Ajker Patrika

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে দায় বিএনপিকে নিতে হবে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩, ১৬: ০১
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে দায় বিএনপিকে নিতে হবে: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথাকথিত আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি। কোনোভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে এবং জননিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটলে তার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। ৩ হাজার ৮০০ যানবাহন, ৫ শতাধিক স্কুল, ভূমি অফিস, মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল। বিএনপি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চক্রান্ত করছে। 

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে এই ষড়যন্ত্রের অপকৌশল থেকে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাই। তা না হলে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করবে।’ 

বিএনপি সর্বদাই গণচেতনার বিপরীতে চলা রাজনৈতিক অপশক্তি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিএনপি ও তার দোসররা বারবার এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। জনমনে ভীতির সঞ্চার করে জনগণকে জিম্মি করে, যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য। 

বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার নামে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব কায়েম করেছিল বিএনপি। বিচার বিভাগকে দলীয় কার্যালয়ের আঙিনায় রূপান্তরিত করেছিল। সেই বিএনপির মুখে আজ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্রের মুখোশ পরে জনগণের সামনে দাঁড়াচ্ছে। মুখোশের আড়ালের মুখগুলোকে জনগণ ভালোভাবেই চেনে। তাই বিএনপির কোনো আহ্বানে জনগণ সাড়া দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও তারা জনগণের কোনো সমর্থন পাবে না। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে, বিগত দিনগুলোতে নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা। আর এ লক্ষ্যে তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উসকানি দিচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে বিএনপির সন্ত্রাসী অপতৎপরতা তত বৃদ্ধি পাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত