সম্পাদকীয়
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ বা পিআইবিতে তারুণ্যের উৎসবে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশিশক্তিনির্ভর ছাত্ররাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। ছাত্রদের দেশের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে এবং দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’
খুবই ভালো কথা। নানা সময়ে নানা সরকারি কর্তাব্যক্তি এ কথা বলে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে, পেশিশক্তিনির্ভর রাজনীতি করা যাবে না—এসব কথা কানকে যতটা আরাম দেয়, বাস্তব ততটা সুখকর নয়। আমাদের ছাত্ররাজনীতিতে পেশিশক্তি সব সময়ই সরকারের মদদ পেয়ে এসেছে। পাকিস্তান আমলে প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতি নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে আইয়ুবি এনএসএফ। সে কথাও মনে রাখা দরকার।
আদৌ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না, তা নিয়ে একটি মতৈক্যে পৌঁছানো দরকার। ছাত্ররাজনীতি বলতে আদতে কী বোঝায়, তারও সংজ্ঞা নির্ধারণ করা দরকার। জাতীয় সংকটকালে শিক্ষার্থীরা ঢাল হয়ে দাঁড়াবে কি না, নাকি সে সময়ও তারা রাজপথকে শিক্ষার পথে বাধা বলে মনে করবে, সেই সব বিষয়েও সিদ্ধান্তে আসতে হবে। নইলে শুধু পেশিশক্তিনির্ভর রাজনীতির অবসান চাইলেও তা কথার কথা হিসেবেই টিকে থাকবে।
আমাদের প্রতিটি রাজনৈতিক সংকটকালে শিক্ষার্থীরা সব সময়ই সোচ্চার হয়েছে। যেকোনো ইতিবাচক পরিবর্তনে সামনের সারিতে থেকেছে শিক্ষার্থীরা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন,
১৯৬২ সালের শিক্ষানীতিবিরোধী আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী গণ-অভ্যুত্থান, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান—সবখানেই আমরা ছাত্রদের
অগ্রণী ভূমিকায় দেখেছি। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিতেও ছাত্ররা পালন করেছে অগ্রণী ভূমিকা। তাই ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কথা বলার সময় অনেক দিক বিবেচনা করে কথা বলতে হয়।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, আগামী অন্তত দুই দশক তারা বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে।
উপদেষ্টার বলা এই কথাগুলো নিয়ে ভাবা দরকার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন। আন্দোলনের কৃতিত্ব ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয়েছে কোন্দল। এটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল, নাকি ছিল পূর্বপরিকল্পিত, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা কমিটি নিয়ে প্রতিবাদ করছে এই ছাত্র আন্দোলনেরই নানা গ্রুপ। ফলে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, তাদের চিনে নেওয়া দিনে দিনে কঠিন হয়ে পড়ছে। কখনো কখনো এই আন্দোলনের বিভিন্ন নেতাকে সরকারি প্রটোকলও দেওয়া হচ্ছে, যা এদের প্রতি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আছে বলে ভেবে নেওয়া যায়।
এই কথাগুলোও ভাবা দরকার। শিক্ষাঙ্গন থেকে রাজনীতি উপড়ে ফেলা যাবে কি না, তা খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের আবাসিক রুমে থাকতে পারবে, গণরুমের অভিশাপ থাকবে না, নেতাদের লেজুড়বৃত্তি থাকবে না—এসব তো সব শিক্ষার্থীরই চাওয়া। সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনাই জরুরি।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ বা পিআইবিতে তারুণ্যের উৎসবে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশিশক্তিনির্ভর ছাত্ররাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। ছাত্রদের দেশের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে এবং দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’
খুবই ভালো কথা। নানা সময়ে নানা সরকারি কর্তাব্যক্তি এ কথা বলে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে, পেশিশক্তিনির্ভর রাজনীতি করা যাবে না—এসব কথা কানকে যতটা আরাম দেয়, বাস্তব ততটা সুখকর নয়। আমাদের ছাত্ররাজনীতিতে পেশিশক্তি সব সময়ই সরকারের মদদ পেয়ে এসেছে। পাকিস্তান আমলে প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতি নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে আইয়ুবি এনএসএফ। সে কথাও মনে রাখা দরকার।
আদৌ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না, তা নিয়ে একটি মতৈক্যে পৌঁছানো দরকার। ছাত্ররাজনীতি বলতে আদতে কী বোঝায়, তারও সংজ্ঞা নির্ধারণ করা দরকার। জাতীয় সংকটকালে শিক্ষার্থীরা ঢাল হয়ে দাঁড়াবে কি না, নাকি সে সময়ও তারা রাজপথকে শিক্ষার পথে বাধা বলে মনে করবে, সেই সব বিষয়েও সিদ্ধান্তে আসতে হবে। নইলে শুধু পেশিশক্তিনির্ভর রাজনীতির অবসান চাইলেও তা কথার কথা হিসেবেই টিকে থাকবে।
আমাদের প্রতিটি রাজনৈতিক সংকটকালে শিক্ষার্থীরা সব সময়ই সোচ্চার হয়েছে। যেকোনো ইতিবাচক পরিবর্তনে সামনের সারিতে থেকেছে শিক্ষার্থীরা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন,
১৯৬২ সালের শিক্ষানীতিবিরোধী আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী গণ-অভ্যুত্থান, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান—সবখানেই আমরা ছাত্রদের
অগ্রণী ভূমিকায় দেখেছি। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিতেও ছাত্ররা পালন করেছে অগ্রণী ভূমিকা। তাই ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কথা বলার সময় অনেক দিক বিবেচনা করে কথা বলতে হয়।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, আগামী অন্তত দুই দশক তারা বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে।
উপদেষ্টার বলা এই কথাগুলো নিয়ে ভাবা দরকার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন। আন্দোলনের কৃতিত্ব ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয়েছে কোন্দল। এটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল, নাকি ছিল পূর্বপরিকল্পিত, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা কমিটি নিয়ে প্রতিবাদ করছে এই ছাত্র আন্দোলনেরই নানা গ্রুপ। ফলে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, তাদের চিনে নেওয়া দিনে দিনে কঠিন হয়ে পড়ছে। কখনো কখনো এই আন্দোলনের বিভিন্ন নেতাকে সরকারি প্রটোকলও দেওয়া হচ্ছে, যা এদের প্রতি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আছে বলে ভেবে নেওয়া যায়।
এই কথাগুলোও ভাবা দরকার। শিক্ষাঙ্গন থেকে রাজনীতি উপড়ে ফেলা যাবে কি না, তা খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের আবাসিক রুমে থাকতে পারবে, গণরুমের অভিশাপ থাকবে না, নেতাদের লেজুড়বৃত্তি থাকবে না—এসব তো সব শিক্ষার্থীরই চাওয়া। সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনাই জরুরি।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫