সম্পাদকীয়
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির খবরগুলোর ভিড়ে দুর্নীতির একটি খবর যেকোনো সচেতন মানুষকে হতবিহ্বল করে তুলতে পারে। সিলেটের কানাইঘাটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে কর্মরত মো. জাহাঙ্গীর আলম একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়েও ১৭ বছরে বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এ নিয়ে ১০ মার্চ আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর এমন কাণ্ড দেশে দুর্নীতির গভীরতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
এটা কীভাবে সম্ভব? সম্ভব এ কারণেই যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হলো সব সম্ভবের দেশ। এখানে একটু চালাক-চতুর হলে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া কঠিন কোনো ব্যাপার না। সম্পদ বাড়ানোর জন্য বেশি লেখাপড়া জানারও দরকার নেই, শুধু সিস্টেম করে কাজ করার মতো ধুরন্ধর হতে হবে। তাহলে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামাইয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
তো, জাহাঙ্গীর আলম কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়ে উঠলেন? ব্যাপারটি খুবই সহজ। তিনি সিলেট জেলার পরিবার পরিকল্পনার সাবেক উপপরিচালক লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মান্নানের বিশ্বস্ততা অর্জন করে এ ধরনের অপকর্ম করতে পেরেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে জাল-জালিয়াতি, বদলি ও নিয়োগ-বাণিজ্য, সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল, বিনা অনুমতিতে বিদেশ ভ্রমণ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন। এসব অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তবে তা শুধু আইন লঙ্ঘনই নয়, বরং নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ও বটে।
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও বেশ লক্ষণীয় ব্যাপার। তিন বছর পরপর বদলির নিয়ম থাকলেও তিনি টানা ১৭ বছর একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর কারণ হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আমাদের দেশে সামাজিক ব্যাধিগুলোর মধ্যে দুর্নীতি হলো অন্যতম। একবার কোনো ব্যাধি দেখা দিলে তা সারিয়ে তোলার মতো চিকিৎসাব্যবস্থা দেশে দেখা যায় না। বরং তা গাণিতিক হারে বাড়ে। সরকার যায়, সরকার আসে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যাধিগুলোর নিরাময় হয় না। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম, দেশে ভালো কিছু হবে। কিন্তু ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। নজরদারির অভাব এবং জবাবদিহি না থাকার কারণে মূলত আমাদের দেশে দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা রোধ করা যায় না। দুদককে এখন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। আমরা আশা করব, দুদক এ ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের নিয়মিত বদলির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তাঁরা একই কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে না পারেন। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে যোগ্য প্রার্থীরা সুযোগ পান।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির খবরগুলোর ভিড়ে দুর্নীতির একটি খবর যেকোনো সচেতন মানুষকে হতবিহ্বল করে তুলতে পারে। সিলেটের কানাইঘাটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে কর্মরত মো. জাহাঙ্গীর আলম একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়েও ১৭ বছরে বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এ নিয়ে ১০ মার্চ আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর এমন কাণ্ড দেশে দুর্নীতির গভীরতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
এটা কীভাবে সম্ভব? সম্ভব এ কারণেই যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হলো সব সম্ভবের দেশ। এখানে একটু চালাক-চতুর হলে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া কঠিন কোনো ব্যাপার না। সম্পদ বাড়ানোর জন্য বেশি লেখাপড়া জানারও দরকার নেই, শুধু সিস্টেম করে কাজ করার মতো ধুরন্ধর হতে হবে। তাহলে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামাইয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
তো, জাহাঙ্গীর আলম কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়ে উঠলেন? ব্যাপারটি খুবই সহজ। তিনি সিলেট জেলার পরিবার পরিকল্পনার সাবেক উপপরিচালক লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মান্নানের বিশ্বস্ততা অর্জন করে এ ধরনের অপকর্ম করতে পেরেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে জাল-জালিয়াতি, বদলি ও নিয়োগ-বাণিজ্য, সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল, বিনা অনুমতিতে বিদেশ ভ্রমণ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন। এসব অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তবে তা শুধু আইন লঙ্ঘনই নয়, বরং নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ও বটে।
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও বেশ লক্ষণীয় ব্যাপার। তিন বছর পরপর বদলির নিয়ম থাকলেও তিনি টানা ১৭ বছর একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর কারণ হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আমাদের দেশে সামাজিক ব্যাধিগুলোর মধ্যে দুর্নীতি হলো অন্যতম। একবার কোনো ব্যাধি দেখা দিলে তা সারিয়ে তোলার মতো চিকিৎসাব্যবস্থা দেশে দেখা যায় না। বরং তা গাণিতিক হারে বাড়ে। সরকার যায়, সরকার আসে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যাধিগুলোর নিরাময় হয় না। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম, দেশে ভালো কিছু হবে। কিন্তু ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। নজরদারির অভাব এবং জবাবদিহি না থাকার কারণে মূলত আমাদের দেশে দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা রোধ করা যায় না। দুদককে এখন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। আমরা আশা করব, দুদক এ ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের নিয়মিত বদলির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তাঁরা একই কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে না পারেন। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে যোগ্য প্রার্থীরা সুযোগ পান।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫