নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার বিকেলে তিনি ৭ ইসলামী দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন এবং নেজামে ইসলামের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ হয়। ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে আজ দুটি বৈঠক হয়। একটি বৈঠক ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে এবং অপরটি বাকি ৬ দলের সঙ্গে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। মতবিনিময় সভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির রেজাউল করিম।
রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা পিআর (সংখ্যানুপাতিক) সিস্টেমে যে নির্বাচন, যেটা সব শাখার, সব ধরনের মন-মানসিকতার লোক সম্পৃক্ত থাকবে। এখানে ভোট হবে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন হবে। দল ও মার্কা থাকবে। জনগণ ভোট দেবে, যে দল যেভাবে ভোট পাবে সে অনুযায়ী তাঁদের প্রতিনিধি সংসদে থাকবে, দেশ পরিচালনা করবে। সেখানে সবার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হলো যার কারণে দেশ সুন্দরভাবে চলবে। এখানে আর বৈষম্যমূলক অবস্থা সৃষ্টি করার মতো কোনো বিষয় থাকবে না।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার প্রায় ১৬ বছর পর্যন্ত তাঁদের মনগড়া দলীয়করণ, বিশেষ করে ২০১৪,১৮ ও ২৪ নির্বাচনগুলো করার ব্যাপারে যারা প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছে, মিডিয়াসহ যারা সহযোগিতা করেছে, তাঁদের অন্যায় চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে এই অন্যায়কারীদের চিহ্নিত করে বিচারের ব্যবস্থা করা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘সুন্দরভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনসহ সর্বত্র ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে আমরা তাঁদের পরামর্শ দিয়েছি। এই সব জায়গাগুলো সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া হলে আগের সে ধারাটাই বাস্তবায়নের ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে তাতে কালো টাকার দৌরাত্ম্য, দলীয়করণ ও পেশিশক্তির মাধ্যমে যারা যোগ্য, যাদের দেশ প্রেম রয়েছে এই ধরনের লোকগুলো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় না।
কত দিনের মধ্যে নির্বাচন, এমন কোনো সময়সীমার কথা জানিয়েছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি খুব শিগগিরই। কিন্তু ব্যাপারটাতো আমাদের হাতে না। এক দিন, দুই দিন নির্ধারণ করে বলাও যায় না। তবে বলছি খুব শিগগিরই সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচন দিতে।’
এ সময় ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন—দলটির আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম।
খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করেছি বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১২ দফা তুলে ধরেছি। আশু সমাধানের জন্য। ৮ দফা প্রস্তাব দিয়েছি সংস্কারের জন্য।’
ভারতের সঙ্গে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত সরকার যে চুক্তিগুলো করেছে যেগুলো দেশবিরোধী, সেগুলো বাতিল করতে হবে। আমরা চাই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে তাঁকে ও তাঁর দোসরদের বিচার করতে হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। দেশের সমস্ত সেক্টর বিগত সরকারের আমলে ধ্বংস হয়ে গেছে। এগুলো পুনর্গঠন করা, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা, অর্থনীতির চাকা সচল রাখা। বিগত সময়ে যত আন্দোলনে গণহত্যা চালানো হয়েছে তাঁদের সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছি। কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ না পায়।’
সংস্কারে কত সময় দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক শিশুকে যদি হাটতে বলা হয়, দৌড়াতে বলা হয় সেটাতো সম্ভব না। যৌক্তিক একটা সময় নিয়ে তাঁরা সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে যাতে একটা নির্বাচনে যান।’
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার বিকেলে তিনি ৭ ইসলামী দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন এবং নেজামে ইসলামের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ হয়। ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে আজ দুটি বৈঠক হয়। একটি বৈঠক ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে এবং অপরটি বাকি ৬ দলের সঙ্গে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। মতবিনিময় সভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির রেজাউল করিম।
রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা পিআর (সংখ্যানুপাতিক) সিস্টেমে যে নির্বাচন, যেটা সব শাখার, সব ধরনের মন-মানসিকতার লোক সম্পৃক্ত থাকবে। এখানে ভোট হবে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন হবে। দল ও মার্কা থাকবে। জনগণ ভোট দেবে, যে দল যেভাবে ভোট পাবে সে অনুযায়ী তাঁদের প্রতিনিধি সংসদে থাকবে, দেশ পরিচালনা করবে। সেখানে সবার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হলো যার কারণে দেশ সুন্দরভাবে চলবে। এখানে আর বৈষম্যমূলক অবস্থা সৃষ্টি করার মতো কোনো বিষয় থাকবে না।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার প্রায় ১৬ বছর পর্যন্ত তাঁদের মনগড়া দলীয়করণ, বিশেষ করে ২০১৪,১৮ ও ২৪ নির্বাচনগুলো করার ব্যাপারে যারা প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছে, মিডিয়াসহ যারা সহযোগিতা করেছে, তাঁদের অন্যায় চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে এই অন্যায়কারীদের চিহ্নিত করে বিচারের ব্যবস্থা করা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘সুন্দরভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনসহ সর্বত্র ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে আমরা তাঁদের পরামর্শ দিয়েছি। এই সব জায়গাগুলো সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া হলে আগের সে ধারাটাই বাস্তবায়নের ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে তাতে কালো টাকার দৌরাত্ম্য, দলীয়করণ ও পেশিশক্তির মাধ্যমে যারা যোগ্য, যাদের দেশ প্রেম রয়েছে এই ধরনের লোকগুলো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় না।
কত দিনের মধ্যে নির্বাচন, এমন কোনো সময়সীমার কথা জানিয়েছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি খুব শিগগিরই। কিন্তু ব্যাপারটাতো আমাদের হাতে না। এক দিন, দুই দিন নির্ধারণ করে বলাও যায় না। তবে বলছি খুব শিগগিরই সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচন দিতে।’
এ সময় ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন—দলটির আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম।
খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করেছি বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১২ দফা তুলে ধরেছি। আশু সমাধানের জন্য। ৮ দফা প্রস্তাব দিয়েছি সংস্কারের জন্য।’
ভারতের সঙ্গে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত সরকার যে চুক্তিগুলো করেছে যেগুলো দেশবিরোধী, সেগুলো বাতিল করতে হবে। আমরা চাই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে তাঁকে ও তাঁর দোসরদের বিচার করতে হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। দেশের সমস্ত সেক্টর বিগত সরকারের আমলে ধ্বংস হয়ে গেছে। এগুলো পুনর্গঠন করা, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা, অর্থনীতির চাকা সচল রাখা। বিগত সময়ে যত আন্দোলনে গণহত্যা চালানো হয়েছে তাঁদের সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছি। কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ না পায়।’
সংস্কারে কত সময় দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক শিশুকে যদি হাটতে বলা হয়, দৌড়াতে বলা হয় সেটাতো সম্ভব না। যৌক্তিক একটা সময় নিয়ে তাঁরা সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে যাতে একটা নির্বাচনে যান।’
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫