সম্পাদকীয়
একদিনের পত্রিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীসংক্রান্ত তিনটি খবরই আশা নয়, আশঙ্কা তৈরি করবে পাঠকের মনে। প্রথম খবরের শিরোনাম ‘স্কুলে অনুপস্থিতি আশঙ্কাজনক’। এ খবরে বলা হয়েছে, করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে স্কুল-কলেজ খুললেও শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার আশানুরূপ নয়। প্রাথমিক স্তরে ৩০ এবং মাধ্যমিকে ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এদের অনেকেই লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। অর্থাৎ করোনার ধাক্কায় অনেকের শিক্ষাজীবনের অকাল সমাপ্তি হয়েছে। বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে।
কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে কিংবা কতসংখ্যক মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করবে সরকার। যারা স্কুল-কলেজে আসছে না, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে খুব বেশি দেরি করা উচিত হবে না। যাঁরা শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন, শিক্ষানুরাগী, গবেষক, তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
অর্থসংকট, সামাজিক নিরাপত্তাবোধের অভাবের মতো কারণে যদি কেউ শিক্ষাজীবনের অবসান ঘটিয়ে থাকে, তাহলে এর প্রতিকারের জন্য একদিকে যেমন অর্থ বরাদ্দ লাগবে, অন্যদিকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের মন থেকে অনিরাপত্তাবোধ দূর করতে সামাজিক সুরক্ষা ও নাগরিক সচেতনতাও বাড়াতে হবে। বিষয়টি উদ্বেগের, উপেক্ষা বা অবহেলার নয়।
দ্বিতীয় খবরের শিরোনাম ‘রামদা নিয়ে ছাত্রদলকে ধাওয়া ছাত্রলীগের’। গাজীপুরের শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজ ক্যাম্পাসে শনিবার লাঠি ও রামদা হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে পাঁচজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মারামারি-সংঘাতের ঘটনা নতুন নয়। এসব কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও আগে অনেক ঘটেছে; বিশেষ করে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলের ছাত্রসংগঠন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এখন ছাত্রলীগ সেই অবস্থায় আছে। ছাত্রলীগ গত কয়েক বছরে অনেক নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে। শুধু প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নয়, আত্মঘাতী সংঘাতেও তারা জড়িয়ে বদনাম কুড়িয়েছে। তাদের বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে না পারলে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা কঠিন হবে।
তৃতীয় খবরের শিরোনাম, ‘বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সতর্ক অবস্থানে সরকার’। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পর সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হতে পারে বলে সরকারের উচ্চ মহলে দুশ্চিন্তা আছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর না করে কোনোভাবেই যেন ছাত্রলীগকে ব্যবহার না করা হয়। ছাত্রলীগকে বেপরোয়া হতে দিলে সেটা বুমেরাং হতে পারে। ছাত্রলীগ যে আর সুনামের অধিকারী একটি ছাত্রসংগঠন নেই, সেটা ভুলে গেলে ভুল করা হবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের উচিত, ছাত্রলীগকে কলুষমুক্ত করার কাজটি আগে করা। না হলে শিক্ষাঙ্গন নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা বাড়বে বৈ কমবে না।
একদিনের পত্রিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীসংক্রান্ত তিনটি খবরই আশা নয়, আশঙ্কা তৈরি করবে পাঠকের মনে। প্রথম খবরের শিরোনাম ‘স্কুলে অনুপস্থিতি আশঙ্কাজনক’। এ খবরে বলা হয়েছে, করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে স্কুল-কলেজ খুললেও শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার আশানুরূপ নয়। প্রাথমিক স্তরে ৩০ এবং মাধ্যমিকে ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এদের অনেকেই লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। অর্থাৎ করোনার ধাক্কায় অনেকের শিক্ষাজীবনের অকাল সমাপ্তি হয়েছে। বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে।
কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে কিংবা কতসংখ্যক মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করবে সরকার। যারা স্কুল-কলেজে আসছে না, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে খুব বেশি দেরি করা উচিত হবে না। যাঁরা শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন, শিক্ষানুরাগী, গবেষক, তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
অর্থসংকট, সামাজিক নিরাপত্তাবোধের অভাবের মতো কারণে যদি কেউ শিক্ষাজীবনের অবসান ঘটিয়ে থাকে, তাহলে এর প্রতিকারের জন্য একদিকে যেমন অর্থ বরাদ্দ লাগবে, অন্যদিকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের মন থেকে অনিরাপত্তাবোধ দূর করতে সামাজিক সুরক্ষা ও নাগরিক সচেতনতাও বাড়াতে হবে। বিষয়টি উদ্বেগের, উপেক্ষা বা অবহেলার নয়।
দ্বিতীয় খবরের শিরোনাম ‘রামদা নিয়ে ছাত্রদলকে ধাওয়া ছাত্রলীগের’। গাজীপুরের শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজ ক্যাম্পাসে শনিবার লাঠি ও রামদা হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে পাঁচজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মারামারি-সংঘাতের ঘটনা নতুন নয়। এসব কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও আগে অনেক ঘটেছে; বিশেষ করে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলের ছাত্রসংগঠন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এখন ছাত্রলীগ সেই অবস্থায় আছে। ছাত্রলীগ গত কয়েক বছরে অনেক নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে। শুধু প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নয়, আত্মঘাতী সংঘাতেও তারা জড়িয়ে বদনাম কুড়িয়েছে। তাদের বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে না পারলে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা কঠিন হবে।
তৃতীয় খবরের শিরোনাম, ‘বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সতর্ক অবস্থানে সরকার’। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পর সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হতে পারে বলে সরকারের উচ্চ মহলে দুশ্চিন্তা আছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর না করে কোনোভাবেই যেন ছাত্রলীগকে ব্যবহার না করা হয়। ছাত্রলীগকে বেপরোয়া হতে দিলে সেটা বুমেরাং হতে পারে। ছাত্রলীগ যে আর সুনামের অধিকারী একটি ছাত্রসংগঠন নেই, সেটা ভুলে গেলে ভুল করা হবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের উচিত, ছাত্রলীগকে কলুষমুক্ত করার কাজটি আগে করা। না হলে শিক্ষাঙ্গন নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা বাড়বে বৈ কমবে না।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
১২ আগস্ট ২০২৫গত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
১২ আগস্ট ২০২৫প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
১২ আগস্ট ২০২৫জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১১ আগস্ট ২০২৫