Ajker Patrika

আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, ১৫: ৩৭
আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে সরকার পতনের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হবে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার কোনো ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

গণমাধ্যমে প্রচারিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচারনির্ভর ও বিভ্রান্তিমূলক’ দাবি করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বিবৃতিটি বিএনপির প্রতিদিনের চিরাচরিত ভাষায় দেওয়া মিথ্যাচারে ভরপুর অপরাজনীতির অংশ ছাড়া আর কিছু নয়। যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি বদিউজ্জামান হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেওয়া বিএনপি মহাসচিবের বিবৃতিতে যে বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, তা সত্যের অপলাপ। 

কাদের বলেন, বিচারাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা আইনসিদ্ধ নয়। কারো রাজনৈতিক পরিচয় কোনো হত্যাকারীর অপরাধকে আড়াল করতে পারে না। হত্যাকারী বা অপরাধী যে-ই হোক, তার বিচার হবেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের শাস্তি ভোগ সেটাই প্রমাণ করে। এমনকি সরকারদলীয় পদে থেকেও বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার কারণে অনেকেই আজ সাজা ভোগ করছেন। 

সহিংস রক্তপাতের মধ্য দিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে—মির্জা ফখরুলের দেওয়া এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে আইনের শাসনের প্রতি পরিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধাশীল এবং সাংবিধানিক বিধিবিধান অনুযায়ী নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় স্বেচ্ছায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র নজির সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিন্তু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। এমনকি স্বৈরাচার জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষায় প্রথমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং পরে তা আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথকে রুদ্ধ করেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা দ্বিতীয় আর একটি নেই।’ 

কাদের বলেন, ‘স্বৈরাচার জিয়ার উত্তরাধিকার বেগম খালেদা জিয়াও অনুরূপভাবে ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মীকে হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। বিএনপির শাসনামল হত্যা-ক্যু-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। বিএনপি তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একুশে আগস্টের মতো ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।’ 

বিবৃতিতে কাদের আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই এ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং স্বাভাবিক ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকাজ সম্পন্ন করেছেন। পক্ষান্তরে বিএনপি স্বাধীন বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায়ন ও পুরস্কৃত করেছে, এমনকি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি; এমনকি বিচারের দাবি পর্যন্তও করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত