সম্পাদকীয়
করোনার থাবা শুধু আমাদের জীবন-জীবিকা হুমকিতে ফেলেনি; পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকেও তছনছ করে দিয়েছে। দেশে পড়াশোনার সংস্কৃতিও এখন অবরুদ্ধ। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়—সর্বত্র হাহাকার। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে। আন্দোলন, অনশনও কম হয়নি। এর আগে হল খুলে দেওয়ারও দাবি উঠেছিল। টিকা দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বলা যায়, পড়াশোনা এখন হচ্ছেই না। বিশেষ করে শিশুদের পড়াশোনা একেবারে শিকেয় উঠেছে। আর অনলাইনের নামে সত্যিকার অর্থে কোনো পড়াশোনা হচ্ছে না। অনলাইনে জুম অ্যাপে ক্লাস নেওয়া হয় নামমাত্র। এতে গুণগত পাঠদান হয় না। তা ছাড়া, অনলাইন ক্লাসে শিক্ষকেরা যেভাবে পড়ান, তাতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই অনুপস্থিত থাকে। আর গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনপদের শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যাদের ইন্টারনেটের সহজপ্রাপ্তি নেই, তাদের তো এভাবে বলতে গেলে পড়ারও সুযোগ নেই। কোনো নজরদারি নেই, গুণগত শিক্ষা বা পাঠদান হচ্ছে কি না, তা-ও দেখার কেউ নেই।
এমন এক বিরুদ্ধ বৈরী পরিবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা যাচ্ছে, তা আমাদের প্রজন্ম বেড়ে ওঠার পেছনে একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। মাসের পর মাস বন্ধ থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আবার খবর এসেছে, দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। এই ছুটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১৫ মাস দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে আংশিকভাবে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রসাসমূহে চলমান ছুটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তবে ১৩ জুন দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
করোনায় আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সীমিত পরিসরে শিল্পকারখানা চালু হয়েছে। অন্য সবকিছুই চলছে সীমিত পরিসরে। একমাত্র শিক্ষাব্যবস্থাই সীমিত পরিসরেও চলছে না। এখন করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকায় স্কুল খুলে দেওয়ার সুপারিশ করার মতো পরিবেশও নেই। তাহলে কি পড়াশোনা এভাবেই চলবে?
এটা আসলে ভাববার সময় এসেছে। যদি লকডাউন চলতে থাকে। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে, তবে অনলাইন বা জুম ক্লাসের মাধ্যমে নিম্নমানের পড়াশোনা দিয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সত্যিই কঠিন হবে। তাই আমরা মনে করি, এখানে একটি যুক্তিসংগত কোনো উপায় বের করতে হবে। আসলে কোন উপায়ে পড়াশোনাটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, অনলাইনে হলে আর কোন পদ্ধতি চালু করলে কার্যকর পড়াশোনা হবে, শিক্ষার্থীদের বেশি মাত্রায় কীভাবে পড়াশোনার সংস্কৃতিতে যুক্ত রাখা যায়, যাদের ইন্টারনেটের সহজপ্রাপ্তি নেই, তাদের সরকার কীভাবে সহায়তা করতে পারে, ভর্তুকি দেওয়া যায় কি না ইত্যাদি বিষয় আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।
অবশ্যই বিদ্যমান অনলাইন ও জুম ক্লাস কতটা যথাযথভাবে পরিচালিত হয়, তা-ও নজরদারি করতে হবে। পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে আরও বিশদ ভাবা যেতে পারে। সব মিলিয়ে আমরা চাই, যেভাবেই হোক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় রাখুন।
বিকল্প কোনো উপায় থাকলে, তা নিয়েও আলোচনা করুন। তাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ বাঁচান।
করোনার থাবা শুধু আমাদের জীবন-জীবিকা হুমকিতে ফেলেনি; পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকেও তছনছ করে দিয়েছে। দেশে পড়াশোনার সংস্কৃতিও এখন অবরুদ্ধ। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়—সর্বত্র হাহাকার। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে। আন্দোলন, অনশনও কম হয়নি। এর আগে হল খুলে দেওয়ারও দাবি উঠেছিল। টিকা দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বলা যায়, পড়াশোনা এখন হচ্ছেই না। বিশেষ করে শিশুদের পড়াশোনা একেবারে শিকেয় উঠেছে। আর অনলাইনের নামে সত্যিকার অর্থে কোনো পড়াশোনা হচ্ছে না। অনলাইনে জুম অ্যাপে ক্লাস নেওয়া হয় নামমাত্র। এতে গুণগত পাঠদান হয় না। তা ছাড়া, অনলাইন ক্লাসে শিক্ষকেরা যেভাবে পড়ান, তাতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই অনুপস্থিত থাকে। আর গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনপদের শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যাদের ইন্টারনেটের সহজপ্রাপ্তি নেই, তাদের তো এভাবে বলতে গেলে পড়ারও সুযোগ নেই। কোনো নজরদারি নেই, গুণগত শিক্ষা বা পাঠদান হচ্ছে কি না, তা-ও দেখার কেউ নেই।
এমন এক বিরুদ্ধ বৈরী পরিবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা যাচ্ছে, তা আমাদের প্রজন্ম বেড়ে ওঠার পেছনে একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। মাসের পর মাস বন্ধ থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আবার খবর এসেছে, দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। এই ছুটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১৫ মাস দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে আংশিকভাবে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রসাসমূহে চলমান ছুটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তবে ১৩ জুন দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
করোনায় আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সীমিত পরিসরে শিল্পকারখানা চালু হয়েছে। অন্য সবকিছুই চলছে সীমিত পরিসরে। একমাত্র শিক্ষাব্যবস্থাই সীমিত পরিসরেও চলছে না। এখন করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকায় স্কুল খুলে দেওয়ার সুপারিশ করার মতো পরিবেশও নেই। তাহলে কি পড়াশোনা এভাবেই চলবে?
এটা আসলে ভাববার সময় এসেছে। যদি লকডাউন চলতে থাকে। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে, তবে অনলাইন বা জুম ক্লাসের মাধ্যমে নিম্নমানের পড়াশোনা দিয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সত্যিই কঠিন হবে। তাই আমরা মনে করি, এখানে একটি যুক্তিসংগত কোনো উপায় বের করতে হবে। আসলে কোন উপায়ে পড়াশোনাটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, অনলাইনে হলে আর কোন পদ্ধতি চালু করলে কার্যকর পড়াশোনা হবে, শিক্ষার্থীদের বেশি মাত্রায় কীভাবে পড়াশোনার সংস্কৃতিতে যুক্ত রাখা যায়, যাদের ইন্টারনেটের সহজপ্রাপ্তি নেই, তাদের সরকার কীভাবে সহায়তা করতে পারে, ভর্তুকি দেওয়া যায় কি না ইত্যাদি বিষয় আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।
অবশ্যই বিদ্যমান অনলাইন ও জুম ক্লাস কতটা যথাযথভাবে পরিচালিত হয়, তা-ও নজরদারি করতে হবে। পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে আরও বিশদ ভাবা যেতে পারে। সব মিলিয়ে আমরা চাই, যেভাবেই হোক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় রাখুন।
বিকল্প কোনো উপায় থাকলে, তা নিয়েও আলোচনা করুন। তাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ বাঁচান।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫