সম্পাদকীয়
৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘যুদ্ধ করতে রাশিয়ায় পাচার চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে পর্যটন ব্যবসার আড়ালে মানব পাচারের মতো গুরুতর অপরাধ সংঘটনের নতুন তথ্য সামনে আসছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মানব পাচারের অভিযোগে ফাবিহা জেরিন তামান্না নামের এক নারীকে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি একটি ট্রাভেল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম মালিক।
ঘটনাটি আমাদের সামনে মানব পাচারের ভয়াবহতা এবং এর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের সংঘবদ্ধ চক্রের তথ্য তুলে ধরছে। এই চক্র নিরীহ বাংলাদেশিদের প্রলোভন দেখিয়ে রাশিয়ায় পাচার করেছে এবং সেখানে তাঁদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এই চক্রের শিকার ১০ জন বাংলাদেশি নিজেদের জীবন নিয়ে লড়াই করেছেন। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের ওপর চালানো হয়েছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ইতিমধ্যে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন এবং একজন গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন। এ ধরনের অমানবিক কার্যক্রম শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, বরং রাষ্ট্রের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্যও এক গুরুতর উদ্বেগের কারণ।
মানব পাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর ও সক্রিয় হতে হবে। যাঁরা প্রলোভনে পড়ে বিদেশে কাজের আশায় যান, তাঁদের যথাযথ তথ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করতে হবে। একই সঙ্গে মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ঘটনার আলোকে বাংলাদেশ সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সমন্বয় করে মানব পাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে মানব পাচারের এই চক্রগুলো চিহ্নিত ও ধ্বংস করতে হবে। বিশেষ করে, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সম্ভাব্য ভুক্তভোগীদের উদ্ধার এবং তাঁদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা জরুরি।
তা ছাড়া, দেশে বৈধ অভিবাসনব্যবস্থা সহজ ও স্বচ্ছ করার উদ্যোগ নিতে হবে। অধিকাংশ মানুষ সঠিক তথ্যের অভাবে দালালদের প্রতারণার শিকার হন। তাই বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও পরামর্শমূলক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে, যাতে তাঁরা বৈধ উপায়ে নিরাপদ অভিবাসনের সুযোগ পান।
এ ছাড়া, মানব পাচার প্রতিরোধে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো দরকার। রাশিয়া, সৌদি আরব এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে এই চক্রের মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে। পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেওয়া এবং তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা আশা করি, এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। মানব পাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধ দমন করা শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি সামগ্রিক সামাজিক দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিক, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘যুদ্ধ করতে রাশিয়ায় পাচার চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে পর্যটন ব্যবসার আড়ালে মানব পাচারের মতো গুরুতর অপরাধ সংঘটনের নতুন তথ্য সামনে আসছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মানব পাচারের অভিযোগে ফাবিহা জেরিন তামান্না নামের এক নারীকে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি একটি ট্রাভেল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম মালিক।
ঘটনাটি আমাদের সামনে মানব পাচারের ভয়াবহতা এবং এর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের সংঘবদ্ধ চক্রের তথ্য তুলে ধরছে। এই চক্র নিরীহ বাংলাদেশিদের প্রলোভন দেখিয়ে রাশিয়ায় পাচার করেছে এবং সেখানে তাঁদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এই চক্রের শিকার ১০ জন বাংলাদেশি নিজেদের জীবন নিয়ে লড়াই করেছেন। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের ওপর চালানো হয়েছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ইতিমধ্যে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন এবং একজন গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন। এ ধরনের অমানবিক কার্যক্রম শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, বরং রাষ্ট্রের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্যও এক গুরুতর উদ্বেগের কারণ।
মানব পাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর ও সক্রিয় হতে হবে। যাঁরা প্রলোভনে পড়ে বিদেশে কাজের আশায় যান, তাঁদের যথাযথ তথ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করতে হবে। একই সঙ্গে মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ঘটনার আলোকে বাংলাদেশ সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সমন্বয় করে মানব পাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে মানব পাচারের এই চক্রগুলো চিহ্নিত ও ধ্বংস করতে হবে। বিশেষ করে, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সম্ভাব্য ভুক্তভোগীদের উদ্ধার এবং তাঁদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা জরুরি।
তা ছাড়া, দেশে বৈধ অভিবাসনব্যবস্থা সহজ ও স্বচ্ছ করার উদ্যোগ নিতে হবে। অধিকাংশ মানুষ সঠিক তথ্যের অভাবে দালালদের প্রতারণার শিকার হন। তাই বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও পরামর্শমূলক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে, যাতে তাঁরা বৈধ উপায়ে নিরাপদ অভিবাসনের সুযোগ পান।
এ ছাড়া, মানব পাচার প্রতিরোধে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো দরকার। রাশিয়া, সৌদি আরব এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে এই চক্রের মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে। পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেওয়া এবং তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা আশা করি, এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। মানব পাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধ দমন করা শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি সামগ্রিক সামাজিক দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিক, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫