সম্পাদকীয়
ছোট একটি প্রচারপত্র। তাতে খানিকটা বড় করে লেখা—লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করব, বিনা সুদে পুঁজি নেব। অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন এই দাবিতে জনসমাবেশের আহ্বান জানায়। সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও রোববার দিবাগত রাত থেকেই বিভিন্ন যানবাহনে করে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ আসা শুরু করেন। আর তাঁদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ছাত্র-জনতা।
কেন তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়, সেই উত্তর পাওয়া যায় আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে। সমাবেশে যোগ দিতে যাঁরা এসেছেন তাঁরাই বলেছেন, বিনা সুদে ১ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের শাহবাগে সমবেত হতে আহ্বান করা হয়। সংগঠনটি দাবি করেছিল, যাঁরা সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদেরই ঋণ দেওয়া হবে। বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত এনে দেওয়া হবে এই ঋণ। সেই মর্মে ১ হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশনও করেন প্রলোভনের ফাঁদে পা দেওয়া মানুষজন।
তাঁরা বিশেষত গ্রামের বাসিন্দা। তাই হয়তো সহজেই না বুঝে সমাবেশে যোগ দিতে হাজারখানেক টাকা খরচ করেছেন, ভেবেছেন বিনা সুদে ঋণ নিয়ে নিজেদের জীবন বদলে ফেলবেন।
রোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। ভোর পর্যন্ত শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছান। তাঁদের অধিকাংশই জানতেন না আসলে ঘটনা কী! তাঁরা শুধু ঋণ পাওয়ার আশায় এসেছিলেন। এত ভিড়ের কারণে সকাল ৭টা থেকে শাহবাগ এলাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়। শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষও এই সময়টায় পথে থাকেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। পরে শাহবাগ থানার পুলিশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
যদিও এই অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনটি সমাবেশ করার জন্য আগে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু তাদের কার্যক্রম সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তা নাকচ করে দেয়। তারপরও তারা সমাবেশ করার চেষ্টা করেছে। এ তো নিশ্চিতভাবে আইনের লঙ্ঘন। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করা এবং তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা শুধু কি অন্যায়? অপরাধ তো বটেই।
স্বাধীন দেশে সংগঠন করা কোনো অন্যায় বা অপরাধ নয়। কিন্তু কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড যদি উল্টাপাল্টা হয়, তাহলে সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা জরুরি। তাদের দাবি থাকতেই পারে, সেটা তারা যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করলে নিশ্চয়ই হর্তাকর্তারা কানে তুলবেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটাও অযৌক্তিক কিছু নয়।
দেশের পাচার করা টাকা ফেরত আনতে যদি কারও সত্যিকার অর্থে মাথাব্যথা থেকে থাকে, তাহলে তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সুপরিকল্পিত রোডম্যাপ দিক। পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা সহজ নয়।
ছোট একটি প্রচারপত্র। তাতে খানিকটা বড় করে লেখা—লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করব, বিনা সুদে পুঁজি নেব। অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন এই দাবিতে জনসমাবেশের আহ্বান জানায়। সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও রোববার দিবাগত রাত থেকেই বিভিন্ন যানবাহনে করে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ আসা শুরু করেন। আর তাঁদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ছাত্র-জনতা।
কেন তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়, সেই উত্তর পাওয়া যায় আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে। সমাবেশে যোগ দিতে যাঁরা এসেছেন তাঁরাই বলেছেন, বিনা সুদে ১ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের শাহবাগে সমবেত হতে আহ্বান করা হয়। সংগঠনটি দাবি করেছিল, যাঁরা সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদেরই ঋণ দেওয়া হবে। বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত এনে দেওয়া হবে এই ঋণ। সেই মর্মে ১ হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশনও করেন প্রলোভনের ফাঁদে পা দেওয়া মানুষজন।
তাঁরা বিশেষত গ্রামের বাসিন্দা। তাই হয়তো সহজেই না বুঝে সমাবেশে যোগ দিতে হাজারখানেক টাকা খরচ করেছেন, ভেবেছেন বিনা সুদে ঋণ নিয়ে নিজেদের জীবন বদলে ফেলবেন।
রোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। ভোর পর্যন্ত শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছান। তাঁদের অধিকাংশই জানতেন না আসলে ঘটনা কী! তাঁরা শুধু ঋণ পাওয়ার আশায় এসেছিলেন। এত ভিড়ের কারণে সকাল ৭টা থেকে শাহবাগ এলাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়। শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষও এই সময়টায় পথে থাকেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। পরে শাহবাগ থানার পুলিশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
যদিও এই অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনটি সমাবেশ করার জন্য আগে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু তাদের কার্যক্রম সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তা নাকচ করে দেয়। তারপরও তারা সমাবেশ করার চেষ্টা করেছে। এ তো নিশ্চিতভাবে আইনের লঙ্ঘন। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করা এবং তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা শুধু কি অন্যায়? অপরাধ তো বটেই।
স্বাধীন দেশে সংগঠন করা কোনো অন্যায় বা অপরাধ নয়। কিন্তু কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড যদি উল্টাপাল্টা হয়, তাহলে সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা জরুরি। তাদের দাবি থাকতেই পারে, সেটা তারা যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করলে নিশ্চয়ই হর্তাকর্তারা কানে তুলবেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটাও অযৌক্তিক কিছু নয়।
দেশের পাচার করা টাকা ফেরত আনতে যদি কারও সত্যিকার অর্থে মাথাব্যথা থেকে থাকে, তাহলে তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সুপরিকল্পিত রোডম্যাপ দিক। পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা সহজ নয়।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫