সম্পাদকীয়
করোনা সংক্রমণের নতুন নতুন রেকর্ডের খবর আসছে প্রতিদিন। অবস্থা এমন দিকে যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ হয়ে উঠছে করোনার হটস্পট। হাসপাতালে সিট পাওয়া যাচ্ছে না। আইসিইউ খালি নেই। যে হারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে বেসামাল হয়ে পড়ছে পুরো চিকিৎসাব্যবস্থা। এভাবে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে সামনের দিনগুলোয় কী মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে, তা সত্যিই ধারণার বাইরে।
কিন্তু এত যে প্রিয়জন হারানোর ঘটনা, চারপাশে এত মানুষের মৃত্যু, তাতে কি সচেতন হচ্ছে সাধারণ মানুষ? তারা কি ভাবছে যে এর শিকার হতে পারে নিজেরাও? লকডাউনেও কিছু মানুষের কারণে-অকারণে চলাচল, ঘোরাঘুরি দেখে বোঝার উপায় নেই, এই কঠোর লকডাউনেও তারা সচেতন হচ্ছে। তাদের কাছে প্রতিদিনের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যেন শুধুই সংখ্যা! সরকার সংক্রমণ কমাতে লকডাউন দিয়েছে, তাতে মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখনো সময় আছে সতর্ক হওয়ার। একমাত্র সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এ থেকে রক্ষার উপায়। এটা শুধু নিজের বেঁচে থাকার জন্য নয়; পরিবারের প্রিয়জন–মা, বাবা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়ে সবার বেঁচে থাকার বিষয়টিও সবাইকে ভাবতে হবে। একজনের অসচেতনতার বলি হতে পারে পরিবারের যেকোনো প্রিয় মুখ। এরই মধ্যে যাঁরা তাঁদের প্রিয়জন ও ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছেন, তাঁরাই শুধু এর যন্ত্রণা বুঝতে পারেন।
সরকার সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে আন্তরিক। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধকোটি টিকার সংস্থান হয়েছে। পাইপলাইনে আছে আরও। সরকার বলছে টিকার সংকট হবে না। তাই টিকা আসুক স্বাভাবিকভাবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ টিকা নেবেন সময়মতো। এর জন্য বসে না থেকে নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই নিতে হবে। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ করা, পরিচ্ছন্ন থাকা, কথা বলার সময় দূরত্ব বজায় রাখা, করমর্দন না করার মতো যত ধরনের সতর্ক থাকার উপায় আছে, তা করতে হবে। সতর্ক থাকলে করোনার সংক্রমণ হলেও তা মারাত্মক হয় না।
একক কারও সচেতনতায় দেশকে করোনামুক্ত করা যাবে না। এই মহামারি থেকে রক্ষার উপায় সম্মিলিত সচেতনতা। একান্ত প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়া, দূরত্ব বজায় রাখা—এসব কথা প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে। এখন সময় এসেছে সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে তা মেনে চলা এবং সবাইকে সুরক্ষিত রাখা। এটা একদিকে যেমন নিজের জীবন বাঁচানোর স্বার্থ, অন্যদিকে জীবিকা রক্ষারও প্রশ্ন। কারণ, মহামারি যত ভয়ংকর হবে, ততই অচল হতে থাকবে অর্থনীতি-ব্যবসা-বাণিজ্য। দেশের ভেতরে যেমন বিচ্ছিন্নতা বাড়বে, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবেও বন্ধুহীন হবে দেশ। না হবে আমদানি, না হবে রপ্তানি। একটি অবরুদ্ধ দেশ তখন সব দিক থেকেই বিপন্ন অবস্থায় পড়বে। তাই সবার আরও সচেতন হয়ে নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। না হলে সবাইকেই এর মাশুল গুনতে হবে।
করোনা সংক্রমণের নতুন নতুন রেকর্ডের খবর আসছে প্রতিদিন। অবস্থা এমন দিকে যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ হয়ে উঠছে করোনার হটস্পট। হাসপাতালে সিট পাওয়া যাচ্ছে না। আইসিইউ খালি নেই। যে হারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে বেসামাল হয়ে পড়ছে পুরো চিকিৎসাব্যবস্থা। এভাবে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে সামনের দিনগুলোয় কী মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে, তা সত্যিই ধারণার বাইরে।
কিন্তু এত যে প্রিয়জন হারানোর ঘটনা, চারপাশে এত মানুষের মৃত্যু, তাতে কি সচেতন হচ্ছে সাধারণ মানুষ? তারা কি ভাবছে যে এর শিকার হতে পারে নিজেরাও? লকডাউনেও কিছু মানুষের কারণে-অকারণে চলাচল, ঘোরাঘুরি দেখে বোঝার উপায় নেই, এই কঠোর লকডাউনেও তারা সচেতন হচ্ছে। তাদের কাছে প্রতিদিনের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যেন শুধুই সংখ্যা! সরকার সংক্রমণ কমাতে লকডাউন দিয়েছে, তাতে মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখনো সময় আছে সতর্ক হওয়ার। একমাত্র সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এ থেকে রক্ষার উপায়। এটা শুধু নিজের বেঁচে থাকার জন্য নয়; পরিবারের প্রিয়জন–মা, বাবা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়ে সবার বেঁচে থাকার বিষয়টিও সবাইকে ভাবতে হবে। একজনের অসচেতনতার বলি হতে পারে পরিবারের যেকোনো প্রিয় মুখ। এরই মধ্যে যাঁরা তাঁদের প্রিয়জন ও ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছেন, তাঁরাই শুধু এর যন্ত্রণা বুঝতে পারেন।
সরকার সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে আন্তরিক। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধকোটি টিকার সংস্থান হয়েছে। পাইপলাইনে আছে আরও। সরকার বলছে টিকার সংকট হবে না। তাই টিকা আসুক স্বাভাবিকভাবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ টিকা নেবেন সময়মতো। এর জন্য বসে না থেকে নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই নিতে হবে। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ করা, পরিচ্ছন্ন থাকা, কথা বলার সময় দূরত্ব বজায় রাখা, করমর্দন না করার মতো যত ধরনের সতর্ক থাকার উপায় আছে, তা করতে হবে। সতর্ক থাকলে করোনার সংক্রমণ হলেও তা মারাত্মক হয় না।
একক কারও সচেতনতায় দেশকে করোনামুক্ত করা যাবে না। এই মহামারি থেকে রক্ষার উপায় সম্মিলিত সচেতনতা। একান্ত প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়া, দূরত্ব বজায় রাখা—এসব কথা প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে। এখন সময় এসেছে সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে তা মেনে চলা এবং সবাইকে সুরক্ষিত রাখা। এটা একদিকে যেমন নিজের জীবন বাঁচানোর স্বার্থ, অন্যদিকে জীবিকা রক্ষারও প্রশ্ন। কারণ, মহামারি যত ভয়ংকর হবে, ততই অচল হতে থাকবে অর্থনীতি-ব্যবসা-বাণিজ্য। দেশের ভেতরে যেমন বিচ্ছিন্নতা বাড়বে, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবেও বন্ধুহীন হবে দেশ। না হবে আমদানি, না হবে রপ্তানি। একটি অবরুদ্ধ দেশ তখন সব দিক থেকেই বিপন্ন অবস্থায় পড়বে। তাই সবার আরও সচেতন হয়ে নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। না হলে সবাইকেই এর মাশুল গুনতে হবে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫