সম্পাদকীয়
নির্ধারিত সময়ের আগেই বইমেলা শেষ হলো। গতকাল সোমবার ছিল বইমেলার শেষ দিন। ১৪ মার্চ থেকে লকডাউনের কারণেই তড়িঘড়ি শেষ করে দিতে হলো মেলা। কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতাও থাকল না সমাপনীতে।
করোনাভাইরাসের মধ্যে বইমেলা হবে কি হবে না, তা নিয়ে দোদুল্যমানতা ছিল শুরু থেকেই। প্রতিবারের মতো ফেব্রুয়ারি মাসে মেলা করা যায়নি। অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিলেন, এ রকম সময় বইমেলা না করাই ভালো। কিন্তু বড় প্রকাশকদের চাপে পড়ে বইমেলার তারিখ পিছিয়ে দিয়ে আয়োজনটা করা হলো। এটা যে কারও জন্যই ভালো হয়নি, সেটা বোঝা গেছে বইমেলার বেচাবিক্রি দেখে। আয়োজন করতে হলে নানা ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়, তাতে টাকা-পয়সা খরচ হয়। সেটা করেছে প্রকাশনীগুলো। বড় প্রকাশনীরা কোনো না কোনোভাবে খরচকৃত অর্থ উঠিয়ে নিতে পারবে হয়তো কিংবা নিদেনপক্ষে পরিস্থিতি সামলে নেবে। কিন্তু বিপদে পড়বে ক্ষুদ্র প্রকাশকেরা।
সে রকমই একটা আলামত পাওয়া গেল ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক বরাবর ছোট প্রকাশকদের আবেদন দেখে।
একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবলে ছোট প্রকাশকদের এই আবেদনকে যথার্থই বলতে হবে। মেলার সময় বাড়িয়ে-কমিয়ে যে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল, তাতে ক্রেতারাও পড়েছিলেন বিপদে। একদিকে লকডাউনের আতঙ্ক, অন্যদিকে বইমেলায় জনদূরত্ব বজায় রাখা যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে শঙ্কা–ক্রেতারা পড়েছিলেন বিপদে। বয়স্ক ক্রেতারা তো শরীরের কথা ভেবে মেলায় যাওয়ার চেষ্টাও করেননি। ফলে মেলায় প্রকাশকেরা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারেননি–এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
ক্ষুদ্র প্রকাশকেরা অনেক আশা নিয়েই অংশ নিয়েছিলেন মেলায়। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, এই মেলা তাদের লগ্নিকেই ধসিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় তাদের আবেদন যথেষ্ট মানবিক দৃষ্টিতেই দেখতে হবে। সেইসঙ্গে একাডেমি, প্রকাশক এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও অনুরোধ করছি, এ ধরনের পরিস্থিতিতে যেন ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার বইমেলা নিয়ে যা ঘটল, তা কারও জন্যই সুখকর হয়নি, সে কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
আগামী বছর নতুন আশায় বুক বেঁধে যেন বইমেলা করা যায়, সে প্রত্যাশা থাকবে আমাদেরও।
নির্ধারিত সময়ের আগেই বইমেলা শেষ হলো। গতকাল সোমবার ছিল বইমেলার শেষ দিন। ১৪ মার্চ থেকে লকডাউনের কারণেই তড়িঘড়ি শেষ করে দিতে হলো মেলা। কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতাও থাকল না সমাপনীতে।
করোনাভাইরাসের মধ্যে বইমেলা হবে কি হবে না, তা নিয়ে দোদুল্যমানতা ছিল শুরু থেকেই। প্রতিবারের মতো ফেব্রুয়ারি মাসে মেলা করা যায়নি। অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিলেন, এ রকম সময় বইমেলা না করাই ভালো। কিন্তু বড় প্রকাশকদের চাপে পড়ে বইমেলার তারিখ পিছিয়ে দিয়ে আয়োজনটা করা হলো। এটা যে কারও জন্যই ভালো হয়নি, সেটা বোঝা গেছে বইমেলার বেচাবিক্রি দেখে। আয়োজন করতে হলে নানা ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়, তাতে টাকা-পয়সা খরচ হয়। সেটা করেছে প্রকাশনীগুলো। বড় প্রকাশনীরা কোনো না কোনোভাবে খরচকৃত অর্থ উঠিয়ে নিতে পারবে হয়তো কিংবা নিদেনপক্ষে পরিস্থিতি সামলে নেবে। কিন্তু বিপদে পড়বে ক্ষুদ্র প্রকাশকেরা।
সে রকমই একটা আলামত পাওয়া গেল ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক বরাবর ছোট প্রকাশকদের আবেদন দেখে।
একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবলে ছোট প্রকাশকদের এই আবেদনকে যথার্থই বলতে হবে। মেলার সময় বাড়িয়ে-কমিয়ে যে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল, তাতে ক্রেতারাও পড়েছিলেন বিপদে। একদিকে লকডাউনের আতঙ্ক, অন্যদিকে বইমেলায় জনদূরত্ব বজায় রাখা যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে শঙ্কা–ক্রেতারা পড়েছিলেন বিপদে। বয়স্ক ক্রেতারা তো শরীরের কথা ভেবে মেলায় যাওয়ার চেষ্টাও করেননি। ফলে মেলায় প্রকাশকেরা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারেননি–এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
ক্ষুদ্র প্রকাশকেরা অনেক আশা নিয়েই অংশ নিয়েছিলেন মেলায়। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, এই মেলা তাদের লগ্নিকেই ধসিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় তাদের আবেদন যথেষ্ট মানবিক দৃষ্টিতেই দেখতে হবে। সেইসঙ্গে একাডেমি, প্রকাশক এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও অনুরোধ করছি, এ ধরনের পরিস্থিতিতে যেন ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার বইমেলা নিয়ে যা ঘটল, তা কারও জন্যই সুখকর হয়নি, সে কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
আগামী বছর নতুন আশায় বুক বেঁধে যেন বইমেলা করা যায়, সে প্রত্যাশা থাকবে আমাদেরও।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫