সম্পাদকীয়
লোভ মানুষের চরিত্রকে এমনভাবে গ্রাস করে যে সে ন্যায়-অন্যায়ের সীমারেখা মুছে ফেলে। একজন বাবা, যিনি সন্তান হারিয়েছেন, তিনিও যখন অর্থের লোভে সন্তান হত্যার মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেন, তখন প্রশ্ন ওঠে—আমরা কোন পথে চলেছি? বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়া এক যুবককে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে রূপান্তরিত করার যে কৌশল, তা কেবল মিথ্যাচার নয়, তা রাষ্ট্র ও সমাজের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রও বটে।
৭ মার্চ আজকের পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এখানে দুটি বিষয় গভীরভাবে ভাবা প্রয়োজন—এক. অর্থের লোভ মানুষের মানবিকতা ও বিবেককে কীভাবে ধ্বংস করে দেয়; দুই. এই লোভকে পুঁজি করে একটি কুচক্রী মহল কীভাবে মিথ্যার রাজনীতি গড়ে তোলে।
শরীফ হোসেন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন, এটি প্রমাণিত সত্য। কিন্তু তারপরও তাঁকে গুলিবিদ্ধ বলার চেষ্টা, আদালতে মিথ্যা মামলা করা—এগুলো আমাদের সমাজের নৈতিক দুর্বলতা ভয়ংকরভাবে উন্মোচন করে। আমরা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে পারি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারি, কিন্তু যদি মানুষের নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে যায়, যদি লোভ তাদের বিবেক গ্রাস করে নেয়, তবে সেই সমাজ টিকে থাকবে কীভাবে?
লোভ কেবল ব্যক্তির ক্ষতি করে না, এটি রাষ্ট্র ও সমাজকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। যারা এই মামলাটি সাজিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা আদায় করা। এ ধরনের ষড়যন্ত্র শুধু নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানির কারণ হয় না, এটি প্রকৃত বিচার ও ন্যায়বিচারের ধারণাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রবণতা আমাদের সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ছোট ছোট অসততা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের দুর্নীতি—সবকিছুরই মূল কারণ হলো লোভ। টাকার লোভ, ক্ষমতার লোভ, প্রতিপত্তির লোভ। এই লোভই একজন বাবাকে সন্তানের প্রকৃত মৃত্যুর কারণ লুকাতে বাধ্য করে, নিরপরাধ ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের অপরাধী বানিয়ে ফাঁসানোর জন্য কুচক্রী মহলকে উৎসাহিত করে।
প্রশ্ন হলো, এমন ঘটনা আমরা কত দিন সহ্য করব? কীভাবে সংযত করা যাবে লোভের এই লকলকে জিহ্বা?
এর একমাত্র সমাধান ন্যায়বিচারের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং মিথ্যাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। যারা মিথ্যা মামলা সাজায়, যারা লোভের বশবর্তী হয়ে সত্যকে বিকৃত করে, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মিথ্যা মামলা সাজিয়ে ফায়দা লোটার প্রবণতা বন্ধ না হলে সমাজে আর কোনো সত্যই টিকবে না।
আমরা জানি, ফ্যাসিবাদকে প্রতিরোধ করা যায়, স্বৈরাচারী শক্তিকে পরাভূত করা যায়। কিন্তু সমাজের ভেতর যে অসততা ও লোভ বাসা বাঁধে, তাকে দমন না করতে পারলে বৃহত্তর ন্যায়ের লড়াইও ব্যর্থ হবে। তাই শুধু বড় বড় শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করাই যথেষ্ট নয়, আমাদের ঘরের ভেতরকার শত্রুকেও চিনতে হবে। আমাদের প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা এবং সর্বোপরি আমাদের নৈতিক বোধকে জাগ্রত করতে হবে—যাতে লোভের লকলকে জিহ্বাকে শৃঙ্খলিত করা যায়, সত্যের পথে সমাজকে এগিয়ে নেওয়া যায়।
লোভ মানুষের চরিত্রকে এমনভাবে গ্রাস করে যে সে ন্যায়-অন্যায়ের সীমারেখা মুছে ফেলে। একজন বাবা, যিনি সন্তান হারিয়েছেন, তিনিও যখন অর্থের লোভে সন্তান হত্যার মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেন, তখন প্রশ্ন ওঠে—আমরা কোন পথে চলেছি? বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়া এক যুবককে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে রূপান্তরিত করার যে কৌশল, তা কেবল মিথ্যাচার নয়, তা রাষ্ট্র ও সমাজের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রও বটে।
৭ মার্চ আজকের পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এখানে দুটি বিষয় গভীরভাবে ভাবা প্রয়োজন—এক. অর্থের লোভ মানুষের মানবিকতা ও বিবেককে কীভাবে ধ্বংস করে দেয়; দুই. এই লোভকে পুঁজি করে একটি কুচক্রী মহল কীভাবে মিথ্যার রাজনীতি গড়ে তোলে।
শরীফ হোসেন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন, এটি প্রমাণিত সত্য। কিন্তু তারপরও তাঁকে গুলিবিদ্ধ বলার চেষ্টা, আদালতে মিথ্যা মামলা করা—এগুলো আমাদের সমাজের নৈতিক দুর্বলতা ভয়ংকরভাবে উন্মোচন করে। আমরা ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে পারি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারি, কিন্তু যদি মানুষের নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে যায়, যদি লোভ তাদের বিবেক গ্রাস করে নেয়, তবে সেই সমাজ টিকে থাকবে কীভাবে?
লোভ কেবল ব্যক্তির ক্ষতি করে না, এটি রাষ্ট্র ও সমাজকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। যারা এই মামলাটি সাজিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা আদায় করা। এ ধরনের ষড়যন্ত্র শুধু নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানির কারণ হয় না, এটি প্রকৃত বিচার ও ন্যায়বিচারের ধারণাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রবণতা আমাদের সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ছোট ছোট অসততা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের দুর্নীতি—সবকিছুরই মূল কারণ হলো লোভ। টাকার লোভ, ক্ষমতার লোভ, প্রতিপত্তির লোভ। এই লোভই একজন বাবাকে সন্তানের প্রকৃত মৃত্যুর কারণ লুকাতে বাধ্য করে, নিরপরাধ ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের অপরাধী বানিয়ে ফাঁসানোর জন্য কুচক্রী মহলকে উৎসাহিত করে।
প্রশ্ন হলো, এমন ঘটনা আমরা কত দিন সহ্য করব? কীভাবে সংযত করা যাবে লোভের এই লকলকে জিহ্বা?
এর একমাত্র সমাধান ন্যায়বিচারের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং মিথ্যাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। যারা মিথ্যা মামলা সাজায়, যারা লোভের বশবর্তী হয়ে সত্যকে বিকৃত করে, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মিথ্যা মামলা সাজিয়ে ফায়দা লোটার প্রবণতা বন্ধ না হলে সমাজে আর কোনো সত্যই টিকবে না।
আমরা জানি, ফ্যাসিবাদকে প্রতিরোধ করা যায়, স্বৈরাচারী শক্তিকে পরাভূত করা যায়। কিন্তু সমাজের ভেতর যে অসততা ও লোভ বাসা বাঁধে, তাকে দমন না করতে পারলে বৃহত্তর ন্যায়ের লড়াইও ব্যর্থ হবে। তাই শুধু বড় বড় শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করাই যথেষ্ট নয়, আমাদের ঘরের ভেতরকার শত্রুকেও চিনতে হবে। আমাদের প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা এবং সর্বোপরি আমাদের নৈতিক বোধকে জাগ্রত করতে হবে—যাতে লোভের লকলকে জিহ্বাকে শৃঙ্খলিত করা যায়, সত্যের পথে সমাজকে এগিয়ে নেওয়া যায়।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫