সম্পাদকীয়
কাউকে কুপিয়ে, গুলি করে অথবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হচ্ছে। কেউ আবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন হতাশা, ব্যর্থতা কিংবা গ্লানি থেকে। কারও স্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে, কারও-বা অস্বাভাবিক উপায়ে। সংবাদপত্রে প্রতিদিনই দুঃখের খবর, বেদনার খবর, কষ্টের খবর ছাপা হয়। একসময় এসব খবর মানুষকে আলোড়িত করত, ভারাক্রান্ত করত। এখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার অদ্ভুত এক ক্ষমতা মানুষ রপ্ত করেছে। অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর।
স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্যাপন করার সময় নানা ক্ষেত্রে বড় বড় অর্জন, অগ্রগতি ও সাফল্যের চিত্র যেমন আমাদের চোখের সামনে উজ্জ্বল হয়ে ভাসছে, তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার ছবিও আড়ালে থাকছে না। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত হবে, সব মানুষের নিরাপদ বাসভূমি হবে—এটাই ছিল সাধারণ প্রত্যাশা। কিন্তু এত বছর পর আমরা দেখছি, নানা ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়ছে, অনিয়ম বাড়ছে, দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।মূল্যবোধের অবক্ষয় পীড়া দিচ্ছে। মানবিকতার বদলে নিষ্ঠুরতা বাড়ছে। হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা কমছে না। হত্যা, খুন, নারী নির্যাতন নতুন মাত্রা পাচ্ছে। আইন আছে, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই।
অবশ্য শুধু কঠোর আইনি পদক্ষেপই অন্যায়, অনাচার, অপরাধপ্রবণতা দমনে যথেষ্ট বলে মনে হয় না। এ জন্য পরিবার, সমাজ, রাজনীতি এবং শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা জরুরি। মানুষের মনোজগতে আবর্জনা জমলে, জমার পরিবেশ তৈরি করা হলে কীভাবে সুস্থ-সুন্দর ন্যায়ানুগ পথে চলা সম্ভব? মনের ময়লা সাফসুতরো করার ব্যবস্থা বরং আগে করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় মানবিক গুণাবলি এবং সাংস্কৃতিক বোধ বিকশিত করার পরিবর্তে শুধু পুঁথিগত শিক্ষা দেওয়া, পরিবার থেকে আচরণগত শিক্ষা না পাওয়ার কারণেই সম্ভবত অপরাধের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি তো আছেই। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা অথবা ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় বা নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করার প্রবণতা। সব ধরনের অপরাধ দমনের জন্য রাজনৈতিক উদ্যোগ ও সিদ্ধান্তের বিকল্প নেই। ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, যারা অপরাধ করে, তারা সব সময় ক্ষমতাসীন পার্টির সঙ্গ পছন্দ করে। ক্ষমতাসীনেরা যাতে অপরাধ এবং অপরাধ সংঘটনে পারদর্শীদের নিজেদের বুকে ঠাঁই না দেয়, সে অবস্থা ও ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এলাকায় এলাকায় যারা বাহাদুর সেজে আছে, মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে, তারা নিশ্চয়ই কারও চোখের আড়ালে নেই। যারা চোখের সামনে দুর্বৃত্তপনা করার দুঃসাহস দেখায়, তাদের সাহসের উৎসটা ভেঙে দিতে হবে। সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধেই এটা সম্ভব। আমরা সবাই যদি দায়িত্ব এবং কর্তব্যসচেতন হই, তাহলে আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার সাহস কেউ দেখাবে না।
একদিকে আমাদের আরও বেশি মানবিক হতে হবে, অন্যদিকে খুন, ধর্ষণসহ সব অপরাধের বিরুদ্ধে মানুষের মনে প্রতিবাদী মানসিকতার স্ফুরণ ঘটাতে হবে। সম্মিলিত প্রতিবাদে সুদিন আসবেই।
কাউকে কুপিয়ে, গুলি করে অথবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হচ্ছে। কেউ আবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন হতাশা, ব্যর্থতা কিংবা গ্লানি থেকে। কারও স্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে, কারও-বা অস্বাভাবিক উপায়ে। সংবাদপত্রে প্রতিদিনই দুঃখের খবর, বেদনার খবর, কষ্টের খবর ছাপা হয়। একসময় এসব খবর মানুষকে আলোড়িত করত, ভারাক্রান্ত করত। এখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার অদ্ভুত এক ক্ষমতা মানুষ রপ্ত করেছে। অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর।
স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্যাপন করার সময় নানা ক্ষেত্রে বড় বড় অর্জন, অগ্রগতি ও সাফল্যের চিত্র যেমন আমাদের চোখের সামনে উজ্জ্বল হয়ে ভাসছে, তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার ছবিও আড়ালে থাকছে না। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত হবে, সব মানুষের নিরাপদ বাসভূমি হবে—এটাই ছিল সাধারণ প্রত্যাশা। কিন্তু এত বছর পর আমরা দেখছি, নানা ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়ছে, অনিয়ম বাড়ছে, দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।মূল্যবোধের অবক্ষয় পীড়া দিচ্ছে। মানবিকতার বদলে নিষ্ঠুরতা বাড়ছে। হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা কমছে না। হত্যা, খুন, নারী নির্যাতন নতুন মাত্রা পাচ্ছে। আইন আছে, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই।
অবশ্য শুধু কঠোর আইনি পদক্ষেপই অন্যায়, অনাচার, অপরাধপ্রবণতা দমনে যথেষ্ট বলে মনে হয় না। এ জন্য পরিবার, সমাজ, রাজনীতি এবং শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা জরুরি। মানুষের মনোজগতে আবর্জনা জমলে, জমার পরিবেশ তৈরি করা হলে কীভাবে সুস্থ-সুন্দর ন্যায়ানুগ পথে চলা সম্ভব? মনের ময়লা সাফসুতরো করার ব্যবস্থা বরং আগে করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় মানবিক গুণাবলি এবং সাংস্কৃতিক বোধ বিকশিত করার পরিবর্তে শুধু পুঁথিগত শিক্ষা দেওয়া, পরিবার থেকে আচরণগত শিক্ষা না পাওয়ার কারণেই সম্ভবত অপরাধের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি তো আছেই। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা অথবা ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় বা নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করার প্রবণতা। সব ধরনের অপরাধ দমনের জন্য রাজনৈতিক উদ্যোগ ও সিদ্ধান্তের বিকল্প নেই। ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, যারা অপরাধ করে, তারা সব সময় ক্ষমতাসীন পার্টির সঙ্গ পছন্দ করে। ক্ষমতাসীনেরা যাতে অপরাধ এবং অপরাধ সংঘটনে পারদর্শীদের নিজেদের বুকে ঠাঁই না দেয়, সে অবস্থা ও ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এলাকায় এলাকায় যারা বাহাদুর সেজে আছে, মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে, তারা নিশ্চয়ই কারও চোখের আড়ালে নেই। যারা চোখের সামনে দুর্বৃত্তপনা করার দুঃসাহস দেখায়, তাদের সাহসের উৎসটা ভেঙে দিতে হবে। সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধেই এটা সম্ভব। আমরা সবাই যদি দায়িত্ব এবং কর্তব্যসচেতন হই, তাহলে আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার সাহস কেউ দেখাবে না।
একদিকে আমাদের আরও বেশি মানবিক হতে হবে, অন্যদিকে খুন, ধর্ষণসহ সব অপরাধের বিরুদ্ধে মানুষের মনে প্রতিবাদী মানসিকতার স্ফুরণ ঘটাতে হবে। সম্মিলিত প্রতিবাদে সুদিন আসবেই।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫