সম্পাদকীয়
আরমানিটোলার একটা সেকেলে বাড়িতে থাকতেন লাকী আখান্দ্। ‘এই নীল মনিহার’, ‘আবার এল যে সন্ধ্যা’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’—এ ধরনের গানে সুর করে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন।
একসময় ঘাতক ব্যাধি ক্যানসার বাসা বাঁধল তাঁর শরীরে। বুঝতে পারছিলেন দিন শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু চাইছিলেন, শেষ দিনগুলো গানে গানে ভরিয়ে দিতে। যাঁরা কাছ থেকে লাকী আখান্দ্কে দেখেননি, তাঁরা তাঁর গভীরতার বিষয়টি বুঝবেন না। একটি সুর নিয়ে পড়ে থাকতেন দিনের পর দিন। যতক্ষণ বাণী আর সুরের বন্ধন তৈরি না হতো, ততক্ষণ সেই গানটি শিল্পীকে দিতেন না।
পপুলার মিউজিকের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িত বলে অনেকেই তাঁর পড়াশোনার গভীরতার ব্যাপারটা জানেন না। একবার এক সুহৃদকে সামনে পেয়ে গাইলেন, ‘ও কি ও বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে, কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও…’। এই ‘কয়া যাও’ বলার সময় তাঁর কণ্ঠস্বর এমন হয়ে উঠল যে পুরো ঘরটাই ভরে গেল হাহাকারে। তিনি বললেন, ‘আমাদের সংগীতের অনেক শাখা। তার মধ্যে মাটির গান, যেমন লালন, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, কীর্তন—সবগুলোই গুণে-মানে ধনী।’
তাহলে শহরের আধুনিক গান?
‘হ্যাঁ, শহরের আধুনিক গানও অসাধারণ। কিন্তু শহুরে গান করার সময় খেয়াল রাখা দরকার, তা যেন অস্থির না হয়ে যায়!’
এরপর ‘অস্থির’ শব্দটির ব্যাখ্যা করলেন তিনি। বললেন, ‘যেমন ধরো, এই যে গানটির কয়েক ছত্র গাইলাম, তা খুব কোমল, কষ্টের; বাণীপ্রধান গান। কী অসাধারণ তার সুর। এ ধরনের গানের সঙ্গে যদি অকারণে সাত-আটটি বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়, তাহলে গানটির প্রাণই উড়ে যাবে। কি-বোর্ড, গিটার, বাঁশি আর তাল রাখার জন্য মন্দিরা—ব্যস, তাতেই এই গানের হাহাকারটা প্রাণে পৌঁছাবে।’
এরপর বললেন মোদ্দাকথা, ‘সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকেই বলছি অস্থিরতা!’
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, শুধু মনে রেখো, পৃষ্ঠা ৫৪-৫৫
আরমানিটোলার একটা সেকেলে বাড়িতে থাকতেন লাকী আখান্দ্। ‘এই নীল মনিহার’, ‘আবার এল যে সন্ধ্যা’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’—এ ধরনের গানে সুর করে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন।
একসময় ঘাতক ব্যাধি ক্যানসার বাসা বাঁধল তাঁর শরীরে। বুঝতে পারছিলেন দিন শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু চাইছিলেন, শেষ দিনগুলো গানে গানে ভরিয়ে দিতে। যাঁরা কাছ থেকে লাকী আখান্দ্কে দেখেননি, তাঁরা তাঁর গভীরতার বিষয়টি বুঝবেন না। একটি সুর নিয়ে পড়ে থাকতেন দিনের পর দিন। যতক্ষণ বাণী আর সুরের বন্ধন তৈরি না হতো, ততক্ষণ সেই গানটি শিল্পীকে দিতেন না।
পপুলার মিউজিকের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িত বলে অনেকেই তাঁর পড়াশোনার গভীরতার ব্যাপারটা জানেন না। একবার এক সুহৃদকে সামনে পেয়ে গাইলেন, ‘ও কি ও বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে, কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও…’। এই ‘কয়া যাও’ বলার সময় তাঁর কণ্ঠস্বর এমন হয়ে উঠল যে পুরো ঘরটাই ভরে গেল হাহাকারে। তিনি বললেন, ‘আমাদের সংগীতের অনেক শাখা। তার মধ্যে মাটির গান, যেমন লালন, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, কীর্তন—সবগুলোই গুণে-মানে ধনী।’
তাহলে শহরের আধুনিক গান?
‘হ্যাঁ, শহরের আধুনিক গানও অসাধারণ। কিন্তু শহুরে গান করার সময় খেয়াল রাখা দরকার, তা যেন অস্থির না হয়ে যায়!’
এরপর ‘অস্থির’ শব্দটির ব্যাখ্যা করলেন তিনি। বললেন, ‘যেমন ধরো, এই যে গানটির কয়েক ছত্র গাইলাম, তা খুব কোমল, কষ্টের; বাণীপ্রধান গান। কী অসাধারণ তার সুর। এ ধরনের গানের সঙ্গে যদি অকারণে সাত-আটটি বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়, তাহলে গানটির প্রাণই উড়ে যাবে। কি-বোর্ড, গিটার, বাঁশি আর তাল রাখার জন্য মন্দিরা—ব্যস, তাতেই এই গানের হাহাকারটা প্রাণে পৌঁছাবে।’
এরপর বললেন মোদ্দাকথা, ‘সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকেই বলছি অস্থিরতা!’
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, শুধু মনে রেখো, পৃষ্ঠা ৫৪-৫৫
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫