সম্পাদকীয়
প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না সাংসদের বালুর ব্যবসার কারণে। পরিকল্পনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধারের জন্য যমুনা নদীর তীরে ৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই অধিকৃত জায়গার একটি বড় অংশই দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও তাঁর ব্যবসায়ের অংশীদার—অভিযোগটা এমনই। অর্থাৎ নাটকটির প্রথম অঙ্ক লেখা হয়েছে এবং ক্লাইমেক্স এখনো অনেক দূর বলেই মনে হচ্ছে।
প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। বেশ কয়েকটি নদীর প্রবাহ সচল হবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হলে। এই তালিকায় আছে নতুন ধলেশ্বরী, ঝিনাই, বংশাই, তুরাগ হয়ে বুড়িগঙ্গা। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, নাট্যকার এই সময় পর্যন্ত ঠিকভাবেই এগোতে পেরেছেন।
আমাদের নদীগুলোর যে দুর্দশা, তাতে সত্যিকার রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে অনেক দুর্গতিই পোহাতে হবে। আসলেই নদীকে ঠিকভাবে চলতে না দিয়ে, নদীর সঙ্গে বহু ধরনের দুর্ব্যবহার করে আমরা এরই মধ্যে বহু দুর্গতির শিকার হয়েছি। সেগুলো অন্য আলোচনার বিষয়। আমরা যদি এই একটি মাত্র নদী-নাটকের দিকে দৃষ্টি রাখি, তাহলে দেখব, একমাত্র এলাকার সাংসদ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীই শুধু বলছেন, তিনি কোনো ধরনের বালুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। কেউ যদি তাঁর নাম বলে থাকে, তাহলে সে ভুল বলেছে।
সাংসদ খুবই দৃঢ়তার সঙ্গে কথাগুলো বলেছেন। কথাগুলো সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। ‘হ্যাঁ, কথাগুলো’। কারণ, তাঁর এই কথাগুলোর সঙ্গে তিনি আরেকটি তথ্যও জুড়ে দিয়েছেন: ‘যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁরা সিরাজগঞ্জ থেকে বালু কিনে এনে বিক্রি করছেন। বৈধ ব্যবসা অন্যায় কিছু নয়।’ এখানেও তো ঠিকই বলছেন তিনি! তবে আমরা অবাক হচ্ছি এই কারণে, প্রকল্পটিকে ব্যাহত করছে যে বালুর ব্যবসা, সেটা বৈধ কি অবৈধ, সে কথা বলে দিচ্ছেন সাংসদ, অথচ তাঁরই এলাকায় সারা দেশের উপকার হয়, এমন একটি প্রকল্পে বাদ সাধা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো কথাই বললেন না তিনি! এই ‘বৈধ ব্যবসা’টি বড়, নাকি দেশের জনগণের উপকার হওয়ার জন্য সরকারি হাজার কোটি টাকার কাজটি বড়, সেটা কি মাননীয় সাংসদ কথা বলার সময় মাথায় রেখেছিলেন?
কথা বাড়ানোর দরকার নেই। সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেদক যখন কথা বলেছেন, তখন সবার আঙুলই এই বালুর ব্যবসার সঙ্গে সাংসদের সম্পৃক্ততাকেই নির্দেশ করেছে। এমনকি স্থানীয় যে ইউপি সদস্য মো. আবদুল হাইকে তাঁর ব্যবসার অংশীদার বলা হচ্ছে, তিনিও কিছু রাখঢাক না করে বলেছেন সাংসদের লোকজনের সংশ্লিষ্টতার কথা।
কথা বললে কথা বাড়ে। বাড়াব না। এই জীবন-নাটকটি এখন কোন পথে এগোবে–সেটাই প্রশ্ন। নাটকটি কমিক হতে পারে, যদি প্রকল্প থেকে এই তথাকথিত ‘বৈধ’ ব্যবসায়ীদের বিতাড়ন করা যায় এবং নদীগুলোর প্রবাহ সচল হয়। নাটকটি ট্র্যাজিক হতে পারে, যদি কিছুসংখ্যক লোভী ব্যবসায়ীর কারণে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে আর নদী ও নদীর অববাহিকার মানুষ অকারণ কষ্ট ভোগ করতে বাধ্য হয়। নাটকটি কীভাবে শেষ হবে, তার অপেক্ষায় থাকলাম আমরা।
প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না সাংসদের বালুর ব্যবসার কারণে। পরিকল্পনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধারের জন্য যমুনা নদীর তীরে ৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই অধিকৃত জায়গার একটি বড় অংশই দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও তাঁর ব্যবসায়ের অংশীদার—অভিযোগটা এমনই। অর্থাৎ নাটকটির প্রথম অঙ্ক লেখা হয়েছে এবং ক্লাইমেক্স এখনো অনেক দূর বলেই মনে হচ্ছে।
প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। বেশ কয়েকটি নদীর প্রবাহ সচল হবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হলে। এই তালিকায় আছে নতুন ধলেশ্বরী, ঝিনাই, বংশাই, তুরাগ হয়ে বুড়িগঙ্গা। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, নাট্যকার এই সময় পর্যন্ত ঠিকভাবেই এগোতে পেরেছেন।
আমাদের নদীগুলোর যে দুর্দশা, তাতে সত্যিকার রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে অনেক দুর্গতিই পোহাতে হবে। আসলেই নদীকে ঠিকভাবে চলতে না দিয়ে, নদীর সঙ্গে বহু ধরনের দুর্ব্যবহার করে আমরা এরই মধ্যে বহু দুর্গতির শিকার হয়েছি। সেগুলো অন্য আলোচনার বিষয়। আমরা যদি এই একটি মাত্র নদী-নাটকের দিকে দৃষ্টি রাখি, তাহলে দেখব, একমাত্র এলাকার সাংসদ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীই শুধু বলছেন, তিনি কোনো ধরনের বালুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। কেউ যদি তাঁর নাম বলে থাকে, তাহলে সে ভুল বলেছে।
সাংসদ খুবই দৃঢ়তার সঙ্গে কথাগুলো বলেছেন। কথাগুলো সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। ‘হ্যাঁ, কথাগুলো’। কারণ, তাঁর এই কথাগুলোর সঙ্গে তিনি আরেকটি তথ্যও জুড়ে দিয়েছেন: ‘যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁরা সিরাজগঞ্জ থেকে বালু কিনে এনে বিক্রি করছেন। বৈধ ব্যবসা অন্যায় কিছু নয়।’ এখানেও তো ঠিকই বলছেন তিনি! তবে আমরা অবাক হচ্ছি এই কারণে, প্রকল্পটিকে ব্যাহত করছে যে বালুর ব্যবসা, সেটা বৈধ কি অবৈধ, সে কথা বলে দিচ্ছেন সাংসদ, অথচ তাঁরই এলাকায় সারা দেশের উপকার হয়, এমন একটি প্রকল্পে বাদ সাধা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো কথাই বললেন না তিনি! এই ‘বৈধ ব্যবসা’টি বড়, নাকি দেশের জনগণের উপকার হওয়ার জন্য সরকারি হাজার কোটি টাকার কাজটি বড়, সেটা কি মাননীয় সাংসদ কথা বলার সময় মাথায় রেখেছিলেন?
কথা বাড়ানোর দরকার নেই। সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেদক যখন কথা বলেছেন, তখন সবার আঙুলই এই বালুর ব্যবসার সঙ্গে সাংসদের সম্পৃক্ততাকেই নির্দেশ করেছে। এমনকি স্থানীয় যে ইউপি সদস্য মো. আবদুল হাইকে তাঁর ব্যবসার অংশীদার বলা হচ্ছে, তিনিও কিছু রাখঢাক না করে বলেছেন সাংসদের লোকজনের সংশ্লিষ্টতার কথা।
কথা বললে কথা বাড়ে। বাড়াব না। এই জীবন-নাটকটি এখন কোন পথে এগোবে–সেটাই প্রশ্ন। নাটকটি কমিক হতে পারে, যদি প্রকল্প থেকে এই তথাকথিত ‘বৈধ’ ব্যবসায়ীদের বিতাড়ন করা যায় এবং নদীগুলোর প্রবাহ সচল হয়। নাটকটি ট্র্যাজিক হতে পারে, যদি কিছুসংখ্যক লোভী ব্যবসায়ীর কারণে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে আর নদী ও নদীর অববাহিকার মানুষ অকারণ কষ্ট ভোগ করতে বাধ্য হয়। নাটকটি কীভাবে শেষ হবে, তার অপেক্ষায় থাকলাম আমরা।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫