সম্পাদকীয়
করোনা টিকার জন্য আর আমাদের বাইরের কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে করোনার টিকা। চীনের সিনোফার্ম ও বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে এ ব্যাপারে চুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে করোনার টিকা উৎপাদনের বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। এতে একদিকে বাংলাদেশের মানুষের টিকাপ্রাপ্তি সহজ হবে, একই সঙ্গে বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হবে।
চীনের সিনোফার্ম টিকা তৈরির বাল্ক বা বিপুল পরিমাণ রসদ বা উপাদান সরবরাহ করবে আর ইনসেপ্টা তা শিশিজাত করবে। প্রতি মাসে প্রায় ৪ কোটি টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ইনসেপ্টার। যৌথভাবে উৎপাদিত এই টিকা ইনসেপ্টার কাছ থেকে সরকার কিনে নেবে। টিকার দাম এখনো নির্ধারিত হয়নি। উৎপাদন শুরু হলে দাম ঠিক করা হবে। বাইরে থেকে যে দামে টিকা কেনা হচ্ছে, যৌথভাবে দেশে করোনার টিকা শিশিজাত করলে অবশ্যই ব্যয় কম হবে। ফলে সরকারের আর্থিক সাশ্রয় হবে। চীনের সঙ্গে এই উৎপাদন সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে সরকার ভালো কাজ করেছে। এর জন্য সরকারের অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য।
করোনার টিকা আবিষ্কার এবং উৎপাদন শুরুর পর দ্রুততার সঙ্গেই সরকার ভারত থেকে টিকা কেনার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারত টিকা রপ্তানি স্থগিত করায় বাংলাদেশ কিছুটা বিপাকে পড়ে। এরপর ভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করে। চীনের সঙ্গে সরকার ৬ কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছে। চীন ও ভারত সরকার কয়েক লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহারও দিয়েছে। বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের অনুদানের কিছু টিকাও বাংলাদেশ পেয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার ও মডার্না মিলিয়ে ৩ কোটি ১০ লাখ টিকা পেয়েছে। ২০-২২ আগস্টের মধ্যে সিনোফার্মের আরও ৫০ লাখ টিকা পাওয়ার কথা।
সরকার দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ বা ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রত্যেককে দুই ডোজ হিসাবে ধরলে ২৬ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন।
আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে টিকা উৎপাদন শুরু হলে এবং প্রতি মাসে ৪ কোটি টিকা উৎপাদিত হলে টিকা নিয়ে বর্তমান যে হাহাকার, তা দূর হবে।
করোনার সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও কমছে না। একাধিকবার লকডাউন দিয়েও তেমন সুফল পাওয়া যায়নি। জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘরে বন্দী থাকতে চায় না। দুই ঈদে গাদাগাদি করে গ্রামে যাওয়ায় করোনা সারা দেশেই ছড়িয়েছে।
প্রথম দিকে টিকা নিতে কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও এখন টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, কিন্তু টিকা সংগ্রহ পর্যাপ্ত নয়। এখন দেশে টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা হওয়ায় এর সংকট কাটবে। টিকার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে যে আশঙ্কা-অনুমান চলছিল, তার অবসান হবে। মানুষের ভেতরে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল, তা দূর হবে। টিকা নিয়ে আর অহেতুক কোনো জটিলতা বা অচলাবস্থা দেখা দেবে না–এটাই সবার প্রত্যাশা।
করোনা টিকার জন্য আর আমাদের বাইরের কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে করোনার টিকা। চীনের সিনোফার্ম ও বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে এ ব্যাপারে চুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে করোনার টিকা উৎপাদনের বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। এতে একদিকে বাংলাদেশের মানুষের টিকাপ্রাপ্তি সহজ হবে, একই সঙ্গে বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হবে।
চীনের সিনোফার্ম টিকা তৈরির বাল্ক বা বিপুল পরিমাণ রসদ বা উপাদান সরবরাহ করবে আর ইনসেপ্টা তা শিশিজাত করবে। প্রতি মাসে প্রায় ৪ কোটি টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ইনসেপ্টার। যৌথভাবে উৎপাদিত এই টিকা ইনসেপ্টার কাছ থেকে সরকার কিনে নেবে। টিকার দাম এখনো নির্ধারিত হয়নি। উৎপাদন শুরু হলে দাম ঠিক করা হবে। বাইরে থেকে যে দামে টিকা কেনা হচ্ছে, যৌথভাবে দেশে করোনার টিকা শিশিজাত করলে অবশ্যই ব্যয় কম হবে। ফলে সরকারের আর্থিক সাশ্রয় হবে। চীনের সঙ্গে এই উৎপাদন সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে সরকার ভালো কাজ করেছে। এর জন্য সরকারের অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য।
করোনার টিকা আবিষ্কার এবং উৎপাদন শুরুর পর দ্রুততার সঙ্গেই সরকার ভারত থেকে টিকা কেনার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারত টিকা রপ্তানি স্থগিত করায় বাংলাদেশ কিছুটা বিপাকে পড়ে। এরপর ভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করে। চীনের সঙ্গে সরকার ৬ কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছে। চীন ও ভারত সরকার কয়েক লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহারও দিয়েছে। বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের অনুদানের কিছু টিকাও বাংলাদেশ পেয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার ও মডার্না মিলিয়ে ৩ কোটি ১০ লাখ টিকা পেয়েছে। ২০-২২ আগস্টের মধ্যে সিনোফার্মের আরও ৫০ লাখ টিকা পাওয়ার কথা।
সরকার দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ বা ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রত্যেককে দুই ডোজ হিসাবে ধরলে ২৬ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন।
আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে টিকা উৎপাদন শুরু হলে এবং প্রতি মাসে ৪ কোটি টিকা উৎপাদিত হলে টিকা নিয়ে বর্তমান যে হাহাকার, তা দূর হবে।
করোনার সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও কমছে না। একাধিকবার লকডাউন দিয়েও তেমন সুফল পাওয়া যায়নি। জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘরে বন্দী থাকতে চায় না। দুই ঈদে গাদাগাদি করে গ্রামে যাওয়ায় করোনা সারা দেশেই ছড়িয়েছে।
প্রথম দিকে টিকা নিতে কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও এখন টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, কিন্তু টিকা সংগ্রহ পর্যাপ্ত নয়। এখন দেশে টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা হওয়ায় এর সংকট কাটবে। টিকার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে যে আশঙ্কা-অনুমান চলছিল, তার অবসান হবে। মানুষের ভেতরে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল, তা দূর হবে। টিকা নিয়ে আর অহেতুক কোনো জটিলতা বা অচলাবস্থা দেখা দেবে না–এটাই সবার প্রত্যাশা।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫