Ajker Patrika

আ. লীগ করলে চাকরি ছেড়ে দেন, পুলিশকে টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯: ২৬
আ. লীগ করলে চাকরি ছেড়ে দেন, পুলিশকে টুকু

আওয়ামী লীগ করলে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

এ সময় পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগ করার ইচ্ছে খুব থাকে, তাহলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিন। রাজনীতিই করেন।’

টুকু বলেন, ‘পুলিশের যদি আওয়ামী লীগ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে তাই করেন। কিন্তু এই যে লাখো জনতার ট্যাক্সের পয়সায় আপনার সংসার চলে, এই বেতন নিয়ে তো আপনি পারবেন না। কুর্দি খোলেন, রাস্তায় আসেন। আমার গুলি, আমার পোশাক, এগুলো দিয়ে আমার সাথে যুদ্ধ করবা, এটা হতে পারে না।’ 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমাদের মতো মুক্তিযোদ্ধাকে রক্তচক্ষু দেখালে ভয় পাই না। আমরা তো বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ করেছি সেই ৫০ বছর আগে। আমরা জীবনের ভয় পাই না। আমরা তত দিন পর্যন্ত লড়ব, যত দিন পর্যন্ত অধিকার ফেরত আনতে না পারব।’

দেশে গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গতকাল যখন বিমানবন্দর থেকে যাচ্ছি, ঠিক ২৫ মার্চের পরে যখন রাস্তায় মানুষ নামলে আর্মি ব্যারিকেড দিয়ে চলাফেরা বন্ধ করছিল, তেমনি বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী আসার পথে দেখেছি। আমাদের গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করছে, আমরা কোথায় যাব? আমি পুলিশকে বলেছিলাম, আমরা ডাকাতি করতে যাচ্ছি? তোমরা ভোট নিয়ে গেছ, সেই ভোট আমরা ডাকাতি করতে যাচ্ছি। তোমাদের চেয়ে বড় ডাকাত আমরা। তোমাদের কাছ থেকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি।’ 

টুকু আরও বলেন, ‘যখন ঈদগাহ ময়দানে আসলাম, তখন আমার মনে পড়ে গেল, মার্চ মাসে আমাদের দেশের মানুষ বর্ডার পার হয়ে ভারতে গিয়ে যেভাবে শিবির করেছিল, এই ঈদগাহ ময়দানেও তেমন শিবির সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। আজ এই দেশের সরকার, পুলিশ, যারা দিনের ভোট রাতে চুরি করে তারা আমাদেরকে সব বন্ধ করে দিয়ে তিন দিন-চার দিন আগে থেকে শিবির বানিয়ে আমাদেরকে থাকতে হয়েছে। এই কি সেই বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশের জন্য লাখে জনতা জীবন দিয়েছে। এই সেই বাংলাদেশ না।’ 

তিনি বলেন, ‘৫০ বছর পরে আজকে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। জনগণের ভাতের অধিকারের জন্য। পাকিস্তানি লুটেরা যেমন লুট করে নিয়ে গিয়েছিল, তেমনি এখন লুটের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই মঞ্চে ঘোষণা দিচ্ছি, আবার যুদ্ধ করব। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। এখানে যারা বসে আছেন, প্রত্যেকে প্রস্তুত যুদ্ধ করার জন্য।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়েছেন আরাফাতের ময়দানের মতো। আজকে আমরা বিএনপি পরিবার এক সাথে হয়েছি একটা লক্ষ্যে। লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র ফেরত আসলে আমাদের মা ফেরত আসবে। এই বিজয়ের মাসেই আমরা এমন তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব, যা বাংলাদেশের মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাবে।’ 

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল মাহমুদ টুকু। সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত