সম্পাদকীয়
টাঙ্গুয়ার হাওর হুমকির মুখে, এ রকম একটা খবর বেরিয়েছে আজকের পত্রিকায়। নানা কারণেই বিপন্ন হয়ে উঠছে হাওরটি। এর বেশির ভাগই মানুষ-সৃষ্ট বিপন্নতা। চুরি-চামারি, গায়ের জোর,অভব্য আচরণের কারণেই তৈরি হয়েছে এই হুমকির পরিবেশ।
হাওর নিয়ে কিছু কথা বলা শুরু করা যাক। এ কথা অনেকেরই জানা আছে, ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা আর মণিপুরের উচ্চভূমি দিয়ে আমাদের দেশের হাওরাঞ্চল ঘেরা। মূলত বৃহত্তর সিলেট আর ময়মনসিংহ অঞ্চলেই হাওর দেখা যায়। বিশাল এই সমভূমিতে ছয় হাজারের বেশি জলমহাল আছে।
জলমহালগুলো মূলত বিল নামে পরিচিত। বর্ষাকালে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে পানি নেমে এসে বিশাল এই সমভূমিকে প্লাবিত করে, তখন এই অঞ্চলে শুধু পানি আর পানি। প্রায় ছয় মিটার পর্যন্ত গভীরতা নিয়ে সাগরের রূপ নেয় হাওর।
শুষ্ক মৌসুমে হাওরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানি থাকে না। প্রচুর পরিমাণ জলজ উদ্ভিদ গজিয়ে ওঠে কোনো কোনো বিলের অগভীর পানিতে। পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রচুর পলি জমা হওয়ার কারণে উর্বর মাটিতে হয় ধানের ব্যাপক ফলন। রবিশস্যও ফলে।
হাওর এলাকা পরিযায়ী পাখিদের সাময়িক বিশ্রামক্ষেত্র। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সব ধরনের আয়োজনই করে রেখেছে হাওর। একটু সতর্ক হয়ে হাওরের কাছে গেলেই সে দুই হাত ভরে দিতে পারে।
হাওরের জীবনে বিপদ ডেকে এনেছে যারা, তারা মানুষই। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে হাওর হুমকির সম্মুখীন, সেটা নতুন কোনো খবর নয়। এ ছাড়া যে বিষয়গুলো হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলোও পুরোনো। নতুন করে হুমকির কথা বলতে হচ্ছে, কারণ মানুষের ‘খাসলত’ বদলাচ্ছে না।
মানুষ আপন করে দেখছে না তার নিজের দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক রক্ষাকর্তা হাওরকে। হাওরের মৃত্যু হলে তার দায় মানুষ নেবে না। মানুষ নিজেকে প্রকৃতির অংশ বলে মনে করছে না। মানুষ হাওর এলাকায় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পাতবে, ফাঁদ পেতে পরিযায়ী পাখি হত্যা করবে, হিজল আর করচগাছ কেটে উজাড় করবে। এটা তাদের অধিকার বলেই মনে করবে। এখন তো নৌকা বলতে ইঞ্জিন নৌকারই কাল, সেটাই তেল ছড়াতে ছড়াতে চলবে হাওরের ওপর দিয়ে এবং মানুষ সেখানে বসে অবলীলায় প্লাস্টিকের বর্জ্য, চিপসের প্যাকেট, কোমল পানীয়ের বোতল ফেলতে থাকবে পানিতে। তারপরও আমরা ভাবব যে, এখানকার জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন থাকবে, মায়ের মতো হাওর জোগাবে অন্ন?
প্রকৃতির সঙ্গে বেয়াদবি করে শিল্পোন্নত দেশগুলো এখন বুঝতে পারছে, প্রকৃতির প্রতিশোধ কাকে বলে। ক্ষুদ্রভাবে আমরাও যে একই অন্যায় করে চলেছি, সেটা হাওরের প্রতি অনাচার দেখলেই বোঝা যায়।
শুধু সরকারের খবরদারিতে কাজ হবে না, সাধারণ মানুষেরও ‘খাসলত’ বদলাতে হবে। নইলে এই অন্নদাতা হাওর একসময় মানুষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তার পরিণতি যা হবে, সেটা অল্প কথায় বলা সম্ভব নয়। তবে সেটা যে ভয়াবহ একটি বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে আসবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
টাঙ্গুয়ার হাওর হুমকির মুখে, এ রকম একটা খবর বেরিয়েছে আজকের পত্রিকায়। নানা কারণেই বিপন্ন হয়ে উঠছে হাওরটি। এর বেশির ভাগই মানুষ-সৃষ্ট বিপন্নতা। চুরি-চামারি, গায়ের জোর,অভব্য আচরণের কারণেই তৈরি হয়েছে এই হুমকির পরিবেশ।
হাওর নিয়ে কিছু কথা বলা শুরু করা যাক। এ কথা অনেকেরই জানা আছে, ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা আর মণিপুরের উচ্চভূমি দিয়ে আমাদের দেশের হাওরাঞ্চল ঘেরা। মূলত বৃহত্তর সিলেট আর ময়মনসিংহ অঞ্চলেই হাওর দেখা যায়। বিশাল এই সমভূমিতে ছয় হাজারের বেশি জলমহাল আছে।
জলমহালগুলো মূলত বিল নামে পরিচিত। বর্ষাকালে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে পানি নেমে এসে বিশাল এই সমভূমিকে প্লাবিত করে, তখন এই অঞ্চলে শুধু পানি আর পানি। প্রায় ছয় মিটার পর্যন্ত গভীরতা নিয়ে সাগরের রূপ নেয় হাওর।
শুষ্ক মৌসুমে হাওরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানি থাকে না। প্রচুর পরিমাণ জলজ উদ্ভিদ গজিয়ে ওঠে কোনো কোনো বিলের অগভীর পানিতে। পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রচুর পলি জমা হওয়ার কারণে উর্বর মাটিতে হয় ধানের ব্যাপক ফলন। রবিশস্যও ফলে।
হাওর এলাকা পরিযায়ী পাখিদের সাময়িক বিশ্রামক্ষেত্র। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সব ধরনের আয়োজনই করে রেখেছে হাওর। একটু সতর্ক হয়ে হাওরের কাছে গেলেই সে দুই হাত ভরে দিতে পারে।
হাওরের জীবনে বিপদ ডেকে এনেছে যারা, তারা মানুষই। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে হাওর হুমকির সম্মুখীন, সেটা নতুন কোনো খবর নয়। এ ছাড়া যে বিষয়গুলো হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলোও পুরোনো। নতুন করে হুমকির কথা বলতে হচ্ছে, কারণ মানুষের ‘খাসলত’ বদলাচ্ছে না।
মানুষ আপন করে দেখছে না তার নিজের দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক রক্ষাকর্তা হাওরকে। হাওরের মৃত্যু হলে তার দায় মানুষ নেবে না। মানুষ নিজেকে প্রকৃতির অংশ বলে মনে করছে না। মানুষ হাওর এলাকায় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পাতবে, ফাঁদ পেতে পরিযায়ী পাখি হত্যা করবে, হিজল আর করচগাছ কেটে উজাড় করবে। এটা তাদের অধিকার বলেই মনে করবে। এখন তো নৌকা বলতে ইঞ্জিন নৌকারই কাল, সেটাই তেল ছড়াতে ছড়াতে চলবে হাওরের ওপর দিয়ে এবং মানুষ সেখানে বসে অবলীলায় প্লাস্টিকের বর্জ্য, চিপসের প্যাকেট, কোমল পানীয়ের বোতল ফেলতে থাকবে পানিতে। তারপরও আমরা ভাবব যে, এখানকার জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন থাকবে, মায়ের মতো হাওর জোগাবে অন্ন?
প্রকৃতির সঙ্গে বেয়াদবি করে শিল্পোন্নত দেশগুলো এখন বুঝতে পারছে, প্রকৃতির প্রতিশোধ কাকে বলে। ক্ষুদ্রভাবে আমরাও যে একই অন্যায় করে চলেছি, সেটা হাওরের প্রতি অনাচার দেখলেই বোঝা যায়।
শুধু সরকারের খবরদারিতে কাজ হবে না, সাধারণ মানুষেরও ‘খাসলত’ বদলাতে হবে। নইলে এই অন্নদাতা হাওর একসময় মানুষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তার পরিণতি যা হবে, সেটা অল্প কথায় বলা সম্ভব নয়। তবে সেটা যে ভয়াবহ একটি বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে আসবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫