Ajker Patrika

খুলনার সমাবেশ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে: মির্জা ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খুলনার সমাবেশ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে: মির্জা ফখরুল 

বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে খুলনার গণসমাবেশ সফল করার জন্য বিএনপির নেতা কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছে দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরাম। গত সোমবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে এ কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় ২২ অক্টোবর খুলনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশের বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সমাবেশ বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করা হয়। সভায় সংবিধানসম্মত সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলা, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সমাবেশ পণ্ড করার হীন প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত বিএনপির নেতা কর্মীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। আগামী সমাবেশগুলোকে সফল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বানও জানানো হয় এই সভায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পদে পদে বাধা, হামলা, গ্রেপ্তারকে উপেক্ষা করে সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। স্থলপথ ও জলপথ পরিবহন ধর্মঘট আহ্বানের পরেও কর্মসূচির আগের রাতেই সভাস্থলে সাহসী জনগণের অবস্থান এবং পরের দিন জনতার ঢলে পুরো খুলনা শহরে জনতার উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য খুলনা মহানগরসহ সকল জেলা, পৌরসভায় দলের এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ও জনসাধারণকে অভিনন্দন জানানো হয়।

সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এ প্রাণহানি ও ক্ষতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানানো হয় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

দেশে জ্বালানি ও অর্থনীতির সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানানো হয় বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, সভায় জ্বালানি উপদেষ্টার অসহায় মন্তব্যের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা মনে করে সীমাহীন দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও অব্যস্থাপনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ নিয়েও উদ্বেগ জানানো হয়। সভা মনে করে, অনির্বাচিত সরকারের তথাকথিত মেগা প্রকল্প এবং প্রয়োজন নয় এমন সব প্রকল্প গ্রহণ, সুষ্ঠু কোনো পরিকল্পিত নীতি ছাড়া উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, আন্তর্জাতিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ঋণ গ্রহণ অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এসবের দায়ভার নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত