সম্পাদকীয়
খবরটা মানিকগঞ্জের। তবে একই দৃশ্য পুরো দেশেরই।
মানিকগঞ্জে গণপরিবহন থেকে যে চাঁদাবাজি করা হয়, সে খবরটা চোখে পড়ল আজ। মনে হলো, প্রতি বছর একই খবর বার বার পড়তে হয়। তারপরও একঘেয়ে লাগে না চাঁদার অঙ্কটি জানার ঊৎসুক্য থাকে বলে। চাাঁদাবাজিতে কে কাকে ছাড়িয়ে গেল, তা দেখতে হবে না!
বছরে জেলা পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে এই চাঁদা তোলা হয়। এই চাঁদাবাজির পেছনে কোনো সদুদ্দেশ্য আছে, এমন কথা বলা যাবে না। মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই এই চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পুলিশ এর ভাগ পায় বলে তারাও মৌন থাকে।
চাঁদা দিতে দিতে মানিকগঞ্জের সাধারণ বাস মালিকদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে ৭০০ বাস থেকে। সিএনজি ও অটোরিকশা থেকেও তোলা হয় চাঁদা। বাদ যায় না মিনিবাস, মাইক্রোবাস আর ভাড়ায় চালিত সেডান গাড়ি।
বিভিন্ন ব্যানারে চাঁদাবাজি হয়ে উঠেছে লুটপাটের মাধ্যম। একটু একটু করে এই অবৈধ চাঁদাবাজি দখল করে নিয়েছে গোটা দেশের গণপরিবহনকে। এটাই যেন ঐতিহ্য। বাস মালিকদের কেউ ভাবতেও পারে না, চাঁদা না দিয়ে টিকে থাকবেন রাস্তায়। বিভিন্ন সমিতি বানিয়ে তাদের কল্যাণ করাটাই যেন পরিবহন মালিকদের অবশ্যকর্তব্য!
মালিক সমিতির ব্যানারে চাঁদা তোলা হয় কেন? এই রীতিটি কেন তার ঐতিহ্য বজায় রেখে এখনও বিদ্যমান? আচ্ছা, কেউ কি বুঝিয়ে বলবেন, কেন এই চাঁদা নেওয়া হয়? এই চাঁদা কাদের কল্যাণে লাগে?
চাাঁদাবাজি থেকে বাদ যায় না অটোরিকশাগুলোও। সমিতি আর পৌরসভা মিলেমিশে চাঁদার ভাগিদার।
সুমন চট্টোপাধ্যায়ের গানের ‘কোথাও কোনো নিয়ম নেই’ পংক্তিটি যেন বড় বাজল বুকে। প্রত্যেকটি এলাকায় যারা মালিক ও শ্রমিক সমিতিগুলোর দায়িত্বে থাকেন, তারাই কিন্তু মালিক ও শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ চাঁদাবিহীন জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বলতে পারেন , আমাদের এখানে চাঁদাবাজি চলবে না। কল্যাণের জন্য যদি কোনো চাঁদা দিতে হয়, তাহলে তা বছরে একবার কল্যাণ সমিতিকে দিতে হবে এবং সেই টাকা দিয়ে কার কল্যাণ হবে, সেটা পরিস্কার করতে হবে।
কিন্তু যে যায় লঙ্কায়, সে–ই হয় রাবণ। সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গে অবৈধ অর্থের যোগাযোগ যেন সোনায় সোহাগা হয়ে বিরাজমান। ক্ষমতাসীন দল ও আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের যদি জবাবদিহিতা থাকত, অবৈধ চাঁদাবাজির জন্য শাস্তি হতো, তাহলে পরিবহন সেক্টরকে অন্তত চাঁদাবাজির আতঙ্কে থাকতে হতো না।
প্রতিকার নেই বলে মেনে নিতে হয়। প্রতিকার থাকলে প্রত্যাঘাতের কথা ভাবা যায়, নিরুপোদ্রব বেঁচে থাকা যায়। কিন্তু আপাতত সেটা সোনার হরিণ বলেই মনে হচ্ছে।
খবরটা মানিকগঞ্জের। তবে একই দৃশ্য পুরো দেশেরই।
মানিকগঞ্জে গণপরিবহন থেকে যে চাঁদাবাজি করা হয়, সে খবরটা চোখে পড়ল আজ। মনে হলো, প্রতি বছর একই খবর বার বার পড়তে হয়। তারপরও একঘেয়ে লাগে না চাঁদার অঙ্কটি জানার ঊৎসুক্য থাকে বলে। চাাঁদাবাজিতে কে কাকে ছাড়িয়ে গেল, তা দেখতে হবে না!
বছরে জেলা পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে এই চাঁদা তোলা হয়। এই চাঁদাবাজির পেছনে কোনো সদুদ্দেশ্য আছে, এমন কথা বলা যাবে না। মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই এই চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পুলিশ এর ভাগ পায় বলে তারাও মৌন থাকে।
চাঁদা দিতে দিতে মানিকগঞ্জের সাধারণ বাস মালিকদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে ৭০০ বাস থেকে। সিএনজি ও অটোরিকশা থেকেও তোলা হয় চাঁদা। বাদ যায় না মিনিবাস, মাইক্রোবাস আর ভাড়ায় চালিত সেডান গাড়ি।
বিভিন্ন ব্যানারে চাঁদাবাজি হয়ে উঠেছে লুটপাটের মাধ্যম। একটু একটু করে এই অবৈধ চাঁদাবাজি দখল করে নিয়েছে গোটা দেশের গণপরিবহনকে। এটাই যেন ঐতিহ্য। বাস মালিকদের কেউ ভাবতেও পারে না, চাঁদা না দিয়ে টিকে থাকবেন রাস্তায়। বিভিন্ন সমিতি বানিয়ে তাদের কল্যাণ করাটাই যেন পরিবহন মালিকদের অবশ্যকর্তব্য!
মালিক সমিতির ব্যানারে চাঁদা তোলা হয় কেন? এই রীতিটি কেন তার ঐতিহ্য বজায় রেখে এখনও বিদ্যমান? আচ্ছা, কেউ কি বুঝিয়ে বলবেন, কেন এই চাঁদা নেওয়া হয়? এই চাঁদা কাদের কল্যাণে লাগে?
চাাঁদাবাজি থেকে বাদ যায় না অটোরিকশাগুলোও। সমিতি আর পৌরসভা মিলেমিশে চাঁদার ভাগিদার।
সুমন চট্টোপাধ্যায়ের গানের ‘কোথাও কোনো নিয়ম নেই’ পংক্তিটি যেন বড় বাজল বুকে। প্রত্যেকটি এলাকায় যারা মালিক ও শ্রমিক সমিতিগুলোর দায়িত্বে থাকেন, তারাই কিন্তু মালিক ও শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ চাঁদাবিহীন জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বলতে পারেন , আমাদের এখানে চাঁদাবাজি চলবে না। কল্যাণের জন্য যদি কোনো চাঁদা দিতে হয়, তাহলে তা বছরে একবার কল্যাণ সমিতিকে দিতে হবে এবং সেই টাকা দিয়ে কার কল্যাণ হবে, সেটা পরিস্কার করতে হবে।
কিন্তু যে যায় লঙ্কায়, সে–ই হয় রাবণ। সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গে অবৈধ অর্থের যোগাযোগ যেন সোনায় সোহাগা হয়ে বিরাজমান। ক্ষমতাসীন দল ও আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের যদি জবাবদিহিতা থাকত, অবৈধ চাঁদাবাজির জন্য শাস্তি হতো, তাহলে পরিবহন সেক্টরকে অন্তত চাঁদাবাজির আতঙ্কে থাকতে হতো না।
প্রতিকার নেই বলে মেনে নিতে হয়। প্রতিকার থাকলে প্রত্যাঘাতের কথা ভাবা যায়, নিরুপোদ্রব বেঁচে থাকা যায়। কিন্তু আপাতত সেটা সোনার হরিণ বলেই মনে হচ্ছে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫