Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রী ‘সকলের’ হতে পারেননি: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী ‘সকলের’ হতে পারেননি: মির্জা ফখরুল

প্রধানমন্ত্রী সবার হতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজ শুক্রবার দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ আহ্বান জানান। সিলেটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী, একটা রাজনৈতিক দলের সভাপতি, তিনি যদি এই ভাষায় কথা বলতে থাকেন, এটা একেবারেই দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি তাঁর কটূক্তি করা থেকে বিরত থাকা উচিত। তিনি কিছুতেই ভুলতে পারেন না যে, তিনি আওয়ামী লীগের লোক। প্রধানমন্ত্রী তো সকলের হওয়ার কথা। ওটা তিনি হতে পারেননি।’ 

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে করা প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত’ উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত নন দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘বারবার এর উত্তর দিতে ভালো লাগে না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত ভাষা ব্যবহার করেন। আমার মনে হয়, তিনি নিজে এই সমস্ত কথা না বলে তাঁর যে চাটুকার দল আছে, তাদের দিয়ে বলালেই তো পারেন। এটা আমার কাছে নোংরা ব্যাপার মনে হয়।’ 

তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে বিদেশে গেছেন—প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আরও অনেকেই তো মুচলেকা দিয়ে বিদেশে গেছেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার এবং মূল্যবোধের যেটুকু অবশিষ্ট আছে, বিএনপি তা মেনে চলতে চায়। আমরা এ রকম অপমানজনক নোংরা কথা বলতে চাই না।’ 

বন্যা ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা ও পদ্মা সেতুর উৎসব নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণে সরকারের কোনো দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। দুর্যোগ নিয়ে কোনো আগাম সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়নি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। জেলাগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ১০ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। উৎসব করার জন্য অর্থ খরচ করছে, মানুষ যে মারা যাচ্ছে, তার জন্য কত খরচ করা হচ্ছে। এতেই বোঝা যায় যে, এই সরকারের মূল লক্ষ্য জনগণ নয়, জনগণের কল্যাণ নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত