সম্পাদকীয়
লেখাপড়া করেছেন চট্টগ্রাম ও খুলনার দুটি মাদ্রাসায়। ‘মুফতি’ সম্পন্ন করে পিরোজপুর সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেছেন। একটি মসজিদে ইমামতির দায়িত্বও পালন করেছেন। রাগীব আহসান নামের এই ব্যক্তিটি পুরোদস্তুর একজন ধার্মিক মানুষ। হঠাৎ করে নিজের এলাকা পিরোজপুর ছেড়ে ঢাকায় এসে ২০০৭ সালে ৯০০ টাকা বেতনে চাকরি নেন একটি মাল্টিপারপাস কোম্পানিতে। এক বছর কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে ২০০৮ সালেই পিরোজপুরে গিয়ে ‘এহসান এস মাল্টিপারপাস’ নামে একটি কোম্পানি খুলে বসেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, রাগীব আহসান মূলত মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে শরিয়াসম্মত সুদবিহীন বিনিয়োগের কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। তিনি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে উপস্থিত ধর্মানুরাগী মানুষদের তাঁর কোম্পানিতে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতেন। ১১০ কোটি টাকা মূলধন ও ১০ হাজার সদস্য নিয়ে এহসান গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করলেও তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা।
নিজেকে ‘ধার্মিক’ হিসেবে মানুষের কাছে তুলে ধরে মাত্র ৪১ বছর বয়সেই রাগীব আহসান নিজের এবং স্বজনদের নামে ১৭টি ব্যবসা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এক লাখের বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বাবা, শ্বশুর ও ভাইদের কোম্পানির বিভিন্ন পদে বসিয়ে সরলপ্রাণ মানুষদের ঠকিয়ে টাকা কামাইয়ের একটি ‘মধুচক্র’ গড়ে তুলে শেষরক্ষা হয়নি রাগীবের।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন রাগীব ও তাঁর এক ভাই। র্যাব জানিয়েছে, রাগীবের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছে। আড়াই বছর আগেও রাগীব একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন কীভাবে এবং মুক্তি পেয়ে গ্রাহক বা আমানতকারীদের অর্থ ফেরত না দিয়েও কীভাবে দিব্যি মানুষ ঠকানোর কাজ অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছেন, সে প্রশ্নের জবাব কি কারও কাছে পাওয়া যাবে?
এখন বলা হচ্ছে, এহসান গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন এলাকায় মাহফিল হতো। তাদের টার্গেট ছিল সাধারণ মানুষ। এ জন্য তারা মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিত। ইমাম ও শিক্ষকদের কথা বিশ্বাস করে মানুষ টাকা আমানত রাখত। মানুষের সরলতা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে রাগীব যে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তা আর ফেরত পাওয়া যাবে কি না, বলা মুশকিল। এমন প্রতারক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কথা নিয়মিত বিরতি দিয়েই জানা যায়। মানুষকে ঠকিয়ে যাঁরা এ রকম প্রতারণার ব্যবসা ফাঁদেন, তাঁদের নিবৃত্ত করার উপায় কি কিছুই নেই? ধর্মীয় লেবাসধারীও যে ভণ্ড হতে পারে, সেটা তো কোনো নতুন কথা নয়। মসজিদ-মাদ্রাসাকে লাভ এবং লোভের ব্যবসার হাতিয়ার বানিয়ে রাগীব আহসান গুরুতর অন্যায় করেছেন। তাঁকে কঠোর শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা প্রয়োজন, যাতে এভাবে অসংখ্য মানুষের সর্বনাশ করে নিজের ভাগ্য ফেরানোর ধান্ধা আর কেউ না করতে পারে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই সচেতনতা তৈরি করা দরকার, যাতে অস্বাভাবিক উপায়ে অর্থ উপার্জনের প্রলোভন কেউ দেখালেই তাতে আগেপিছে না তাকিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে বিরত থাকতে পারে।
লেখাপড়া করেছেন চট্টগ্রাম ও খুলনার দুটি মাদ্রাসায়। ‘মুফতি’ সম্পন্ন করে পিরোজপুর সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেছেন। একটি মসজিদে ইমামতির দায়িত্বও পালন করেছেন। রাগীব আহসান নামের এই ব্যক্তিটি পুরোদস্তুর একজন ধার্মিক মানুষ। হঠাৎ করে নিজের এলাকা পিরোজপুর ছেড়ে ঢাকায় এসে ২০০৭ সালে ৯০০ টাকা বেতনে চাকরি নেন একটি মাল্টিপারপাস কোম্পানিতে। এক বছর কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে ২০০৮ সালেই পিরোজপুরে গিয়ে ‘এহসান এস মাল্টিপারপাস’ নামে একটি কোম্পানি খুলে বসেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, রাগীব আহসান মূলত মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে শরিয়াসম্মত সুদবিহীন বিনিয়োগের কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। তিনি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে উপস্থিত ধর্মানুরাগী মানুষদের তাঁর কোম্পানিতে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতেন। ১১০ কোটি টাকা মূলধন ও ১০ হাজার সদস্য নিয়ে এহসান গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করলেও তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা।
নিজেকে ‘ধার্মিক’ হিসেবে মানুষের কাছে তুলে ধরে মাত্র ৪১ বছর বয়সেই রাগীব আহসান নিজের এবং স্বজনদের নামে ১৭টি ব্যবসা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এক লাখের বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বাবা, শ্বশুর ও ভাইদের কোম্পানির বিভিন্ন পদে বসিয়ে সরলপ্রাণ মানুষদের ঠকিয়ে টাকা কামাইয়ের একটি ‘মধুচক্র’ গড়ে তুলে শেষরক্ষা হয়নি রাগীবের।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন রাগীব ও তাঁর এক ভাই। র্যাব জানিয়েছে, রাগীবের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছে। আড়াই বছর আগেও রাগীব একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন কীভাবে এবং মুক্তি পেয়ে গ্রাহক বা আমানতকারীদের অর্থ ফেরত না দিয়েও কীভাবে দিব্যি মানুষ ঠকানোর কাজ অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছেন, সে প্রশ্নের জবাব কি কারও কাছে পাওয়া যাবে?
এখন বলা হচ্ছে, এহসান গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন এলাকায় মাহফিল হতো। তাদের টার্গেট ছিল সাধারণ মানুষ। এ জন্য তারা মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিত। ইমাম ও শিক্ষকদের কথা বিশ্বাস করে মানুষ টাকা আমানত রাখত। মানুষের সরলতা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে রাগীব যে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তা আর ফেরত পাওয়া যাবে কি না, বলা মুশকিল। এমন প্রতারক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কথা নিয়মিত বিরতি দিয়েই জানা যায়। মানুষকে ঠকিয়ে যাঁরা এ রকম প্রতারণার ব্যবসা ফাঁদেন, তাঁদের নিবৃত্ত করার উপায় কি কিছুই নেই? ধর্মীয় লেবাসধারীও যে ভণ্ড হতে পারে, সেটা তো কোনো নতুন কথা নয়। মসজিদ-মাদ্রাসাকে লাভ এবং লোভের ব্যবসার হাতিয়ার বানিয়ে রাগীব আহসান গুরুতর অন্যায় করেছেন। তাঁকে কঠোর শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা প্রয়োজন, যাতে এভাবে অসংখ্য মানুষের সর্বনাশ করে নিজের ভাগ্য ফেরানোর ধান্ধা আর কেউ না করতে পারে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই সচেতনতা তৈরি করা দরকার, যাতে অস্বাভাবিক উপায়ে অর্থ উপার্জনের প্রলোভন কেউ দেখালেই তাতে আগেপিছে না তাকিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে বিরত থাকতে পারে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫