নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্প্রতি সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামি দলগুলো। এ বিক্ষোভে ছদ্মবেশের পুরোনো কৌশলে বড় জমায়েত নিয়ে অংশগ্রহণ করে জামায়াতে ইসলামী। সহযোগী ছাত্র সংগঠন শিবিরসহ দলটির প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন। শিবিরকর্মীবেষ্টিত অবস্থায় মিছিলের অগ্রভাগে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাইদীকে। সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই মিছিলের সামনের কাতারে ছিলেন জামায়াতের সাবেক আরেক নেতা খলিলুর রহমান মাদানি।
আপাতদৃষ্টিতে সাঈদীপুত্র শামীম সাঈদীকে মিছিলটির নেতৃত্ব দিতে দেখা গেলেও জামায়াতের অন্য নেতারা এ বিষয়ে কৌশলী মত দিয়েছেন।
জুম্মার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট দিয়ে প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল বের করে খেলাফত মজলিশ। এরপরই প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে রাস্তায় নামে জামায়াত ও শিবির। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে পল্টন, বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও নয়াপল্টন মোড়েও পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। প্রস্তুত ছিল জলকামান ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে সামনের সারির নেতাদের চারপাশে বেষ্টনী তৈরি করেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল অসংখ্য প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন। এসবে লেখা ছিল 'আল কোরআনের অপমান, সইবে না রে মুসলমান’, 'নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’সহ নানা স্লোগান।
মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে বের হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংক হয়ে নয়াপল্টন মোড়ে পৌঁছালে সামনে থাকা শিবিরকর্মীরা পুলিশকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা এতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। একপর্যায়ে নয়াপল্টন মোড় ঘুরে পানির ট্যাংকের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ থেকে জেনেভা কনভেনশনের আলোকে দোষীদের বিচার, জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের দাবি জানানো হয়।
এদিকে, মিছিলে উপস্থিত ও নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে সাইদীপুত্র শামীম সাইদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মিছিল চলাকালে তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে অন্য নেতা-কর্মীরা তাতে বাধা দেন। তবে এ বিষয়ে সাবেক জামায়াত নেতা ও সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের সমন্বয়ক খলিলুর রহমান মাদানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'শামীম সাইদী জামায়াতে ইসলামীর কোনো দায়িত্বে নেই। তাঁর বাবা বড় দায়িত্বে থাকলেও উনি (শামীম সাইদী) দলের সঙ্গে নেই। তবে জুম্মার নামাজ থেকে তিনি মিছিলে যোগ দেন। আর একটু লম্বা হওয়ায় সবদিক থেকে তাঁকে সবার আগে দেখা যায়। তাই মনে হতে পারে তাঁর নেতৃত্বেই মিছিল হচ্ছে।’
জামায়াত ও শিবির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে মাদানি বলেন, 'ঈমানি দায়িত্ব থেকে কে কখন কীভাবে এসেছেন তা আসলে বলা কঠিন। তবে কোরআনের ডাকে সবাই এসেছেন এটাই খুশির খবর। নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না।’
তবে ছাত্র শিবিরের একাধিক সাবেক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিছিলে রাজধানীসহ বিভাগীয় শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক শ নেতা-কর্মী এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে কোন কোন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন জানতে চাইলে মাদানি জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিশসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল সম্মিলিতভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমরা দলীয় কর্মসূচি হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছি। সেখানে (সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের মিছিল) আমাদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন না।’ খেলাফত মজলিশের শীর্ষ নেতারাও একই কথা জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ মিছিলে জামায়াত এবং শিবির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে কি না জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রওশানুল হক সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'বিষয়টি ডিসি স্যার মনিটরিং করছেন। তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’
তবে এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামি দলগুলো। এ বিক্ষোভে ছদ্মবেশের পুরোনো কৌশলে বড় জমায়েত নিয়ে অংশগ্রহণ করে জামায়াতে ইসলামী। সহযোগী ছাত্র সংগঠন শিবিরসহ দলটির প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন। শিবিরকর্মীবেষ্টিত অবস্থায় মিছিলের অগ্রভাগে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাইদীকে। সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই মিছিলের সামনের কাতারে ছিলেন জামায়াতের সাবেক আরেক নেতা খলিলুর রহমান মাদানি।
আপাতদৃষ্টিতে সাঈদীপুত্র শামীম সাঈদীকে মিছিলটির নেতৃত্ব দিতে দেখা গেলেও জামায়াতের অন্য নেতারা এ বিষয়ে কৌশলী মত দিয়েছেন।
জুম্মার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট দিয়ে প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল বের করে খেলাফত মজলিশ। এরপরই প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে রাস্তায় নামে জামায়াত ও শিবির। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে পল্টন, বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও নয়াপল্টন মোড়েও পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। প্রস্তুত ছিল জলকামান ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে সামনের সারির নেতাদের চারপাশে বেষ্টনী তৈরি করেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল অসংখ্য প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন। এসবে লেখা ছিল 'আল কোরআনের অপমান, সইবে না রে মুসলমান’, 'নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’সহ নানা স্লোগান।
মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে বের হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংক হয়ে নয়াপল্টন মোড়ে পৌঁছালে সামনে থাকা শিবিরকর্মীরা পুলিশকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা এতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। একপর্যায়ে নয়াপল্টন মোড় ঘুরে পানির ট্যাংকের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ থেকে জেনেভা কনভেনশনের আলোকে দোষীদের বিচার, জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের দাবি জানানো হয়।
এদিকে, মিছিলে উপস্থিত ও নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে সাইদীপুত্র শামীম সাইদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মিছিল চলাকালে তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে অন্য নেতা-কর্মীরা তাতে বাধা দেন। তবে এ বিষয়ে সাবেক জামায়াত নেতা ও সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের সমন্বয়ক খলিলুর রহমান মাদানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'শামীম সাইদী জামায়াতে ইসলামীর কোনো দায়িত্বে নেই। তাঁর বাবা বড় দায়িত্বে থাকলেও উনি (শামীম সাইদী) দলের সঙ্গে নেই। তবে জুম্মার নামাজ থেকে তিনি মিছিলে যোগ দেন। আর একটু লম্বা হওয়ায় সবদিক থেকে তাঁকে সবার আগে দেখা যায়। তাই মনে হতে পারে তাঁর নেতৃত্বেই মিছিল হচ্ছে।’
জামায়াত ও শিবির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে মাদানি বলেন, 'ঈমানি দায়িত্ব থেকে কে কখন কীভাবে এসেছেন তা আসলে বলা কঠিন। তবে কোরআনের ডাকে সবাই এসেছেন এটাই খুশির খবর। নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না।’
তবে ছাত্র শিবিরের একাধিক সাবেক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিছিলে রাজধানীসহ বিভাগীয় শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক শ নেতা-কর্মী এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে কোন কোন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন জানতে চাইলে মাদানি জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিশসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল সম্মিলিতভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমরা দলীয় কর্মসূচি হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছি। সেখানে (সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের মিছিল) আমাদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন না।’ খেলাফত মজলিশের শীর্ষ নেতারাও একই কথা জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ মিছিলে জামায়াত এবং শিবির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে কি না জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রওশানুল হক সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'বিষয়টি ডিসি স্যার মনিটরিং করছেন। তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’
তবে এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫