সম্পাদকীয়
ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কথা আমাদের জানা। এবার শোনা গেল করপোরেট কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটের কথা। আজকের পত্রিকায় রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)-এর সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা গেল ডিম ও মুরগির দাম বাড়ার আসল কারণ। করপোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির খাবার ও বাচ্চা বিক্রি করে বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি মুনাফা তুলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের নেতারা।
করপোরেট কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে মুরগির খাবারের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক বাজারে খাবারের দাম কমলেও আমাদের বাজারের দামে তার প্রতিফলন নেই। এ থেকে স্পষ্ট হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করছেন না।
বাজারের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো পণ্যের জোগান ভোক্তার তুলনায় বেশি হলে তার দাম কমে। যেটা আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। শীতের কারণে পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহের কারণে শাকসবজিসহ পেঁয়াজের দামে স্বস্তি ফিরেছে। এটা বর্তমান সরকারের কোনো সাফল্য নয়। এই সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, সে কথা নতুন করে বলার নয়। আর তাই দেখা যায়, অন্য অনেক খাদ্য ও পণ্যের মতো মুরগি ও ডিমের দাম কমেনি।
বিগত সরকারের আমলে সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে প্রায়ই অভিযোগ শোনা যেত। অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের আঁতাত ছিল বলেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে অভিযোগ আছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেওয়ার পর বাজার পরিস্থিতির কেন পরিবর্তন হচ্ছে না, সেটা এখন ভোক্তাদের প্রশ্ন। বাজার সিন্ডিকেট তো অদৃশ্য শক্তি নয় যে তাদের ধরা বা ছোঁয়া যাবে না।
অব্যাহত মূল্যস্ফীতির সঙ্গে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এ শ্রেণির মানুষের কাছে আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মাংসের বিকল্প হলো ডিম। কয়েক বছর ধরেই ডিমের দাম কারণে-অকারণে বাড়ছে। সিন্ডিকেটের কারণেই যে দাম এত বেড়েছিল, তা স্পষ্ট। আমাদের দেশের কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই। আওয়ামী লীগ সরকার বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কারণে তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা ছিল না। সে কারণে তারা জনগণের কথা চিন্তা না করে অবাধে লুটপাট, দুর্নীতি করতে পেরেছে। সেই সুযোগ সিন্ডিকেট শ্রেণিও গ্রহণ করেছিল।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তো একটা গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাদের দায়িত্ব গ্রহণের পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও তারা এ জায়গায় কেন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারল না? এ ব্যর্থতার দায় তারা এড়াতে পারে না। অন্তর্বর্তী সরকার অনেক বিষয়ে কমিশন গঠন করেছে, কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা সে রকম কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বিপিএ ১২ জানুয়ারি থেকে সুলভ মূল্যে ডিম, মুরগি ও কৃষিপণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। এ উদ্যোগে যেন সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা নেয়, সেটা আমরা দেখতে চাই। সরকারের সাহায্য ছাড়া সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটন করা সম্ভব না।
ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কথা আমাদের জানা। এবার শোনা গেল করপোরেট কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটের কথা। আজকের পত্রিকায় রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)-এর সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা গেল ডিম ও মুরগির দাম বাড়ার আসল কারণ। করপোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির খাবার ও বাচ্চা বিক্রি করে বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি মুনাফা তুলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের নেতারা।
করপোরেট কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে মুরগির খাবারের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক বাজারে খাবারের দাম কমলেও আমাদের বাজারের দামে তার প্রতিফলন নেই। এ থেকে স্পষ্ট হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করছেন না।
বাজারের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো পণ্যের জোগান ভোক্তার তুলনায় বেশি হলে তার দাম কমে। যেটা আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। শীতের কারণে পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহের কারণে শাকসবজিসহ পেঁয়াজের দামে স্বস্তি ফিরেছে। এটা বর্তমান সরকারের কোনো সাফল্য নয়। এই সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, সে কথা নতুন করে বলার নয়। আর তাই দেখা যায়, অন্য অনেক খাদ্য ও পণ্যের মতো মুরগি ও ডিমের দাম কমেনি।
বিগত সরকারের আমলে সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে প্রায়ই অভিযোগ শোনা যেত। অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের আঁতাত ছিল বলেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে অভিযোগ আছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেওয়ার পর বাজার পরিস্থিতির কেন পরিবর্তন হচ্ছে না, সেটা এখন ভোক্তাদের প্রশ্ন। বাজার সিন্ডিকেট তো অদৃশ্য শক্তি নয় যে তাদের ধরা বা ছোঁয়া যাবে না।
অব্যাহত মূল্যস্ফীতির সঙ্গে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এ শ্রেণির মানুষের কাছে আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মাংসের বিকল্প হলো ডিম। কয়েক বছর ধরেই ডিমের দাম কারণে-অকারণে বাড়ছে। সিন্ডিকেটের কারণেই যে দাম এত বেড়েছিল, তা স্পষ্ট। আমাদের দেশের কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই। আওয়ামী লীগ সরকার বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কারণে তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা ছিল না। সে কারণে তারা জনগণের কথা চিন্তা না করে অবাধে লুটপাট, দুর্নীতি করতে পেরেছে। সেই সুযোগ সিন্ডিকেট শ্রেণিও গ্রহণ করেছিল।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তো একটা গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাদের দায়িত্ব গ্রহণের পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও তারা এ জায়গায় কেন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারল না? এ ব্যর্থতার দায় তারা এড়াতে পারে না। অন্তর্বর্তী সরকার অনেক বিষয়ে কমিশন গঠন করেছে, কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা সে রকম কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বিপিএ ১২ জানুয়ারি থেকে সুলভ মূল্যে ডিম, মুরগি ও কৃষিপণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। এ উদ্যোগে যেন সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা নেয়, সেটা আমরা দেখতে চাই। সরকারের সাহায্য ছাড়া সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটন করা সম্ভব না।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫