নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির ধারাবাহিক বৈঠকের দ্বিতীয় দফায় প্রাধান্য পাচ্ছে সরকার পতনের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের জন্য সবার আগে নিজেদের ঘর গোছানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মতো আর কোনো ভুল না করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ জানান দলটির তৃণমূলের নেতারা। তাঁরা বলছেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠন তাঁদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন নেতারা।
দলটির ধারাবাহিক বৈঠকের দ্বিতীয় দফার প্রথম কিস্তি শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। এতে অংশ নেন ঢাকা ও ফরিদপুরের নির্বাহী সদস্যরা। তিন দিনের সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাড়ে পাঁচ শ নেতার অংশ নেওয়ার কথা আছে। আজ দ্বিতীয় দিনের সভায় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুরের নেতারা অংশ নেবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার শেষ দিন অংশ নেবেন খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহীর নেতারা। বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মতবিনিময় সভা।
গতকালের বৈঠকে একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আলোচনায় বেশির ভাগ নেতাই বিগত নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে আন্দোলনের সমালোচনা করেন। এ ছাড়া ঝুলে থাকা দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জোটের সঙ্গী জামায়াতের বিষয়ে এখনই তৃণমূল নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে বলেন, যাতে করে আগামীর আন্দোলনের সুফল তাঁরা ভোগ করতে পারেন।
বৈঠকে ফরিদপুরের এক নেতা বলেন, `কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা সেখান থেকে কী পেলাম? লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। লাভ হয়েছে তাঁর দল গণফোরামের। কারণ, তিনি পেয়েছেন একজন সংসদ সদস্য। বিএনপির ভোটে বিজয়ী হয়ে ওই সাংসদ আমাদের দলের কথাই বলেন না। এতে আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বও প্রকাশ হয়েছে।'
জামায়াতের সঙ্গে ঝুলে থাকা সম্পর্কের সুরাহার তাগিদ আসে বৈঠকে। সেখানে নেতারা বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক বিবেচনায় সমাধান করতে বলা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে রাখেন, না রাখলে বাদ দিয়ে দেন। বিষয়টির একটা সমাধান হওয়া উচিত।
গতকাল বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই বৈঠক শেষ হয় রাত ৯টায়। এতে অংশ নেওয়া ৭৮ জনের মধ্যে ৪০ জন সদস্যই কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভার্চুয়ালি যুক্ত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের অনির্বাচিত সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। সেই জন্য তারা কাজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করছেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের বৈঠকে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপির পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, `আমাদের এখনো করণীয় ঠিক হয়নি। সেটা ঠিক হলে আমরা জানাব।'
ফরিদপুরের এক নেতা বলেন, বিএনপির সামনে এখন অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ হলো সরকারের পতন ঘটানো। এটা সম্ভব না হলে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। গাজীপুরের আরেক নেতা জানান, তৃণমূলে নেতৃত্ব নির্বাচনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের স্বজনপ্রীতি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে সভায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোযোগ দিয়ে সব কথা শুনেছেন।
এর আগে গত ১৪, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক, সহসম্পাদক, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির ধারাবাহিক বৈঠকের দ্বিতীয় দফায় প্রাধান্য পাচ্ছে সরকার পতনের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের জন্য সবার আগে নিজেদের ঘর গোছানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মতো আর কোনো ভুল না করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ জানান দলটির তৃণমূলের নেতারা। তাঁরা বলছেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠন তাঁদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন নেতারা।
দলটির ধারাবাহিক বৈঠকের দ্বিতীয় দফার প্রথম কিস্তি শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। এতে অংশ নেন ঢাকা ও ফরিদপুরের নির্বাহী সদস্যরা। তিন দিনের সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাড়ে পাঁচ শ নেতার অংশ নেওয়ার কথা আছে। আজ দ্বিতীয় দিনের সভায় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুরের নেতারা অংশ নেবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার শেষ দিন অংশ নেবেন খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহীর নেতারা। বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মতবিনিময় সভা।
গতকালের বৈঠকে একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আলোচনায় বেশির ভাগ নেতাই বিগত নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে আন্দোলনের সমালোচনা করেন। এ ছাড়া ঝুলে থাকা দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জোটের সঙ্গী জামায়াতের বিষয়ে এখনই তৃণমূল নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে বলেন, যাতে করে আগামীর আন্দোলনের সুফল তাঁরা ভোগ করতে পারেন।
বৈঠকে ফরিদপুরের এক নেতা বলেন, `কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা সেখান থেকে কী পেলাম? লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। লাভ হয়েছে তাঁর দল গণফোরামের। কারণ, তিনি পেয়েছেন একজন সংসদ সদস্য। বিএনপির ভোটে বিজয়ী হয়ে ওই সাংসদ আমাদের দলের কথাই বলেন না। এতে আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বও প্রকাশ হয়েছে।'
জামায়াতের সঙ্গে ঝুলে থাকা সম্পর্কের সুরাহার তাগিদ আসে বৈঠকে। সেখানে নেতারা বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক বিবেচনায় সমাধান করতে বলা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে রাখেন, না রাখলে বাদ দিয়ে দেন। বিষয়টির একটা সমাধান হওয়া উচিত।
গতকাল বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই বৈঠক শেষ হয় রাত ৯টায়। এতে অংশ নেওয়া ৭৮ জনের মধ্যে ৪০ জন সদস্যই কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভার্চুয়ালি যুক্ত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের অনির্বাচিত সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। সেই জন্য তারা কাজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করছেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের বৈঠকে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপির পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, `আমাদের এখনো করণীয় ঠিক হয়নি। সেটা ঠিক হলে আমরা জানাব।'
ফরিদপুরের এক নেতা বলেন, বিএনপির সামনে এখন অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ হলো সরকারের পতন ঘটানো। এটা সম্ভব না হলে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। গাজীপুরের আরেক নেতা জানান, তৃণমূলে নেতৃত্ব নির্বাচনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের স্বজনপ্রীতি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে সভায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোযোগ দিয়ে সব কথা শুনেছেন।
এর আগে গত ১৪, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক, সহসম্পাদক, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫