নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। একই দিনে তাঁর বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা প্রত্যাহার করা হওয়া তাঁকে সেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দুটি পৃথক আদালত রায় ও আদেশ দেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মাসুদ পারভেজ দুদকের মামলাটি থেকে তাকে খালাসের রায় দেন। দুপুর সোয়া ২টায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, বিধায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।
রায়ের পর মির্জা আব্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত খালাস দিয়েছেন।’ এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
গত ২২ আগস্ট এই মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি হওয়ার পর আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় গত বছর ২৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। ওই দিন আদালত রায় থেকে মামলা প্রত্যাহারপূর্বক নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনানির তারিখ ধার্য করেন। এরপর কয়েকটি তারিখ যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু শুনানি তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাক্ষী মির্জা আব্বাসের পক্ষে সাক্ষ্য দেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালে ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন মির্জা আব্বাস। তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রমনা থানায় মামলা করে।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ১৪মে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৬ জুন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে দুজনই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এ দিকে মির্জা আব্বাস তাঁর অংশটুকু বাতিল করার জন্য আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল খারিজ হয়। মির্জা আব্বাস আবার রিভিউ আবেদন করেন। এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন খারিজ হয়। পরে মামলার কার্যক্রম চলতে থাকে।
প্লট বরাদ্দের মামলা প্রত্যাহার
এ দিকে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন—বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবী ও সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম।
জানা যায়, ২০০৬ সালে পূর্তমন্ত্রী থাকাকালে প্যাসিফিক কেমিক্যালস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন। দুদকের অভিযোগ, বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবীসহ মাহফুজুল ইসলাম নামের এক সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়মের মাধ্যমে এ প্লট বরাদ্দ দেন।
এ অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন শাহবাগ থানায় ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই একটি মামলা করেন। পরের বছর ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। একই দিনে তাঁর বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা প্রত্যাহার করা হওয়া তাঁকে সেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দুটি পৃথক আদালত রায় ও আদেশ দেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মাসুদ পারভেজ দুদকের মামলাটি থেকে তাকে খালাসের রায় দেন। দুপুর সোয়া ২টায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, বিধায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।
রায়ের পর মির্জা আব্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত খালাস দিয়েছেন।’ এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
গত ২২ আগস্ট এই মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি হওয়ার পর আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় গত বছর ২৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। ওই দিন আদালত রায় থেকে মামলা প্রত্যাহারপূর্বক নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনানির তারিখ ধার্য করেন। এরপর কয়েকটি তারিখ যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু শুনানি তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাক্ষী মির্জা আব্বাসের পক্ষে সাক্ষ্য দেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালে ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন মির্জা আব্বাস। তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রমনা থানায় মামলা করে।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ১৪মে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৬ জুন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে দুজনই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এ দিকে মির্জা আব্বাস তাঁর অংশটুকু বাতিল করার জন্য আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল খারিজ হয়। মির্জা আব্বাস আবার রিভিউ আবেদন করেন। এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন খারিজ হয়। পরে মামলার কার্যক্রম চলতে থাকে।
প্লট বরাদ্দের মামলা প্রত্যাহার
এ দিকে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন—বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবী ও সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম।
জানা যায়, ২০০৬ সালে পূর্তমন্ত্রী থাকাকালে প্যাসিফিক কেমিক্যালস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন। দুদকের অভিযোগ, বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবীসহ মাহফুজুল ইসলাম নামের এক সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়মের মাধ্যমে এ প্লট বরাদ্দ দেন।
এ অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন শাহবাগ থানায় ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই একটি মামলা করেন। পরের বছর ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫