নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২২-২৩ প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপির কোন আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাজেট আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ না। এ জন্য যে, এই লুটেরা, দুর্বৃত্ত সরকারের বাজেট মানেই হচ্ছে আরও লুট, আরও ডাকাতি। আমরা ওই বিষয় নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নই। কারণ এদের (সরকার) কাজই হচ্ছে লুট করা, নিজেদের সম্পদ বাড়ানো।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পদ্মা সেতু বিষয়ে চলমান নানা আলোচনার উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন এই সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল বিএনপির শাসনামলেই। তবে নানা নানা কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেননি। পদ্মা সেতু খালেদা জিয়ার অবদানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পদ্মা সেতুর প্রথম ফিজিবিলিটির কাজ আমাদের সময়েই শুরু হয়েছিল। ২০০৫ সালে খালেদা জিয়া জাপানে গিয়েছিলেন, জাপানে গিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন বৈঠক করেছেন, সেখানে তিনি পদ্মা সেতুর ফান্ডিংয়ের ব্যাপারে অনুরোধ করেছেন এবং তার একটা নিশ্চয়তা নিয়ে এসেছিলেন। পদ্মা সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়া সরকারের আমলে। সাইড সিলেকশন হয়েছিল, এমনকি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের তারিখ পর্যন্ত ঠিক হয়েছিল। পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারণে, রাজনৈতিক কারণে, ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ার কারণে খালেদা জিয়া সেটা করতে পারেননি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, তাঁর কোন অবদান নেই।’
সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছে, যেখানে কোন মানুষের কোন বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। এ ক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা বড় দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, ‘যে মামলা তাঁর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেই মামলায় জামিন তাঁর প্রাপ্য। কোন সমাজে বাস করি আমরা? আমরা কোথায় বাস করছি?’ তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছি, জাতি আজকে একটা ভয়াবহ অন্ধকার গহ্বরে পড়ে গেছে। এখান থেকে উঠে আসার খুব বেশি পথ দেখতে পাওয়া যায় না।’
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
দেশ ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় যেমন করে হোক এই সরকারকে সরানোর আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই সরকার সমস্ত দেশে, সব মানুষের মধ্যে একটা ভয়ের, ত্রাসের সৃষ্টি করতে পেরেছে। এটাকে তো ভাঙতে হবে, এটাকে ভেঙেই এগোতে হবে। জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করতে এই সরকারকে যেমন করে হোক সরাতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। যদি এই সরকার আর একদিনও ক্ষমতায় থাকে, আমাদের আরও ক্ষতি হতে থাকবে। বেঁচে থাকতে হলে লড়াই করতে হবে। যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।’
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
২০২২-২৩ প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপির কোন আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাজেট আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ না। এ জন্য যে, এই লুটেরা, দুর্বৃত্ত সরকারের বাজেট মানেই হচ্ছে আরও লুট, আরও ডাকাতি। আমরা ওই বিষয় নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নই। কারণ এদের (সরকার) কাজই হচ্ছে লুট করা, নিজেদের সম্পদ বাড়ানো।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পদ্মা সেতু বিষয়ে চলমান নানা আলোচনার উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন এই সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল বিএনপির শাসনামলেই। তবে নানা নানা কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেননি। পদ্মা সেতু খালেদা জিয়ার অবদানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পদ্মা সেতুর প্রথম ফিজিবিলিটির কাজ আমাদের সময়েই শুরু হয়েছিল। ২০০৫ সালে খালেদা জিয়া জাপানে গিয়েছিলেন, জাপানে গিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন বৈঠক করেছেন, সেখানে তিনি পদ্মা সেতুর ফান্ডিংয়ের ব্যাপারে অনুরোধ করেছেন এবং তার একটা নিশ্চয়তা নিয়ে এসেছিলেন। পদ্মা সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়া সরকারের আমলে। সাইড সিলেকশন হয়েছিল, এমনকি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের তারিখ পর্যন্ত ঠিক হয়েছিল। পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারণে, রাজনৈতিক কারণে, ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ার কারণে খালেদা জিয়া সেটা করতে পারেননি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, তাঁর কোন অবদান নেই।’
সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছে, যেখানে কোন মানুষের কোন বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। এ ক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা বড় দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, ‘যে মামলা তাঁর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেই মামলায় জামিন তাঁর প্রাপ্য। কোন সমাজে বাস করি আমরা? আমরা কোথায় বাস করছি?’ তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছি, জাতি আজকে একটা ভয়াবহ অন্ধকার গহ্বরে পড়ে গেছে। এখান থেকে উঠে আসার খুব বেশি পথ দেখতে পাওয়া যায় না।’
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
দেশ ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় যেমন করে হোক এই সরকারকে সরানোর আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই সরকার সমস্ত দেশে, সব মানুষের মধ্যে একটা ভয়ের, ত্রাসের সৃষ্টি করতে পেরেছে। এটাকে তো ভাঙতে হবে, এটাকে ভেঙেই এগোতে হবে। জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করতে এই সরকারকে যেমন করে হোক সরাতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। যদি এই সরকার আর একদিনও ক্ষমতায় থাকে, আমাদের আরও ক্ষতি হতে থাকবে। বেঁচে থাকতে হলে লড়াই করতে হবে। যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।’
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫