আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তিনি অযোগ্য হয়েছেন। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই পাঁচ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনিও নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হয়েছেন।
এবার তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান আজ বুধবার অবৈধ সম্পদ অর্জনে তারেক রহমানকে সহায়তা করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায়ে জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এবার তিনিও সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তিনি অযোগ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে—
(২) কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি
(ক) কোনো উপযুক্ত আদালত তাঁহাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন;
(খ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;
(গ) তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন;
(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
জোবাইদা রহমান দুই বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার কারণে সংবিধানের ৬৬ (২)-এর (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হলেন। তিনি পলাতক রয়েছেন। এ কারণে আগামী নির্বাচনে তিনি দেশে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা প্রার্থী হতে পারবেন না।
তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ১/১১-এর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা এই মামলা দীর্ঘদিন হাইকোর্টে স্থগিত ছিল। গত বছর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার পর মামলাটি আবার চালু হয়।
গত বছর ১ নভেম্বর আদালত দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন। এ বছর ১৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করা হয়। ২১ মে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় এবং ২৪ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বিএনপি পক্ষের আইনজীবীরা তুমুল বিরোধিতা করে। আদালতের মধ্যে হট্টগোল করে। মারামারির ঘটনাও ঘটে।
বিএনপির অভিযোগ—জোবাইদা রহমানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি করে এই মামলার বিচার শেষ করতে যাচ্ছে সরকার।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জোবাইদাকেও সরকার মিথ্যা মামলায় মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি দেওয়ার জন্য অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে মামলা বিচার শেষ করছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকার আদালতে সাধারণ মামলা যেভাবে চলে তারেক-জোবাইদার মামলাটি সেভাবে চলেনি। অতি দ্রুততার সঙ্গে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য জোবায়দাকেও নির্বাচনে অযোগ্য করা।
বোরহান উদ্দিন বলেন, জোবাইদা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি করবেন না, সে ব্যাপারে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি জোবায়দা রহমানও এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। তবে সরকার ধারণা করছে যে জোবাইদা রহমান হয়তো নির্বাচনের আগে দেশে এসে প্রার্থী হতে পারেন। এই ভয়ে সরকার তাঁকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে দ্রুত বিচার শেষ করে রায় দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বিরোধী দলের নেতারা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেই কৌশল নিয়েছে সরকার। জোবাইদাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য তড়িঘড়ি করে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা একেবারেই ঠিক নয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এই মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালেই তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলা বিচার শুরুর আগেই জোবাইদা রহমান হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। ওই আবেদন হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগে। এরপর মামলাটি আবার বিচারক আদালতে ফেরত এলে আইন অনুযায়ী মামলা নিষ্পত্তি করা হয়।
মোশারফ হোসেন আরও বলেন, যেসব মামলায় আসামি পলাতক, সেসব মামলা দ্রুতই শেষ হয়। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কোনো উদ্দেশ্যে তারেক-জোবাইদার মামলা দ্রুত শেষ করা হয়নি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তিনি অযোগ্য হয়েছেন। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই পাঁচ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনিও নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হয়েছেন।
এবার তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান আজ বুধবার অবৈধ সম্পদ অর্জনে তারেক রহমানকে সহায়তা করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায়ে জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এবার তিনিও সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তিনি অযোগ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে—
(২) কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি
(ক) কোনো উপযুক্ত আদালত তাঁহাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন;
(খ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;
(গ) তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন;
(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
জোবাইদা রহমান দুই বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার কারণে সংবিধানের ৬৬ (২)-এর (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হলেন। তিনি পলাতক রয়েছেন। এ কারণে আগামী নির্বাচনে তিনি দেশে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা প্রার্থী হতে পারবেন না।
তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ১/১১-এর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা এই মামলা দীর্ঘদিন হাইকোর্টে স্থগিত ছিল। গত বছর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার পর মামলাটি আবার চালু হয়।
গত বছর ১ নভেম্বর আদালত দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন। এ বছর ১৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করা হয়। ২১ মে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় এবং ২৪ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বিএনপি পক্ষের আইনজীবীরা তুমুল বিরোধিতা করে। আদালতের মধ্যে হট্টগোল করে। মারামারির ঘটনাও ঘটে।
বিএনপির অভিযোগ—জোবাইদা রহমানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি করে এই মামলার বিচার শেষ করতে যাচ্ছে সরকার।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জোবাইদাকেও সরকার মিথ্যা মামলায় মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি দেওয়ার জন্য অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে মামলা বিচার শেষ করছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকার আদালতে সাধারণ মামলা যেভাবে চলে তারেক-জোবাইদার মামলাটি সেভাবে চলেনি। অতি দ্রুততার সঙ্গে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য জোবায়দাকেও নির্বাচনে অযোগ্য করা।
বোরহান উদ্দিন বলেন, জোবাইদা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি করবেন না, সে ব্যাপারে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি জোবায়দা রহমানও এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। তবে সরকার ধারণা করছে যে জোবাইদা রহমান হয়তো নির্বাচনের আগে দেশে এসে প্রার্থী হতে পারেন। এই ভয়ে সরকার তাঁকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে দ্রুত বিচার শেষ করে রায় দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বিরোধী দলের নেতারা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেই কৌশল নিয়েছে সরকার। জোবাইদাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য তড়িঘড়ি করে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা একেবারেই ঠিক নয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এই মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালেই তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলা বিচার শুরুর আগেই জোবাইদা রহমান হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। ওই আবেদন হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগে। এরপর মামলাটি আবার বিচারক আদালতে ফেরত এলে আইন অনুযায়ী মামলা নিষ্পত্তি করা হয়।
মোশারফ হোসেন আরও বলেন, যেসব মামলায় আসামি পলাতক, সেসব মামলা দ্রুতই শেষ হয়। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কোনো উদ্দেশ্যে তারেক-জোবাইদার মামলা দ্রুত শেষ করা হয়নি।
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫