Ajker Patrika

ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে বিএনপি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২৩, ১৫: ৫৮
ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে বিএনপি 

রাজধানী ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১০ বা ১১ জুনের যেকোনো এক দিন চট্টগ্রাম থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে ১৭ জুন বগুড়া (রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ), ৭ জুলাই খুলনা, ১৫ জুলাই বরিশাল, ২২ জুলাই সিলেট এবং ২৯ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ স্লোগানে এই কর্মসূচি হবে। এটি কোনো বিভাগীয় সমাবেশ নয়। প্রায় ৪ কোটি ভোটার গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। আজকে আমরা মনে করি এ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশ সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী হবে। যেটা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র করেছিলেন। বাংলাদেশে মানুষকে স্বনির্ভর সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ৯ বছর আন্দোলন করে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সে জন্য দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন—টেক ব্যাক বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে সবার সমান অধিকার থাকবে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আজ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। সন্ত্রাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিম্মি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। বেকারত্ব বেড়েছে। সমগ্র দেশবাসী আজ এই সরকারের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত। রিকশাচালক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, পেশাজীবী—সবাই এই সরকারের দ্বারা নির্যাতিত। কারণ তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে সব জিনিসপত্রের সীমাহীন দাম বেড়েছে। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ, আইনের শাসন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী বসবাসের উপযোগী হিসেবে দেশ নির্মাণ করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত