সম্পাদকীয়
উত্তরের ছোট জেলা নীলফামারীর একটি খবর ছাপা হয়েছে আজকের পত্রিকার ভেতরের পাতায়। ‘ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি হয়তো অনেক পাঠকের নজরেও পড়েনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়া এখন প্রতিদিনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আজ দোকানে বা বাজারে গিয়ে যে পণ্য যে দামে কেনা যাবে, দুই দিন পরে সেই পণ্যের দাম বাড়বে না, সে নিশ্চয়তা তো কেউ দিয়ে রাখেনি। তাই ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার খবর কারও আলাদা মনোযোগ আকর্ষণ না করারই কথা। ব্রয়লার মুরগির দাম এত দিন একটু কম থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষও প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে তা কেনার সাহস করত। তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা বাড়লে নিম্নবিত্ত বা গরিব মানুষের মাংসের স্বাদ নেওয়ার আর সাধ হয় না।
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর একটি কথা চালু থাকলেও মাংসের স্বাদ আর কম দামের কিসে মেটানো যায়, তা নিয়ে কোনো প্রবাদের কথা শোনা যায় না। কেন ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ল? বলা হচ্ছে বাজারে ব্রয়লারের সরবরাহ কম। মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। বেড়েছে নাকি অন্যান্য খরচও। তাই দাম না বাড়ালে অর্থাৎ ভোক্তাদের পকেট না কাটলে চলবে কেন?
অনেকে রসিকতা করে বলেন, বাঙালির হাত তিনটি। ডান হাত, বাঁ হাতের সঙ্গে আছে ‘অজুহাত’। সবকিছুর পেছনে একটি অজুহাত দাঁড় করাতে আমাদের জুড়ি নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে ব্যবসায়ী, আড়তদার, মহাজন, ফড়িয়া, ফাটকাবাজ, মধ্যস্বত্বভোগী—সবার কাছেই অজুহাত মজুত থাকে। আকাশে মেঘ জমলে কিংবা কড়া রোদ উঠলেও পণ্যমূল্য বাড়ানোর অজুহাত তৈরি করা যায়। লোভ এবং লাভ—এ দুটি অনেকের অস্থিমজ্জায় জড়িয়ে আছে।
গুজব ছড়িয়ে বা শঠতার আশ্রয় নিয়ে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ ভোক্তা-ক্রেতাদের গলা কাটা হয় নিয়মিত। যেমন গুজব ছড়ানো হয়েছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমতে পারে! কমেনি, কমতে পারে—এটা বলেই বাড়িয়ে দেওয়া হলো দাম। মুনাফা ঘরে তুলে নেয় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ, গচ্চা দিতে হলো অসংখ্য মানুষকে।
কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে আর কমার কথা শোনা যায় না। যাঁরা ব্যবসায়ী বা দোকানদার তাঁরা ইচ্ছেমতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারেন। কিন্তু কমাতে পারেন না। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। আমরা চলছি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সরকার সে রকম কিছু চায়ও না। ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদেরা এখন এককাট্টা হয়েছেন। কে ব্যবসায়ী আর কে রাজনীতিবিদ, বোঝা মুশকিল। পেঁয়াজ এবং চিনির ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামেই। ভোজ্যতেলের দাম বেড়েই চলেছে। চাল-ডাল-তেল-আটা-ময়দা-সাবান-টুথপেস্টসহ কোন জিনিসের দাম বাড়েনি? এর ওপর এখন আছে মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজারের বাড়তি খরচ। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু আয়-রোজগার বাড়ছে না। কী করবে সাধারণ মানুষ?
উত্তরের ছোট জেলা নীলফামারীর একটি খবর ছাপা হয়েছে আজকের পত্রিকার ভেতরের পাতায়। ‘ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি হয়তো অনেক পাঠকের নজরেও পড়েনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়া এখন প্রতিদিনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আজ দোকানে বা বাজারে গিয়ে যে পণ্য যে দামে কেনা যাবে, দুই দিন পরে সেই পণ্যের দাম বাড়বে না, সে নিশ্চয়তা তো কেউ দিয়ে রাখেনি। তাই ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার খবর কারও আলাদা মনোযোগ আকর্ষণ না করারই কথা। ব্রয়লার মুরগির দাম এত দিন একটু কম থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষও প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে তা কেনার সাহস করত। তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা বাড়লে নিম্নবিত্ত বা গরিব মানুষের মাংসের স্বাদ নেওয়ার আর সাধ হয় না।
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর একটি কথা চালু থাকলেও মাংসের স্বাদ আর কম দামের কিসে মেটানো যায়, তা নিয়ে কোনো প্রবাদের কথা শোনা যায় না। কেন ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ল? বলা হচ্ছে বাজারে ব্রয়লারের সরবরাহ কম। মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। বেড়েছে নাকি অন্যান্য খরচও। তাই দাম না বাড়ালে অর্থাৎ ভোক্তাদের পকেট না কাটলে চলবে কেন?
অনেকে রসিকতা করে বলেন, বাঙালির হাত তিনটি। ডান হাত, বাঁ হাতের সঙ্গে আছে ‘অজুহাত’। সবকিছুর পেছনে একটি অজুহাত দাঁড় করাতে আমাদের জুড়ি নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে ব্যবসায়ী, আড়তদার, মহাজন, ফড়িয়া, ফাটকাবাজ, মধ্যস্বত্বভোগী—সবার কাছেই অজুহাত মজুত থাকে। আকাশে মেঘ জমলে কিংবা কড়া রোদ উঠলেও পণ্যমূল্য বাড়ানোর অজুহাত তৈরি করা যায়। লোভ এবং লাভ—এ দুটি অনেকের অস্থিমজ্জায় জড়িয়ে আছে।
গুজব ছড়িয়ে বা শঠতার আশ্রয় নিয়ে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ ভোক্তা-ক্রেতাদের গলা কাটা হয় নিয়মিত। যেমন গুজব ছড়ানো হয়েছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমতে পারে! কমেনি, কমতে পারে—এটা বলেই বাড়িয়ে দেওয়া হলো দাম। মুনাফা ঘরে তুলে নেয় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ, গচ্চা দিতে হলো অসংখ্য মানুষকে।
কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে আর কমার কথা শোনা যায় না। যাঁরা ব্যবসায়ী বা দোকানদার তাঁরা ইচ্ছেমতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারেন। কিন্তু কমাতে পারেন না। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। আমরা চলছি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সরকার সে রকম কিছু চায়ও না। ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদেরা এখন এককাট্টা হয়েছেন। কে ব্যবসায়ী আর কে রাজনীতিবিদ, বোঝা মুশকিল। পেঁয়াজ এবং চিনির ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামেই। ভোজ্যতেলের দাম বেড়েই চলেছে। চাল-ডাল-তেল-আটা-ময়দা-সাবান-টুথপেস্টসহ কোন জিনিসের দাম বাড়েনি? এর ওপর এখন আছে মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজারের বাড়তি খরচ। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু আয়-রোজগার বাড়ছে না। কী করবে সাধারণ মানুষ?
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫