রেজা করিম, ঢাকা
সরকারপতনের চলমান আন্দোলন চাঙা করতে জামায়াতকে সম্পৃক্ত করার তাগিদ উঠেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবিরে। যুগপৎ আন্দোলনের কয়েক শরিক এরই মধ্যে এ বিষয়ে বিএনপির কাছে প্রস্তাব রেখেছে। বিএনপির মনোভাব ইতিবাচক হলেও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলেননি দলটির নেতারা। জামায়াতেরও আন্দোলনে ফেরার আগ্রহ আছে বলে জানা গেছে। তবে আপাতত চুপ থাকার কৌশল নিয়েছে দলটি।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধীদের যুগপৎ আন্দোলন আর মাঠে গড়ায়নি। নির্বাচনের পরপরই সমমনাদের নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠকের আয়োজন করে বিএনপি। মাঝপথে সেই বৈঠক মুলতবিও হয়। ১২ মে থেকে আবার শরিকদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জোট ও দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির নেতারা।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির নেতারা। এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণের প্রাথমিক আলোচনা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সেখানে নানা আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন সুপারিশও তুলে ধরছে শরিকেরা। এর মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতকে সম্পৃক্ত করতে কয়েক শরিক জোরালো সুপারিশও করেছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা যাচ্ছে, যাতে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন জামায়াতের নেতারাও। তবে যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়া বা না যাওয়ার ব্যাপারে এখনই হ্যাঁ বা না কোনো কথা না বলে অপেক্ষা করার কথা বলেছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারপতনের জন্য বিরোধীদের সবার অংশগ্রহণে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চাই। আমরা মনে করি, বাস্তবতার নিরিখে সেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনটাই এখন দরকার।’
এর আগে গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা। ওই বৈঠকেও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার বিষয়ে তাগিদ দেন দলটির নেতারা। কিন্তু যুগপৎ আন্দোলনে যাবে কি যাবে না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তাঁরা।
জামায়াতের সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির সঙ্গে নানা কারণে দূরত্ব তৈরি হলেও এখন মান-অভিমানের বরফ গলতে শুরু করেছে। দুই পক্ষের অব্যাহত যোগাযোগে বর্তমানে দূরত্ব কমে গেছে। সরকারপতনের আন্দোলনের পক্ষেই জামায়াতের অবস্থান। সেই অবস্থানে থেকেই জামায়াতও নিজেদের মতো কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এখন বৃহত্তর স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন নীতিনির্ধারকেরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্তরা জামায়াতকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেছেন বলে শুনেছি। এ বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়ে জামায়াতের মনোভাবও ইতিবাচক। কিন্তু একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বিষয়টি বিএনপির দিক থেকে আসতে হবে। কারণ তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারপতনের লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয় ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ওই দিন বিএনপির সঙ্গে সমমনা জোট ও দলগুলোও গণমিছিল করে। এই কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে কর্মসূচি পালন করে জামায়াতও। প্রথম দিনেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির দিক থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না আসায় মান-অভিমান থেকে মাঠ ছাড়ে জামায়াত। এর পর থেকে একলা চলো নীতিতে কর্মসূচি পালন করে আসছে সংগঠনটি। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির পাশাপাশি রাজধানীতে সমাবেশ করে জামায়াত। ২৮ অক্টোবর বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দিলেও জামায়াতের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় নির্বিঘ্নে।
জামায়াতকে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত করার বিষয়ে এখনো কোনো কথা বলেননি বিএনপির নেতারা। তবে দলের নেতাদের বক্তব্যে এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে।
গত সোমবার জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছি। আমাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। যারা মানুষের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন করতে চায়, আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। আর কেউ বিরোধিতা করলে আমরা তার নিন্দা জানাই।’
সরকারপতনের চলমান আন্দোলন চাঙা করতে জামায়াতকে সম্পৃক্ত করার তাগিদ উঠেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবিরে। যুগপৎ আন্দোলনের কয়েক শরিক এরই মধ্যে এ বিষয়ে বিএনপির কাছে প্রস্তাব রেখেছে। বিএনপির মনোভাব ইতিবাচক হলেও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলেননি দলটির নেতারা। জামায়াতেরও আন্দোলনে ফেরার আগ্রহ আছে বলে জানা গেছে। তবে আপাতত চুপ থাকার কৌশল নিয়েছে দলটি।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধীদের যুগপৎ আন্দোলন আর মাঠে গড়ায়নি। নির্বাচনের পরপরই সমমনাদের নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠকের আয়োজন করে বিএনপি। মাঝপথে সেই বৈঠক মুলতবিও হয়। ১২ মে থেকে আবার শরিকদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জোট ও দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির নেতারা।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির নেতারা। এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণের প্রাথমিক আলোচনা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সেখানে নানা আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন সুপারিশও তুলে ধরছে শরিকেরা। এর মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতকে সম্পৃক্ত করতে কয়েক শরিক জোরালো সুপারিশও করেছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা যাচ্ছে, যাতে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন জামায়াতের নেতারাও। তবে যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়া বা না যাওয়ার ব্যাপারে এখনই হ্যাঁ বা না কোনো কথা না বলে অপেক্ষা করার কথা বলেছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারপতনের জন্য বিরোধীদের সবার অংশগ্রহণে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চাই। আমরা মনে করি, বাস্তবতার নিরিখে সেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনটাই এখন দরকার।’
এর আগে গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা। ওই বৈঠকেও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার বিষয়ে তাগিদ দেন দলটির নেতারা। কিন্তু যুগপৎ আন্দোলনে যাবে কি যাবে না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তাঁরা।
জামায়াতের সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির সঙ্গে নানা কারণে দূরত্ব তৈরি হলেও এখন মান-অভিমানের বরফ গলতে শুরু করেছে। দুই পক্ষের অব্যাহত যোগাযোগে বর্তমানে দূরত্ব কমে গেছে। সরকারপতনের আন্দোলনের পক্ষেই জামায়াতের অবস্থান। সেই অবস্থানে থেকেই জামায়াতও নিজেদের মতো কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এখন বৃহত্তর স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন নীতিনির্ধারকেরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্তরা জামায়াতকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেছেন বলে শুনেছি। এ বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়ে জামায়াতের মনোভাবও ইতিবাচক। কিন্তু একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বিষয়টি বিএনপির দিক থেকে আসতে হবে। কারণ তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারপতনের লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয় ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ওই দিন বিএনপির সঙ্গে সমমনা জোট ও দলগুলোও গণমিছিল করে। এই কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে কর্মসূচি পালন করে জামায়াতও। প্রথম দিনেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির দিক থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না আসায় মান-অভিমান থেকে মাঠ ছাড়ে জামায়াত। এর পর থেকে একলা চলো নীতিতে কর্মসূচি পালন করে আসছে সংগঠনটি। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির পাশাপাশি রাজধানীতে সমাবেশ করে জামায়াত। ২৮ অক্টোবর বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দিলেও জামায়াতের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় নির্বিঘ্নে।
জামায়াতকে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত করার বিষয়ে এখনো কোনো কথা বলেননি বিএনপির নেতারা। তবে দলের নেতাদের বক্তব্যে এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে।
গত সোমবার জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছি। আমাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। যারা মানুষের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন করতে চায়, আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। আর কেউ বিরোধিতা করলে আমরা তার নিন্দা জানাই।’
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫