নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় নতুন করে আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মোট ১৩৮ জনকে বহিষ্কার করল দলটি। এভাবে বহিষ্কারের তালিকা দীর্ঘ হলেও নির্বাচন থেকে কোনোমতেই সরানো যাচ্ছে না বিএনপির নেতাদের। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চলতি বছর চার ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। ৮ ও ২১ মে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৭ জনকে আগেই বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল শনিবার ৬১ জনকে বহিষ্কার করে দলটি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১৬ জন। দলের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নেতারা। এদের মধ্যে রংপুরের ১১ জন, রাজশাহীর ৫ জন, বরিশালের ৩ জন, ঢাকার ৬ জন, ফরিদপুরের ২ জন, ময়মনসিংহের ৬ জন, সিলেটের ১৫ জন, চট্টগ্রামের ৫ জন, কুমিল্লার ২ জন এবং খুলনা বিভাগের ৬ জন রয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনেও বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতার প্রার্থী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র বলছে, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কারা অংশ নিয়েছেন, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো তাঁদের পরণতিও একই হবে। যদিও এ বিষয়ে গা করছেন না অধিকাংশ প্রার্থীই। তাঁরা বলছেন, দলের এই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। এভাবে একের পর এক নির্বাচন বর্জন করলে দলের সাংগঠনিক ভিত দুর্বল হয়ে যাবে। বিশেষ করে তৃণমূলে হতাশা আরও বাড়বে।
এদিকে প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে এক প্রার্থী ভুল স্বীকার করায় তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে দল। দ্বিতীয় ধাপে এবং তৃতীয় ধাপের প্রার্থীদের মধ্যেও এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁরা নির্বাচনে অংশ নিলেও সময় নেওয়ার কথা বলছেন। অনেকে আবার এরই মধ্যে দলের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার কথাও জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া এক বিএনপির নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকায় রাজনীতি করতে গেলে স্থানীয়দের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হয়। যে কারণে প্রার্থী হয়েছি। এরপরেও দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আরেকটু সময় নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানেই আছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তাঁদের দাবি, দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় সিদ্ধান্ত উপেক্ষাকারীদের বহিষ্কার করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচন ‘সরকারের পাতানো ফাঁদ’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গতকাল দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনেও সরকার ফাঁদ পেতেছে। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছে। বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।’
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় নতুন করে আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মোট ১৩৮ জনকে বহিষ্কার করল দলটি। এভাবে বহিষ্কারের তালিকা দীর্ঘ হলেও নির্বাচন থেকে কোনোমতেই সরানো যাচ্ছে না বিএনপির নেতাদের। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চলতি বছর চার ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। ৮ ও ২১ মে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৭ জনকে আগেই বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল শনিবার ৬১ জনকে বহিষ্কার করে দলটি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১৬ জন। দলের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নেতারা। এদের মধ্যে রংপুরের ১১ জন, রাজশাহীর ৫ জন, বরিশালের ৩ জন, ঢাকার ৬ জন, ফরিদপুরের ২ জন, ময়মনসিংহের ৬ জন, সিলেটের ১৫ জন, চট্টগ্রামের ৫ জন, কুমিল্লার ২ জন এবং খুলনা বিভাগের ৬ জন রয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনেও বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতার প্রার্থী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র বলছে, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কারা অংশ নিয়েছেন, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো তাঁদের পরণতিও একই হবে। যদিও এ বিষয়ে গা করছেন না অধিকাংশ প্রার্থীই। তাঁরা বলছেন, দলের এই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। এভাবে একের পর এক নির্বাচন বর্জন করলে দলের সাংগঠনিক ভিত দুর্বল হয়ে যাবে। বিশেষ করে তৃণমূলে হতাশা আরও বাড়বে।
এদিকে প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে এক প্রার্থী ভুল স্বীকার করায় তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে দল। দ্বিতীয় ধাপে এবং তৃতীয় ধাপের প্রার্থীদের মধ্যেও এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁরা নির্বাচনে অংশ নিলেও সময় নেওয়ার কথা বলছেন। অনেকে আবার এরই মধ্যে দলের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার কথাও জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া এক বিএনপির নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকায় রাজনীতি করতে গেলে স্থানীয়দের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হয়। যে কারণে প্রার্থী হয়েছি। এরপরেও দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আরেকটু সময় নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানেই আছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তাঁদের দাবি, দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় সিদ্ধান্ত উপেক্ষাকারীদের বহিষ্কার করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচন ‘সরকারের পাতানো ফাঁদ’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গতকাল দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনেও সরকার ফাঁদ পেতেছে। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছে। বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।’
নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ মঙ্গলবার বাজারে আসছে। ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন নকশার এই ব্যাংক নোট প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।
১২ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১১ আগস্ট ২০২৫ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১১ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১১ আগস্ট ২০২৫