সম্পাদকীয়
একটি কলা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। একটি সাধারণ কলা, যা নিলামে বিক্রি হলো ৭৪ কোটি টাকায়। এটি শিল্প, না কৌতুক, না সামাজিক শ্লেষ—নাকি তিনটির মিশেল? ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটালানের এই ‘কমেডিয়ান’ আমাদের শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আর বাজারজাত সৃজনশীলতার প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
গত শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘বাংলাদেশির কাছ থেকে কেনা কলা বিক্রি ৭৪ কোটিতে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি নিশ্চয়ই পাঠকের মনোযোগ কেড়েছে। একটি কলা কীভাবে শিল্পকলা হলো, কীভাবে ইন্টারনেট দুনিয়ায় তোলপাড় তুলল, তার পেছনের কথা জানা গেল এই খবরটি পড়ে। এ যেন ছাই থেকে অমূল্য রতন লাভের মতো ব্যাপার।
কলার মতো সহজলভ্য একটি ফল যখন শিল্পকর্মে রূপ নেয়, তখন তা শুধু প্রদর্শনীর বিষয় থাকে না। এটি হয়ে ওঠে এক অন্য রকম খবর। খবরের চেয়ে খবরের পেছনের খবর হয় বেশি আকর্ষণীয় ও কৌতূহলোদ্দীপক। কলা, যা সাম্রাজ্যবাদী ইতিহাস, শ্রম শোষণ আর করপোরেট লোভের প্রতীক, ক্যাটালানের হাতে এসে দাঁড়ায় শিল্প ও বাজারের হাস্যকর সত্য উন্মোচনের মঞ্চে। একটি স্কচ টেপ দিয়ে দেয়ালে আটকানো এই কলা মূলত আমাদের সমাজের ভোগবাদী মানসিকতার একটি আয়না।
মজার ব্যাপার, এই শিল্পকর্মটির সত্যিকারের ‘মৌলিক উপাদান’—অর্থাৎ কলাটি—কিনে আনা হয়েছিল মাত্র ৩৫ সেন্টে, এক বাংলাদেশি বিক্রেতার কাছ থেকে। তারপর সেই কলা, কৌশলী উপস্থাপন এবং ক্যাটালানের খ্যাতি মিলে সেটিকে পরিণত করেছে কোটি কোটি টাকার সম্পদে। এই ঘটনাই শিল্পের বহুমুখী চরিত্রকে প্রকাশ করে। একদিকে এটি আমাদের জীবনের সৌন্দর্য তুলে ধরে, অন্যদিকে অর্থনীতির অসমতা এবং বাজারব্যবস্থার ফাঁকিও নগ্ন করে।
ক্যাটালানের এই শিল্পকর্মের প্রতি মানুষের আগ্রহ আর প্রতিক্রিয়া আমাদের আরেকটি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়—আমরা কি আসলে শিল্পকে তার প্রকৃত অর্থে উপলব্ধি করি, নাকি শুধুই বিনোদন আর বিনিয়োগের পণ্য হিসেবে দেখি? ‘কমেডিয়ান’-এর ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা হলো, একটি কলার ইতিহাস, বাজারমূল্য এবং সৃজনশীল উপস্থাপনায় একটি হাস্যরসাত্মক, অথচ গভীর অর্থবহ বার্তা যোগ করা হয়েছে।
শিল্পকর্মের এই উদাহরণটি কেবল অর্থবিত্ত আর বাজারের কথা বলে না; এটি একধরনের সৃজনশীল বিদ্রূপও। যেমন, ২০১৯ সালে এই শিল্পকর্ম যখন প্রথম প্রদর্শিত হয়, তখন পারফরম্যান্স শিল্পী ডেভিড দাতুনা সেটি খেয়ে ফেলেন, আর এটিকেও নিজের শিল্পকর্ম হিসেবে দাবি করেন। শিল্পের দুনিয়ার এই রসবোধ সত্যিই চমৎকার।
শেষ কথা হলো, শিল্পের প্রকৃতি বহুমুখী। এটি কখনো ভাবায়, কখনো হাসায়, কখনো সমালোচনা করে। ক্যাটালানের কলা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে শিল্প কোনো বস্তু নয়, এটি একটি ভাবনা। শিল্প তাই শুধু দেয়ালে ঝোলানো থাকে না; এটি আমাদের মনেও ঝুলে থাকে। তবে ভবিষ্যতে যদি আপনিও একটি কলা কিনে সেটিকে শিল্পে রূপান্তর করতে চান, তবে স্কচ টেপের দাম দেখে নেবেন। কারণ, শিল্পের নামে যা-ই হোক, বাজার কোনো কৌতুককে ক্ষমা করে না।
একটি কলা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। একটি সাধারণ কলা, যা নিলামে বিক্রি হলো ৭৪ কোটি টাকায়। এটি শিল্প, না কৌতুক, না সামাজিক শ্লেষ—নাকি তিনটির মিশেল? ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটালানের এই ‘কমেডিয়ান’ আমাদের শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আর বাজারজাত সৃজনশীলতার প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
গত শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘বাংলাদেশির কাছ থেকে কেনা কলা বিক্রি ৭৪ কোটিতে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি নিশ্চয়ই পাঠকের মনোযোগ কেড়েছে। একটি কলা কীভাবে শিল্পকলা হলো, কীভাবে ইন্টারনেট দুনিয়ায় তোলপাড় তুলল, তার পেছনের কথা জানা গেল এই খবরটি পড়ে। এ যেন ছাই থেকে অমূল্য রতন লাভের মতো ব্যাপার।
কলার মতো সহজলভ্য একটি ফল যখন শিল্পকর্মে রূপ নেয়, তখন তা শুধু প্রদর্শনীর বিষয় থাকে না। এটি হয়ে ওঠে এক অন্য রকম খবর। খবরের চেয়ে খবরের পেছনের খবর হয় বেশি আকর্ষণীয় ও কৌতূহলোদ্দীপক। কলা, যা সাম্রাজ্যবাদী ইতিহাস, শ্রম শোষণ আর করপোরেট লোভের প্রতীক, ক্যাটালানের হাতে এসে দাঁড়ায় শিল্প ও বাজারের হাস্যকর সত্য উন্মোচনের মঞ্চে। একটি স্কচ টেপ দিয়ে দেয়ালে আটকানো এই কলা মূলত আমাদের সমাজের ভোগবাদী মানসিকতার একটি আয়না।
মজার ব্যাপার, এই শিল্পকর্মটির সত্যিকারের ‘মৌলিক উপাদান’—অর্থাৎ কলাটি—কিনে আনা হয়েছিল মাত্র ৩৫ সেন্টে, এক বাংলাদেশি বিক্রেতার কাছ থেকে। তারপর সেই কলা, কৌশলী উপস্থাপন এবং ক্যাটালানের খ্যাতি মিলে সেটিকে পরিণত করেছে কোটি কোটি টাকার সম্পদে। এই ঘটনাই শিল্পের বহুমুখী চরিত্রকে প্রকাশ করে। একদিকে এটি আমাদের জীবনের সৌন্দর্য তুলে ধরে, অন্যদিকে অর্থনীতির অসমতা এবং বাজারব্যবস্থার ফাঁকিও নগ্ন করে।
ক্যাটালানের এই শিল্পকর্মের প্রতি মানুষের আগ্রহ আর প্রতিক্রিয়া আমাদের আরেকটি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়—আমরা কি আসলে শিল্পকে তার প্রকৃত অর্থে উপলব্ধি করি, নাকি শুধুই বিনোদন আর বিনিয়োগের পণ্য হিসেবে দেখি? ‘কমেডিয়ান’-এর ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা হলো, একটি কলার ইতিহাস, বাজারমূল্য এবং সৃজনশীল উপস্থাপনায় একটি হাস্যরসাত্মক, অথচ গভীর অর্থবহ বার্তা যোগ করা হয়েছে।
শিল্পকর্মের এই উদাহরণটি কেবল অর্থবিত্ত আর বাজারের কথা বলে না; এটি একধরনের সৃজনশীল বিদ্রূপও। যেমন, ২০১৯ সালে এই শিল্পকর্ম যখন প্রথম প্রদর্শিত হয়, তখন পারফরম্যান্স শিল্পী ডেভিড দাতুনা সেটি খেয়ে ফেলেন, আর এটিকেও নিজের শিল্পকর্ম হিসেবে দাবি করেন। শিল্পের দুনিয়ার এই রসবোধ সত্যিই চমৎকার।
শেষ কথা হলো, শিল্পের প্রকৃতি বহুমুখী। এটি কখনো ভাবায়, কখনো হাসায়, কখনো সমালোচনা করে। ক্যাটালানের কলা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে শিল্প কোনো বস্তু নয়, এটি একটি ভাবনা। শিল্প তাই শুধু দেয়ালে ঝোলানো থাকে না; এটি আমাদের মনেও ঝুলে থাকে। তবে ভবিষ্যতে যদি আপনিও একটি কলা কিনে সেটিকে শিল্পে রূপান্তর করতে চান, তবে স্কচ টেপের দাম দেখে নেবেন। কারণ, শিল্পের নামে যা-ই হোক, বাজার কোনো কৌতুককে ক্ষমা করে না।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫