Ajker Patrika

ইতিমধ্যে নির্বাচন হয়ে গেছে, ৭ তারিখ ফলাফল ঘোষণা: মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ২১
ইতিমধ্যে নির্বাচন হয়ে গেছে, ৭ তারিখ ফলাফল ঘোষণা: মঈন খান

নির্বাচন ইতিমধ্যে হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘৩০০ আসনে কে, কোথায় এমপি হবে—সেটা বাংলাদেশের জনগণ সবাই এখন জানে। ৭ তারিখে আমরা একটা ফলাফলের ঘোষণা শুনব।’

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন, প্রহসনমূলক ও ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মঈন খান বলেন, ‘নির্বাচন ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। ৩০০ আসনে কে, কোথায় এমপি হবে সেটা বাংলাদেশের জনগণ সবাই এখন জানে। ৭ তারিখে আমরা একটা ফলাফলের ঘোষণা শুনব। কী সেলুকাস! এখন সংসদের সিট ভাগ-বাঁটোয়ারা প্রকাশ্যে হয়।’

নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে মঈন খান বলেন, ‘এই সরকারের ওপরে যারা আস্থা হারিয়েছে, তারা ভোট দিতে যাবে না। আওয়ামী লীগের ভোটাররাও ভোট দিতে যাবে না। কারণ তাদের প্রার্থী তো জয়ী হয়েই যাবে।’ 

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোথায় থাকল? বাংলাদেশের মানুষকে পরম মুঘল সম্রাটেরাও বশ করতে পারেনি। ১৮ কোটি মানুষকে আওয়ামী লীগ বাকশালের রাস্তায় চালাবে, তা হতে পারে না। অতীতেও একবার চেষ্টা করেছে, পারেনি।’ 

বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘আজকে আমরা কোন বাংলাদেশে বাস করছি? কোথায় গণতন্ত্র? বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলাম দেশে খুশি মতো কথা বলব। আমি যাব যাকে খুশি তাকে ভোট দেব। এটা তো আওয়ামী লীগেরই স্লোগান ছিল। কিন্তু এই স্লোগান তারা এখন আর দেয় না। তারা এখন দেয়, তোমার ভোট আমি দেব, সবার ভোট আমি দেব।’ 

প্রাকৃতিক নিয়মেই এই সরকারের পতন হবে জানিয়ে মঈন খান বলেন, ‘আমরা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে চাই। কিন্তু সরকার বলছে, সবার একই চিন্তা করতে হবে। একই ধ্যানধারণা থাকতে হবে। এটা তো প্রকৃতির নিয়ম না। এভাবে প্রকৃতি টিকে থাকতে পারে না। আজকে সরকার দেশে যে অবস্থা তৈরি করেছে, তা একটি অস্বাভাবিক ব্যবস্থা। এর পরিবর্তন হবেই।’ 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ড. ইউনূসের সাজা কাউকে জেলে ঢোকাবে, কাউকে গায়েব করবে সেই প্রক্রিয়ারই একটি উদাহরণ। ক্ষমতার দাপট দেখাতেই তারা এটা করেছে। ৭ তারিখে এই ক্ষমতার দাপট তারা নবায়ন করতে চায়।’

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিচারব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ কতটা দলীয়করণ করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আওয়ামী লীগ একটা দুর্বৃত্ত, মাফিয়া, জুয়াড়িদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই নির্বাচনের পরে কি দেশে গণতন্ত্রের সংকট শেষ হবে? আইয়ুব খান উন্নয়নের দশক পালন করেছিলেন, পরের চার-ছয় মাসে তার পতন হয়েছিল। আর এরা তো ঠিকমতো স্বৈরাচারও হতে পারবে না। নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করে।’ 

বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, ৭ তারিখ ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে থাকবেন। গণ-অভ্যুত্থান যেকোনো সময় হতে পারে। 

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, এই সরকারকে দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ দেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এই ঐক্যকে ধারণ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। 

জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত