সম্পাদকীয়
নতুন করে আবারও ভয়, আতঙ্ক চারপাশে! আবারও কি করোনার প্রকোপ বাড়তে যাচ্ছে? চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ নতুন করে আরও ৭ জেলা লকডাউনের আওতায় আসছে। হঠাৎ করে সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি এসব জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে। ওই সব জেলার হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য রাখা খালি শয্যা প্রায় শেষের পথে। পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যে দুটি জেলায় শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
খবরে জানা যায়, আরও পাঁচ জেলায় শয্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা। এর মধ্যে এক দিন রাজশাহী মেডিকেলে মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ৭ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের।
জেলাগুলো সীমান্তবর্তী হওয়ায় আতঙ্ক ও ভয় বেশি। কারণ গেল গত কয়েক মাস ধরে ভারতে করোনা মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। দিনে প্রায় ৪ লাখের মত মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। ভারতীয় ধরনটি এত মারাত্মক যে আক্রান্ত হওয়ার পর তা দ্রুত শরীরকে কাবু করে ফেলে এবং অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। ভারত সাম্প্রতিক সময়ে এ ভেরিয়েন্টের কারণে তাদের স্বাস্থ্যখাতে মহা বিপর্যয়কাল পার করছে। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এটি যদি কোনোভাবে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে তবে এর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে আসলেও তা ধারণার বাইরে।
কারণ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে কী নাজুক, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত কয়েক দিনের সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় সংক্রমণ বাড়ার মধ্য দিয়ে সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে এরই মধ্যে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা বলতে গেলে একেবারেই অপ্রতুল। দেশে যে ভারতীয় ধরনটি আঘাত হানতে শুরু করেছে তা কিছুটা হলেও আঁচ করা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত দেশে ২৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে।
আমরা দেখি যে, কিছু ঘটতে থাকলে আমরা প্রথমে চুপচাপ থাকি। তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। যখন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যেভাবে করোনা হানা দেওয়া শুরু করেছে, তাতে মনে হচ্ছে বিন্দুমাত্র দেরি না করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারকে এখনই হাসপাতালগুলোকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ প্রস্তুত রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এসব জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ঢিলেঢালা লকডাউনে কোনো কাজ হবে না। এটা এখনই নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে সামনে কঠিন পরিস্থিতি অবধারিত।
এরই মধ্যে আমরা দেখছি, সবাই কেমন যেন নির্ভার। ঢিলেঢালা লকডাউনে সবাই আবার আগের মতো যেমন খুশি চলছেন। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। স্বাস্থ্যবিধিও ঠিকমতো মানা হচ্ছে না। এভাবে গা ছাড়া ভাব নিয়ে চললে, ভারতীয় ধরন যদি বেপরোয়াভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে, তাহলে তা কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। সরকার লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে। তবে এ বাড়ানো শুধুই কাগজে–কলমে। মানুষের মধ্যে পরিপালনের তেমন লক্ষণ নেই। সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও তেমন তৎপরতা নেই। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান খারাপ, প্রয়োজনীয় অক্সিজেনসহ নানান উপকরণের ঘাটতি আছে। তা ছাড়া, সরকারেরও সীমাবদ্ধতা আছে। তাই সরকারের পাশাপাশি নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজেদেরও সময় থাকতে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ক্ষতি হলে প্রতিটি মানুষ জানে তারা কী হারাল। তাই ভালো-মন্দ নিজেদেরই বুঝতে হবে। অন্তত নিজেরা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণের মাত্রা সহনীয় থাকবে।
নতুন করে আবারও ভয়, আতঙ্ক চারপাশে! আবারও কি করোনার প্রকোপ বাড়তে যাচ্ছে? চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ নতুন করে আরও ৭ জেলা লকডাউনের আওতায় আসছে। হঠাৎ করে সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি এসব জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে। ওই সব জেলার হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য রাখা খালি শয্যা প্রায় শেষের পথে। পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যে দুটি জেলায় শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
খবরে জানা যায়, আরও পাঁচ জেলায় শয্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা। এর মধ্যে এক দিন রাজশাহী মেডিকেলে মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ৭ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের।
জেলাগুলো সীমান্তবর্তী হওয়ায় আতঙ্ক ও ভয় বেশি। কারণ গেল গত কয়েক মাস ধরে ভারতে করোনা মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। দিনে প্রায় ৪ লাখের মত মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। ভারতীয় ধরনটি এত মারাত্মক যে আক্রান্ত হওয়ার পর তা দ্রুত শরীরকে কাবু করে ফেলে এবং অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। ভারত সাম্প্রতিক সময়ে এ ভেরিয়েন্টের কারণে তাদের স্বাস্থ্যখাতে মহা বিপর্যয়কাল পার করছে। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এটি যদি কোনোভাবে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে তবে এর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে আসলেও তা ধারণার বাইরে।
কারণ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে কী নাজুক, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত কয়েক দিনের সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় সংক্রমণ বাড়ার মধ্য দিয়ে সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে এরই মধ্যে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা বলতে গেলে একেবারেই অপ্রতুল। দেশে যে ভারতীয় ধরনটি আঘাত হানতে শুরু করেছে তা কিছুটা হলেও আঁচ করা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত দেশে ২৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে।
আমরা দেখি যে, কিছু ঘটতে থাকলে আমরা প্রথমে চুপচাপ থাকি। তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। যখন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যেভাবে করোনা হানা দেওয়া শুরু করেছে, তাতে মনে হচ্ছে বিন্দুমাত্র দেরি না করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারকে এখনই হাসপাতালগুলোকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ প্রস্তুত রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এসব জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ঢিলেঢালা লকডাউনে কোনো কাজ হবে না। এটা এখনই নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে সামনে কঠিন পরিস্থিতি অবধারিত।
এরই মধ্যে আমরা দেখছি, সবাই কেমন যেন নির্ভার। ঢিলেঢালা লকডাউনে সবাই আবার আগের মতো যেমন খুশি চলছেন। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। স্বাস্থ্যবিধিও ঠিকমতো মানা হচ্ছে না। এভাবে গা ছাড়া ভাব নিয়ে চললে, ভারতীয় ধরন যদি বেপরোয়াভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে, তাহলে তা কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। সরকার লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে। তবে এ বাড়ানো শুধুই কাগজে–কলমে। মানুষের মধ্যে পরিপালনের তেমন লক্ষণ নেই। সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও তেমন তৎপরতা নেই। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান খারাপ, প্রয়োজনীয় অক্সিজেনসহ নানান উপকরণের ঘাটতি আছে। তা ছাড়া, সরকারেরও সীমাবদ্ধতা আছে। তাই সরকারের পাশাপাশি নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজেদেরও সময় থাকতে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ক্ষতি হলে প্রতিটি মানুষ জানে তারা কী হারাল। তাই ভালো-মন্দ নিজেদেরই বুঝতে হবে। অন্তত নিজেরা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণের মাত্রা সহনীয় থাকবে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫