স্থায়ী কমিটির বৈঠক
অনলাইন ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক কর্মকাণ্ডকে ভালোভাবে নিচ্ছে না বিএনপি। ইতিমধ্যেই তাদের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আসলে কী করছে এবং ভবিষ্যতে কী করতে চায়, তা নিয়ে বিএনপিতে একধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাত সাড়ে ৮টায় সভা শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টায়। সভায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ও সংবিধান বাতিলের দাবিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এসব আলোচনা করতে গিয়েই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
বৈঠকের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রনেতাদের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বিএনপির সূত্র বলছে, স্থায়ী কমিটির সভার আগের দিন গত রোববার রাতে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির মহাসচিব। ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন, ছাত্ররা এককভাবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। যদিও এ ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পেছনে কারা এবং কাদের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে, সে নিয়ে স্থায়ী কমিটির সভায় প্রশ্ন তোলেন বিএনপির নেতারা। ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগের দৃশ্যমান কোনো পৃষ্ঠপোষক তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও জানান। ছাত্রদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই, জামায়াতে ইসলামী জড়িত কি না, তাও তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে দেশে যে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, সেটা আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিএনপিকেও সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন নেতাদের কেউ কেউ।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয়, আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেউ কেউ ছাত্রলীগ করা, আবার কেউ কেউ এসেছেন ছাত্রশিবির থেকে। এ ছাড়া কেউ কেউ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে সমন্বয়ক হয়েছেন। সে কারণে তাঁদের আগামীর লক্ষ্য কী, তা স্পষ্ট নয়। তাঁদের কেউ কাউকে পুনর্বাসন করতে চায় কি না, সে প্রশ্নও থেকে যায়।
এদিকে, সংবিধান বাতিলের দাবির বিপক্ষেও বিএনপি শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। সভায় সংবিধান বাতিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির সমালোচনা করে বিএনপির নেতারা বলেন, বিএনপি সংবিধান বাতিলের পক্ষে নয়। কারণ এই সংবিধানের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনসহ সবকিছু চলছে। তাই সংবিধান বাতিলের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের এর পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সভায় এক নেতা বলেন, এর আগেও রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে একটি চক্র দেশে ঝামেলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিএনপিসহ জনগণের সন্দেহ—এই চক্রটি সংবিধান বাতিলের নামে আবারও দেশে সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তবে বিএনপির হার্ডলাইনে যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, বিএনপির চাওয়া এখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাদের প্রত্যাশা সরকার যথাযথভাবে সে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে। এই অবস্থায় হার্ডলাইনে যাওয়ার কথা চিন্তা করছে না বিএনপি। তবে পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটা ভিন্ন কথা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক কর্মকাণ্ডকে ভালোভাবে নিচ্ছে না বিএনপি। ইতিমধ্যেই তাদের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আসলে কী করছে এবং ভবিষ্যতে কী করতে চায়, তা নিয়ে বিএনপিতে একধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাত সাড়ে ৮টায় সভা শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টায়। সভায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ও সংবিধান বাতিলের দাবিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এসব আলোচনা করতে গিয়েই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
বৈঠকের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রনেতাদের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বিএনপির সূত্র বলছে, স্থায়ী কমিটির সভার আগের দিন গত রোববার রাতে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির মহাসচিব। ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন, ছাত্ররা এককভাবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। যদিও এ ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পেছনে কারা এবং কাদের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে, সে নিয়ে স্থায়ী কমিটির সভায় প্রশ্ন তোলেন বিএনপির নেতারা। ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগের দৃশ্যমান কোনো পৃষ্ঠপোষক তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও জানান। ছাত্রদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই, জামায়াতে ইসলামী জড়িত কি না, তাও তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে দেশে যে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, সেটা আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিএনপিকেও সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন নেতাদের কেউ কেউ।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয়, আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেউ কেউ ছাত্রলীগ করা, আবার কেউ কেউ এসেছেন ছাত্রশিবির থেকে। এ ছাড়া কেউ কেউ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে সমন্বয়ক হয়েছেন। সে কারণে তাঁদের আগামীর লক্ষ্য কী, তা স্পষ্ট নয়। তাঁদের কেউ কাউকে পুনর্বাসন করতে চায় কি না, সে প্রশ্নও থেকে যায়।
এদিকে, সংবিধান বাতিলের দাবির বিপক্ষেও বিএনপি শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। সভায় সংবিধান বাতিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির সমালোচনা করে বিএনপির নেতারা বলেন, বিএনপি সংবিধান বাতিলের পক্ষে নয়। কারণ এই সংবিধানের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনসহ সবকিছু চলছে। তাই সংবিধান বাতিলের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের এর পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সভায় এক নেতা বলেন, এর আগেও রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে একটি চক্র দেশে ঝামেলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিএনপিসহ জনগণের সন্দেহ—এই চক্রটি সংবিধান বাতিলের নামে আবারও দেশে সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তবে বিএনপির হার্ডলাইনে যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, বিএনপির চাওয়া এখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাদের প্রত্যাশা সরকার যথাযথভাবে সে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে। এই অবস্থায় হার্ডলাইনে যাওয়ার কথা চিন্তা করছে না বিএনপি। তবে পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটা ভিন্ন কথা।
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫