Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে বিএনপি: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে বিএনপি: কাদের

পদ্মাসেতু নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির নেতারা দুরভিসন্ধিমূলকভাবে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তথাকথিত ‘হত্যার হুমকি’র বয়ান তৈরি করছে তাঁরা।’ 

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। 

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা একজন স্বপ্নবান মানুষ, যিনি বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাংলার মানুষ তাঁর মহিমান্বিত নেতৃত্বকে মূল্যায়ন করবে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের একটি অনন্য মাইলফলক হলো নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। আজকে যারা রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা চালান এবং বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার পরিণতি দেখতে সুপ্ত বাসনা লালন ও ষড়যন্ত্র করেন, তাঁদের বলতে চাই পদ্মাসেতু শুধুমাত্র একটি সেতু না; এটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার স্মারক।’ 
 
পদ্মাসেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই বিএনপি ও তাঁর দোসররা এর বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এবং তাঁরা চক্রান্ত করে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বলে দাবি করেন কাদের। কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশি অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তখন খালেদা জিয়াসহ একটি চিহ্নিত মহলের মন্তব্যগুলো ছিল কাণ্ডজ্ঞান বিবর্জিত ও দুরভিসন্ধিমূলক। এসব ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা শুধু সরকার বিরোধিই ছিল না বরং দেশদ্রোহিতার শামিল।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী এই গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মোচন ও জনগণকে সতর্ক করতে চেয়েছেন।’ 

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভালো করেই জানা উচিত যে, শেখ হাসিনা যদি খালেদা জিয়ার মৃত্যুই কামনা করতেন তাহলে উচ্চ আদালত কর্তৃক একাধিকবার জামিন বাতিল হওয়ার পরেও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ঘরে রেখে উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করার সুযোগ দিতেন না।’ 

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আপনাদের শিষ্টাচারের ভাষাতো গ্রেনেড, গুলি আর ষড়যন্ত্র। সুতরাং শেখ হাসিনাকে শিষ্টাচার শিখাতে আসবেন না। এ দেশের রাজনীতিতে শিষ্টাচার ও উদারতা যদি কেউ দেখিয়ে থাকেন তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা। দেশবাসী ভালোভাবেই জানে, শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। দুর্নীতি-সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারার ব্যর্থতা বিএনপির এবং তাদের দুর্নীতিবাজ শীর্ষ নেতৃত্বের। সে জন্য আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা পরাজিত সৈনিকের আত্মপ্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবে। কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার অগ্রগতির এই গতিধারা থামাতে পারবে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত