সম্পাদকীয়
কড়া লকডাউন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাসি পাচ্ছে কেন, সেটা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। এখন রাজধানীতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ছাড়া আর সবই স্বাধীনভাবে চলছে বলে মনে হয়। ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’ প্রবাদটির সৃষ্টি হয়েছিল হয়তো এ ধরনের অবস্থার বর্ণনা করতেই।
মনে পড়ে গেল একজন প্রতিষ্ঠিত নাট্যশিল্পীর একটি উক্তির কথা। গেটলক বাস সার্ভিস নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। নামে গেটলক হলেও ‘খাসলত’ পরিবর্তন করতে না পারায় যেকোনো জায়গায় থেমে যাত্রী ওঠানো হতো। গেটলক লেখা থাকলে বাড়তি ভাড়া আদায় করা যায়। মানুষ যখন এই দুর্বৃত্তপনা বুঝে ফেলল, তখন নাকি একটি বাসের গায়ে সৃষ্টিকর্তার কসম খেয়ে তারপর লেখা হয়েছিল গেটলক। আমরা নিজেদের তৈরি নিয়মকেই অনিয়মে পরিণত করতে কতটা পারদর্শী, এই কসম খাওয়া গেটলকের উদাহরণেই তা বোঝা যায়। নিজের ওপর বিশ্বাস কম না হলে কড়া লকডাউন এ রকম পরিণতি পেতে পারে না।
করোনা আবার নতুন করে কতটা ভয়াবহ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে, সে বিষয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায়ই ঘরে থাকছে না মানুষ, বাইরে বেরিয়ে আসছে। যতক্ষণ এ ভয়ংকর জীবাণুটি শরীরে না ঢুকছে, ততক্ষণ যেন তাকে বড় করে দেখার দরকার নেই।
ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন, কোভিড শরীরের প্রত্যঙ্গগুলোকে অকেজো করে দিতে থাকলে শুধু রোগী নন, রোগীর স্বজনেরাও কী দুর্বিষহ জীবন যাপনে বাধ্য হন। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, আইসিউইর অপ্রতুলতা ইত্যাদি এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডির জন্ম দেয়।
ঘটনাটির তিনটি দিক নিয়ে বলি। একটি হলো, কড়া লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে তা কড়াভাবে পালন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সেটা করে না সংশ্লিষ্ট মহল। লকডাউনের শুরুতে একধরনের আবহ তৈরি করতে পারে বটে, কিন্তু কয়েকটা দিন কেটে গেলেই দায়সারাভাবে পালন হয় লকডাউন। কে, কেন কী প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়ে আসছে, সেটা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা থাকে না। আরেকটি দিক হলো, খিদে। লকডাউনে যাওয়ার আগে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে অন্ন সংস্থানের সুযোগ আছে কি না, তা নিয়ে পরিকল্পনার দেখা পাওয়া যায় না। পেটে খাবার না থাকলে যেকোনো মূল্যে রাস্তায় বেরিয়ে আসবে মানুষ।
সেই অন্নহীন মানুষটির খাদ্যনিরাপত্তা না দিয়ে তাকে ঘরে আটকে রাখা যে খুব কঠিন, সেটা নিশ্চয়ই বুঝিয়ে বলতে হবে না। আর তৃতীয়টি হলো, আমাদের খাসলত।
ওপরের দুটি কারণের বাইরে এই ‘খাসলত’কেও দেখতে হবে বড় কারণ হিসেবে। নিয়ম ভাঙার মধ্যে যে আনন্দ আছে, তা ভোগ করার প্রবণতাও লকডাউনকে অর্থহীন করে তুলছে। হঠাৎ করে লকডাউনের মধ্যেই তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ তো আনাই হলো না।
যে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে গোটা পৃথিবী, তার ক্ষুদ্র একটি অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কীভাবে সংকট কাটিয়ে উঠবে, তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, হবে। কিন্তু সর্বত্রই গড়ে ওঠা ‘খাসলত’ না পাল্টালে ইতিবাচক পথে চলা কঠিন হয়ে পড়বে। সচেতনতাও থাকতে হবে সর্বমহলের।
কড়া লকডাউন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাসি পাচ্ছে কেন, সেটা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। এখন রাজধানীতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ছাড়া আর সবই স্বাধীনভাবে চলছে বলে মনে হয়। ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’ প্রবাদটির সৃষ্টি হয়েছিল হয়তো এ ধরনের অবস্থার বর্ণনা করতেই।
মনে পড়ে গেল একজন প্রতিষ্ঠিত নাট্যশিল্পীর একটি উক্তির কথা। গেটলক বাস সার্ভিস নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। নামে গেটলক হলেও ‘খাসলত’ পরিবর্তন করতে না পারায় যেকোনো জায়গায় থেমে যাত্রী ওঠানো হতো। গেটলক লেখা থাকলে বাড়তি ভাড়া আদায় করা যায়। মানুষ যখন এই দুর্বৃত্তপনা বুঝে ফেলল, তখন নাকি একটি বাসের গায়ে সৃষ্টিকর্তার কসম খেয়ে তারপর লেখা হয়েছিল গেটলক। আমরা নিজেদের তৈরি নিয়মকেই অনিয়মে পরিণত করতে কতটা পারদর্শী, এই কসম খাওয়া গেটলকের উদাহরণেই তা বোঝা যায়। নিজের ওপর বিশ্বাস কম না হলে কড়া লকডাউন এ রকম পরিণতি পেতে পারে না।
করোনা আবার নতুন করে কতটা ভয়াবহ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে, সে বিষয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায়ই ঘরে থাকছে না মানুষ, বাইরে বেরিয়ে আসছে। যতক্ষণ এ ভয়ংকর জীবাণুটি শরীরে না ঢুকছে, ততক্ষণ যেন তাকে বড় করে দেখার দরকার নেই।
ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন, কোভিড শরীরের প্রত্যঙ্গগুলোকে অকেজো করে দিতে থাকলে শুধু রোগী নন, রোগীর স্বজনেরাও কী দুর্বিষহ জীবন যাপনে বাধ্য হন। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, আইসিউইর অপ্রতুলতা ইত্যাদি এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডির জন্ম দেয়।
ঘটনাটির তিনটি দিক নিয়ে বলি। একটি হলো, কড়া লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে তা কড়াভাবে পালন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সেটা করে না সংশ্লিষ্ট মহল। লকডাউনের শুরুতে একধরনের আবহ তৈরি করতে পারে বটে, কিন্তু কয়েকটা দিন কেটে গেলেই দায়সারাভাবে পালন হয় লকডাউন। কে, কেন কী প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়ে আসছে, সেটা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা থাকে না। আরেকটি দিক হলো, খিদে। লকডাউনে যাওয়ার আগে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে অন্ন সংস্থানের সুযোগ আছে কি না, তা নিয়ে পরিকল্পনার দেখা পাওয়া যায় না। পেটে খাবার না থাকলে যেকোনো মূল্যে রাস্তায় বেরিয়ে আসবে মানুষ।
সেই অন্নহীন মানুষটির খাদ্যনিরাপত্তা না দিয়ে তাকে ঘরে আটকে রাখা যে খুব কঠিন, সেটা নিশ্চয়ই বুঝিয়ে বলতে হবে না। আর তৃতীয়টি হলো, আমাদের খাসলত।
ওপরের দুটি কারণের বাইরে এই ‘খাসলত’কেও দেখতে হবে বড় কারণ হিসেবে। নিয়ম ভাঙার মধ্যে যে আনন্দ আছে, তা ভোগ করার প্রবণতাও লকডাউনকে অর্থহীন করে তুলছে। হঠাৎ করে লকডাউনের মধ্যেই তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ তো আনাই হলো না।
যে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে গোটা পৃথিবী, তার ক্ষুদ্র একটি অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কীভাবে সংকট কাটিয়ে উঠবে, তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, হবে। কিন্তু সর্বত্রই গড়ে ওঠা ‘খাসলত’ না পাল্টালে ইতিবাচক পথে চলা কঠিন হয়ে পড়বে। সচেতনতাও থাকতে হবে সর্বমহলের।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫