অনলাইন ডেস্ক
সংবিধান পুনর্লিখন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেটিকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয় তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।’
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই মতবিনিময় সভা আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে বৈষম্যমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা, যারা নাকি আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে ৫ আগস্ট, এককভাবে তারা এই আন্দোলনকে নিজেদের করে নিতে চায়। যখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিভু নিভু তখন কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সামনে এগিয়ে আসে। সাধারণ মানুষ সামনে এগিয়ে আসে, আমরা এগিয়ে যাই। আমাদের বিএনপির রাজনৈতিক কর্মীই মারা গেছে ৪৬২ জন।’
আব্বাস বলেন, ‘নিশ্চয় নেতৃত্বে একজন থাকবে, পেছনে হাজারো লোক থাকবে। কিন্তু এককভাবে কারও দাবি করা ঠিক না। এতে কিন্তু জনমনে বিভেদ সৃষ্টি হবে। এই যে আমাকে কথাটা বলতে হচ্ছে, আমাকে এই কথাটা বলতে বাধ্য হতে হয়েছে। কারণ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, সেটাও সম্মুখভাগে। আমার সঙ্গের অনেক সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব মারা গেছে। প্রায় ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে। শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেটিকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের প্রতি অনুরোধ রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাইদের কাছে অনুরোধ করব বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। ভুল বুঝবেন না। কবর দিয়ে দেব, মেরে ফেলব, কেটে ফেলব—এই ধরনের কথাগুলো কিন্তু ফ্যাসিবাদের মুখ থেকে আসে। এগুলো কিন্তু ভালো কথা নয়। জাতি তাকিয়ে আছে আপনাদের দিকে। আমরাও তাকিয়ে আছি। আপনাদের মুখ থেকে এই ধরনের কথা আমি আশা করি না।’
বিএনপির নির্বাচনের দাবি নিয়ে নানা আলোচনা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সবাই বলছে আমরা নির্বাচন চাইছি। নির্বাচন দিলেই বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে, দেশবাসী রাজনৈতিক দল এটা ভাবে। কিন্তু আমরা (বিএনপি) এটা ভাবি না। আমরা ভাবি নির্বাচন দেশের মানুষের অধিকার। এই অধিকারের জন্য বিএনপি ১৭ বছর আন্দোলন করেছে। নিজের জীবনে অর্ধেক সময় জেলখানায় কিংবা পলাতক জীবন কাটিয়েছে, আমি কিংবা আমরা বয়সী যাঁরা আছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘যদি ধরে নেন নির্বাচন দিলেই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, তাহলে এটা কেন ভাবেন না, বিএনপি অত্যন্ত জনপ্রিয় দল। নির্বাচনে যাওয়ার মতো জনপ্রিয়তা আছে। তাহলে আপনাদের ভয় কেন, জনপ্রিয় একটা দল ক্ষমতায় গেলে অসুবিধা কী? আমরা তো বলছি না, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। যাঁরা ভাবেন, তাঁদের উদ্দেশে বলছি—বিএনপি কখনো ক্ষমতায় যাওয়ার কথা বলেনি। বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়, ভোটাধিকার চায়।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্যসচিব তানবীর আহমেদ রবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবিধান পুনর্লিখন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেটিকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয় তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।’
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই মতবিনিময় সভা আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে বৈষম্যমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা, যারা নাকি আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে ৫ আগস্ট, এককভাবে তারা এই আন্দোলনকে নিজেদের করে নিতে চায়। যখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিভু নিভু তখন কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সামনে এগিয়ে আসে। সাধারণ মানুষ সামনে এগিয়ে আসে, আমরা এগিয়ে যাই। আমাদের বিএনপির রাজনৈতিক কর্মীই মারা গেছে ৪৬২ জন।’
আব্বাস বলেন, ‘নিশ্চয় নেতৃত্বে একজন থাকবে, পেছনে হাজারো লোক থাকবে। কিন্তু এককভাবে কারও দাবি করা ঠিক না। এতে কিন্তু জনমনে বিভেদ সৃষ্টি হবে। এই যে আমাকে কথাটা বলতে হচ্ছে, আমাকে এই কথাটা বলতে বাধ্য হতে হয়েছে। কারণ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, সেটাও সম্মুখভাগে। আমার সঙ্গের অনেক সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব মারা গেছে। প্রায় ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে। শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেটিকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের প্রতি অনুরোধ রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাইদের কাছে অনুরোধ করব বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। ভুল বুঝবেন না। কবর দিয়ে দেব, মেরে ফেলব, কেটে ফেলব—এই ধরনের কথাগুলো কিন্তু ফ্যাসিবাদের মুখ থেকে আসে। এগুলো কিন্তু ভালো কথা নয়। জাতি তাকিয়ে আছে আপনাদের দিকে। আমরাও তাকিয়ে আছি। আপনাদের মুখ থেকে এই ধরনের কথা আমি আশা করি না।’
বিএনপির নির্বাচনের দাবি নিয়ে নানা আলোচনা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সবাই বলছে আমরা নির্বাচন চাইছি। নির্বাচন দিলেই বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে, দেশবাসী রাজনৈতিক দল এটা ভাবে। কিন্তু আমরা (বিএনপি) এটা ভাবি না। আমরা ভাবি নির্বাচন দেশের মানুষের অধিকার। এই অধিকারের জন্য বিএনপি ১৭ বছর আন্দোলন করেছে। নিজের জীবনে অর্ধেক সময় জেলখানায় কিংবা পলাতক জীবন কাটিয়েছে, আমি কিংবা আমরা বয়সী যাঁরা আছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘যদি ধরে নেন নির্বাচন দিলেই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, তাহলে এটা কেন ভাবেন না, বিএনপি অত্যন্ত জনপ্রিয় দল। নির্বাচনে যাওয়ার মতো জনপ্রিয়তা আছে। তাহলে আপনাদের ভয় কেন, জনপ্রিয় একটা দল ক্ষমতায় গেলে অসুবিধা কী? আমরা তো বলছি না, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। যাঁরা ভাবেন, তাঁদের উদ্দেশে বলছি—বিএনপি কখনো ক্ষমতায় যাওয়ার কথা বলেনি। বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়, ভোটাধিকার চায়।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্যসচিব তানবীর আহমেদ রবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫