গ্লু তুলে ফেলার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
১. শুকিয়ে যাওয়ার আগে যতটুকু সম্ভব আলতোভাবে আঠা ঘষে তুলুন।
২. এরপর সারা রাত ঠান্ডা পানিতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন।
৩. কাপড়ের আঠা লাগা স্থানে অল্প পরিমাণে লিকুইড ডিটারজেন্ট ঢালুন। এরপর একটি নরম ব্রাশ দিয়ে আঠা লাগা স্থানটি ঘষুন।
৪. হালকা গরম পানিতে কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন।
আঠা লাগার কারণে কাপড়ে দাগ বসে গেলে অ্যাসিটোনে তুলা ভিজিয়ে ওই স্থানে ঘষুন। পুনরায় কাপড়টি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতব বস্তুর ক্ষেত্রে
রাসায়নিক ব্যবহার করে স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতব বস্তু থেকে সুপার গ্লু তুলে ফেলা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়।
১. প্রথমেই ধাতব পৃষ্ঠটি পরিষ্কার করে নিন।
২. একটি তুলাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ নেইল পলিশ রিমুভার বা অ্যাসিটোনে ভিজিয়ে নিন।
৩. এরপর তুলাটি আঠার ওপর কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখুন।
৪. অ্যাসিটোনে দ্রবীভূত হয়ে সহজেই আঠাটি তুলার সঙ্গে উঠে আসবে।
চাকু বা ব্লেডের মতো ধারালো বস্তু দিয়ে ঘষেও আঠা ওঠানো যায়। তবে এ ক্ষেত্রে ধাতব বস্তুর ওপর আঁচড় পড়তে পারে।
অ্যাসিটোন বা নেইল পলিশ রিমুভারের চেয়ে শক্তিশালী কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করতে চাইলে মিথাইলেটেড স্পিরিট বা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহার করতে পারেন।
প্লাস্টিক থেকে সুপার গ্লু যেভাবে তুলবেন
১. একটি কাপড়ের টুকরো যেকোনো ময়েশ্চারাইজার (গ্লিসারিন) বা ভেজিটেবল অয়েল (রান্নার তেল) দিয়ে ভিজিয়ে নিন।
২. এরপর কাপড়টি আঠার ওপর ঘষতে থাকুন।
৩. আঠাকে ময়েশ্চারাইজার বা ভেজিটেবল অয়েল শুষে নেওয়ার সময় দিন। এভাবে আঠাটি আস্তে আস্তে উঠে যাবে।
ভিনেগার ব্যবহার করেও এই কাজ করা যায়। ভিনেগার শুষে নিলে কোনো ভোঁতা বস্তু দিয়ে ঘষে ঘষে আঠা তুলে ফেলুন।
কাচ থেকে সুপার গ্লু যেভাবে তুলবেন
কাচ থেকে আঠা তোলার বিষয়টি অনেকটা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মতো! কারণ কাচের ওপর যেকোনো রাসায়নিক নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়—নেইল পলিশ রিমুভার, অ্যাসিটোন, পেট্রোলিয়াম জেলি (ভ্যাসলিন), ভিনেগার ও তেলের মতো বিভিন্ন পদার্থ কাচের ওপর ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এরপর মাজুনি (প্লাস্টিক) দিয়ে আস্তে আস্তে আঠাটি তুলে ফেলুন।
ত্বক, কাপড় বা অন্যান্য বস্তুতে অসাবধানতাবশত সুপার গ্লু লেগে গেলে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আঠাটি শুকিয়ে গেলে শক্তভাবে লেগে যায় এবং অনেক কঠিন আকার ধারণ করে। এ কারণে জোর করে তুলতে গেলে শক্ত খোসার মতো ত্বক উঠে যেতে পারে। আবার কাপড়ের মতো নরম বস্তুর ওপর সুপার গ্লু শুকিয়ে গেলে ভঙ্গুর কঠিন বস্তুর মতো হয়ে যায়। ফলে জোর করে আঠা তুলতে গেলে স্থানটি ছিঁড়ে যেতে পারে। একই কথা খাটে ধাতব বা অধাতব অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রেও। বিভিন্ন স্থান থেকে সুপার গ্লু ছাড়ানোর কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো:
ত্বক থেকে সুপার গ্লু যেভাবে তুলবেন
১. কুসুম গরম পানিতে ডিশ ওয়াশার (যেকোনো ব্র্যান্ডের লিকুইড ডিশ ওয়াশার হতে পারে) মিশিয়ে নিন।
২. ওই পানিতে আঠাযুক্ত ত্বকের স্থানটি পাঁচ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
৩. এরপর কোনো ভোঁতা শক্ত বস্তু দিয়ে শক্ত আবরণটি ঘষে তুলে ফেলুন।
এ ছাড়া লোশন, নেইল পলিশ রিমুভার অথবা অ্যাসিটোন ওই স্থানে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে চোখ, নাক ও মুখের মতো স্পর্শকাতর স্থানে এই আঠা লেগে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
কাপড় থেকে সুপার গ্লু যেভাবে তুলবেন
নরম হওয়ার কারণে কাপড় থেকে সুপার গ্লু তোলা কঠিন। কাপড়ের ক্ষতি না করেও সুপার গ্লু তুলে ফেলার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
১. শুকিয়ে যাওয়ার আগে যতটুকু সম্ভব আলতোভাবে আঠা ঘষে তুলুন।
২. এরপর সারা রাত ঠান্ডা পানিতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন।
৩. কাপড়ের আঠা লাগা স্থানে অল্প পরিমাণে লিকুইড ডিটারজেন্ট ঢালুন। এরপর একটি নরম ব্রাশ দিয়ে আঠা লাগা স্থানটি ঘষুন।
৪. হালকা গরম পানিতে কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন।
আঠা লাগার কারণে কাপড়ে দাগ বসে গেলে অ্যাসিটোনে তুলা ভিজিয়ে ওই স্থানে ঘষুন। পুনরায় কাপড়টি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতব বস্তুর ক্ষেত্রে
রাসায়নিক ব্যবহার করে স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতব বস্তু থেকে সুপার গ্লু তুলে ফেলা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়।
১. প্রথমেই ধাতব পৃষ্ঠটি পরিষ্কার করে নিন।
২. একটি তুলাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ নেইল পলিশ রিমুভার বা অ্যাসিটোনে ভিজিয়ে নিন।
৩. এরপর তুলাটি আঠার ওপর কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখুন।
৪. অ্যাসিটোনে দ্রবীভূত হয়ে সহজেই আঠাটি তুলার সঙ্গে উঠে আসবে।
চাকু বা ব্লেডের মতো ধারালো বস্তু দিয়ে ঘষেও আঠা ওঠানো যায়। তবে এ ক্ষেত্রে ধাতব বস্তুর ওপর আঁচড় পড়তে পারে।
অ্যাসিটোন বা নেইল পলিশ রিমুভারের চেয়ে শক্তিশালী কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করতে চাইলে মিথাইলেটেড স্পিরিট বা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহার করতে পারেন।
প্লাস্টিক থেকে সুপার গ্লু যেভাবে তুলবেন
১. একটি কাপড়ের টুকরো যেকোনো ময়েশ্চারাইজার (গ্লিসারিন) বা ভেজিটেবল অয়েল (রান্নার তেল) দিয়ে ভিজিয়ে নিন।
২. এরপর কাপড়টি আঠার ওপর ঘষতে থাকুন।
৩. আঠাকে ময়েশ্চারাইজার বা ভেজিটেবল অয়েল শুষে নেওয়ার সময় দিন। এভাবে আঠাটি আস্তে আস্তে উঠে যাবে।
ভিনেগার ব্যবহার করেও এই কাজ করা যায়। ভিনেগার শুষে নিলে কোনো ভোঁতা বস্তু দিয়ে ঘষে ঘষে আঠা তুলে ফেলুন।
কাচ থেকে সুপার গ্লু যেভাবে তুলবেন
কাচ থেকে আঠা তোলার বিষয়টি অনেকটা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মতো! কারণ কাচের ওপর যেকোনো রাসায়নিক নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়—নেইল পলিশ রিমুভার, অ্যাসিটোন, পেট্রোলিয়াম জেলি (ভ্যাসলিন), ভিনেগার ও তেলের মতো বিভিন্ন পদার্থ কাচের ওপর ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এরপর মাজুনি (প্লাস্টিক) দিয়ে আস্তে আস্তে আঠাটি তুলে ফেলুন।
নতুন এক বৈপ্লবিক তত্ত্বের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত ‘বিগ ব্যাং’ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের এক দল। তাদের দাবি, আমাদের মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিগ ব্যাং থেকে নয়, বরং ব্ল্যাকহোল কবা কৃষ্ণগহবর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
২২ দিন আগেনিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
২৩ দিন আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২৪ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২৪ দিন আগে